
কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার হলোখানা ইউনিয়নে বসতবাড়ির পাশের একটি কৃষিজমি থেকে নবম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার (১০ মে) সকালে ইউনিয়নের কাগজিপাড়া গ্রামে এই মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটে। নিহত কিশোরীর নাম জান্নাতি (১৫), তিনি ওই গ্রামের কৃষক জাহিদুল হকের মেয়ে।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাবিবুল্লাহ জানান, জান্নাতির মাথায় আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। প্রাথমিকভাবে এটি হত্যাকাণ্ড বলে ধারণা করা হচ্ছে। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
নিহত জান্নাতির জ্যাঠা খলিল হোসেন দাবি করেন, পারিবারিক জমি বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের লোকজনই জান্নাতিকে হত্যা করেছে। তিনি বলেন, “রাতে ঘরে ঘুমিয়ে থাকা অবস্থায় জান্নাতিকে তুলে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। আমরা চিৎকার করলেও তারা লাঠিসোটা নিয়ে হামলা চালায়। সকালে বাড়ির পাশের জমিতে তার লাশ পাওয়া যায়।”
খলিল আরও জানান, জমি নিয়ে জান্নাতির বাবা জাহিদুল হকের সঙ্গে প্রতিবেশীদের দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছে, যার জেরেই এই হত্যাকাণ্ড ঘটে থাকতে পারে। এ ঘটনায় তিনি প্রতিপক্ষের কয়েকজনের নামও উল্লেখ করেন। তবে স্থানীয় কোনো নিরপেক্ষ সূত্র তার এই অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করতে পারেনি।
স্থানীয়দের অনেকেই জমি সংক্রান্ত বিরোধ থেকে হত্যাকাণ্ডের সম্ভাবনা উড়িয়ে দেননি, তবে কারা জড়িত তা স্পষ্টভাবে কেউ বলতে পারেননি। রাতের ঘটনায় জান্নাতিকে জোর করে তুলে নেওয়া এবং পরিবারের চিৎকার-চেঁচামেচির বিষয়েও স্থানীয়দের কেউ প্রত্যক্ষদর্শী নন।
এ ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি। ওসি হাবিবুল্লাহ জানান, “মরদেহে মাথায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ঘটনার সঙ্গে কে বা কারা জড়িত, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। মামলা হলে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”এই ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। পুলিশ জানিয়েছে, তদন্তের পর প্রকৃত ঘটনা উদঘাটন সম্ভব হবে।