কথায় আছে রাখে আল্লাহ মারে কে। ঠিক তদ্রুপ একটি ঘটনা ঘটে গেল নয়াকান্দি বাজিতপুর গ্রামে। গত ১৪ এপ্রিল দিবাগত রাতে ইতালী প্রবাসী কামাল সরদারের বসত ঘরে আগুন লাগিয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা কিন্তু আল্লাহর অশেষ রহমতে বড় কোন দুর্ঘটনার কবল থেকে বেচে যায় তার পরিবার। ঘটনাটি ঘটে সাধিরব্রীজের দক্ষিন পাশে নয়াকান্দি গ্রামের সরদার বাড়ী কামাল সরদারের ঘরে। এলাকা সুত্রে জানা যায়, কামাল সরদার সেনাবাহিনীতে চাকুরী করতেন আনুমানিক এক বছর আগে সে পেনশনে আসেন। এবং গত ৩/৪ মাস আগে তিনি স্বপ্নের দেশ ইতালীতে পাড়ি জমান। কামাল সরদারের সাথে তার বংশের কিছু লোকের জমাজমি নিয়ে একটা বিরোধ চলছিল কিন্ত বিরোধ মিমাংসা হওয়ার আগেই হঠাৎ করে তিনি ইতালী চলে যান। তাই বিরোধ আর মিমাংসা হয় নাই। সেই বিরোধের জের ধরেই ঘরে আগুন দেয়ার ঘটনা ঘটতে পারে বলে এলাকাবাসীর প্রাথমিক ধারনা। ১৪ এপ্রিল দিবাগত রাত আনুমানিক ২ টার সময় কামাল সরদারের বসত ঘরের পিছনের বারান্দার কাঠের দৌড়ের নিচ দিয়ে গ্যাস সিলিন্ডারের পাইপ বের করে সেখানে পাট খড়ি ঢুকিয়ে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। ঘরে ঘুমিয়ে থাকা এস,এস,সি পরিক্ষার্থী কামাল সরদারের আসুস্থ্য ছেলে হঠাৎ আগুনের ঝলকানি দেখতে পেয়ে চিৎকার দিয়ে তার মাকে ডাকে ছেলের চিৎকার শুনে ঘুম থেকে উঠে মা প্রথমে তার ছেলে মেয়ে কে ঘর থেকে বের করে দেয় পরে জীবনের ঝুকি নিয়ে সে গ্যাস সিলিন্ডারের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে সক্ষম হয়, এতে বড় দুর্ঘটনার হাত থেকে বেচে যায় বাড়ির সমস্ত লোক জন। চিৎকার চেঁচামেচিতে বাড়ির লোক জন বেড়িয়ে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয়। পরের দিন সকালে কামাল সরদারের স্ত্রী বিনা বেগম সাংবাদিকদের কাছে ঘটনাটি অভিহিত করেন এবং ঘটনা স্থলে যেতে বলেন। বিনা বেগম আরো বলেন গত ১০/১২ দিন আগে আম বাগানে গিয়ে দুই বছর আগে ফেলে রাখা ছাইয়ের মধ্যে পারা দিলে আমার ছেলের দুই পা পুড়ে যাওয়া ঘটনার সাথে ঘরে আগুন দেয়ার একটা যোগ সাজেস থাকতে পারে বলে আমি মনে করি। এটাও বলেন আজ আমি রাজৈর থানায় গিয়েছিলাম একটা সাধারন ডাইড়ি করার জন্য। কিন্ত আলম সরদার আমাকে ফোন করে নিষেধ করেছে ডাইড়ি কিংবা অভিযোগ করতে। এও বলেছেন আমরা বাড়ির লোক তদন্ত করে তোমাকে একটা সুষ্ঠ বিচার দিব তাও তুমি থানা থেকে চলে আসো। ১৫ এপ্রিল বিকালে দৈনিক আমার দেশ ও দৈনিক আজকের খবর পত্রিকার প্রতিনিধি ঘটনা স্থলে যান এবং আগুনের ঘটনার সত্যতা দেখতে পান। গতকাল ২৭ এপ্রিল বিনা বেগম আবার দুই সাংবাদিকদের বলেন ২৫ এপ্রিল সন্ধ্যায় আলম সরদারের নেতৃত্বে শালিসিতে বসে ঘটনা ধামাচাপা দিয়ে আমাকে একটা শান্তনা দিয়ে গেছে। তাতে আমি খুশি হতে পারিনাই।তা ছাড়া এখন আমি আমার সন্তানদের নিয়ে কঠিন নিরাপত্তাহীনতায় আছি। আমাকে বিভিন্ন ভাবে হুমকি ধামকি দেয়া হচ্ছে। আমি এখন কি করিব বুঝতে পারছিনা যদি আপনাদের করণীয় কিছু থাকে তবে সেটাই করেন বলে কান্নায় ভেঙ্গে পরেন।
Editor and Publisher : Ariful Islam
Address: Nikunja-2, Road No. 1/A Cemetery Road, Dhaka
Call: 8809639113691
E-mail: Ajkerkhobur@gmail.com
@2025 | Ajker-Khobor.com