০১:১৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১১ মে ২০২৫, ২৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সিরাজগঞ্জের যমুনার তীরে পরিত্যক্ত টাগবোট নিয়ে রহস্য

সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলার এনায়েতপুরে যমুনা নদীর তীরে একটি পরিত্যক্ত টাগবোট ঘিরে সৃষ্টি হয়েছে রহস্য ও উত্তেজনা। স্থানীয় স্পার বাঁধ থেকে প্রায় ৫০০ গজ দক্ষিণে ২ মে ২০২৫ তারিখে নোঙর করা হয় তিনতলা বিশিষ্ট পুরনো টাগবোট “এম. টি. আনোয়ারা নাসির-২”, যা স্থানীয়দের ভাষায় ‘পল্টন জাহাজ’ নামেও পরিচিত।
প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, জাহাজটি কোনো সরকারি অনুমতি ছাড়াই নদীর তীরে এনে রাখা হয়েছে এবং এটি চুরি করে আনা হয়েছে বলেও সন্দেহ প্রকাশ করেছেন তারা। ভুয়াপুর থানার এক ব্যক্তি, আলী আজগর, মালিকানা দাবি করলেও এখনো পর্যন্ত কোনো বৈধ কাগজপত্র প্রদর্শন করতে পারেননি। এরই মধ্যে তিনি প্রায় ডজনখানেক শ্রমিক ও যন্ত্রপাতি দিয়ে টাগবোটটির ওপরের অংশ কেটে লোহা বিক্রির অভিযোগের মুখে পড়েছেন।
স্থানীয়দের ধারণা, জাহাজটির প্রধান আকর্ষণ ছিল এর শক্তিশালী ডিজেল ইঞ্জিন—দুটি ছয় সিলিন্ডার ও দুটি চার সিলিন্ডারবিশিষ্ট মোট চারটি ইঞ্জিন, যা অবৈধভাবে বিক্রির জন্যই এখানে এনে কাটা শুরু হয়েছে।
এনায়েতপুর থানার নবনিযুক্ত অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ আনোয়ারুল ইসলাম জানান, “আমি থানায় সদ্য যোগদান করেছি। এ ধরনের কোনো তথ্য আমার জানা ছিল না। তবে বিষয়টি এখন জানলাম এবং আমি তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিচ্ছি।”
ঘটনার পর স্থানীয়রা প্রশ্ন তুলেছেন—এত বড় একটি নৌযান কীভাবে কোনো প্রকার প্রশাসনিক অনুমতি ছাড়াই নদীপথে আনা হলো এবং খোলা জায়গায় কাটাকাটি চালানো হচ্ছে? তারা দাবি জানিয়েছেন, অবিলম্বে টাগবোটটির প্রকৃত মালিকানা, আনার উদ্দেশ্য এবং দায়ীদের বিরুদ্ধে সুষ্ঠু তদন্ত ও আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হোক।
ট্যাগঃ
প্রতিনিধির তথ্য

জনপ্রিয় পোস্ট

মোংলায় নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) কমিটি পরিচিতি সভা

সিরাজগঞ্জের যমুনার তীরে পরিত্যক্ত টাগবোট নিয়ে রহস্য

পোস্ট হয়েছেঃ ০৪:০৭:৪৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১০ মে ২০২৫
সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলার এনায়েতপুরে যমুনা নদীর তীরে একটি পরিত্যক্ত টাগবোট ঘিরে সৃষ্টি হয়েছে রহস্য ও উত্তেজনা। স্থানীয় স্পার বাঁধ থেকে প্রায় ৫০০ গজ দক্ষিণে ২ মে ২০২৫ তারিখে নোঙর করা হয় তিনতলা বিশিষ্ট পুরনো টাগবোট “এম. টি. আনোয়ারা নাসির-২”, যা স্থানীয়দের ভাষায় ‘পল্টন জাহাজ’ নামেও পরিচিত।
প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, জাহাজটি কোনো সরকারি অনুমতি ছাড়াই নদীর তীরে এনে রাখা হয়েছে এবং এটি চুরি করে আনা হয়েছে বলেও সন্দেহ প্রকাশ করেছেন তারা। ভুয়াপুর থানার এক ব্যক্তি, আলী আজগর, মালিকানা দাবি করলেও এখনো পর্যন্ত কোনো বৈধ কাগজপত্র প্রদর্শন করতে পারেননি। এরই মধ্যে তিনি প্রায় ডজনখানেক শ্রমিক ও যন্ত্রপাতি দিয়ে টাগবোটটির ওপরের অংশ কেটে লোহা বিক্রির অভিযোগের মুখে পড়েছেন।
স্থানীয়দের ধারণা, জাহাজটির প্রধান আকর্ষণ ছিল এর শক্তিশালী ডিজেল ইঞ্জিন—দুটি ছয় সিলিন্ডার ও দুটি চার সিলিন্ডারবিশিষ্ট মোট চারটি ইঞ্জিন, যা অবৈধভাবে বিক্রির জন্যই এখানে এনে কাটা শুরু হয়েছে।
এনায়েতপুর থানার নবনিযুক্ত অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ আনোয়ারুল ইসলাম জানান, “আমি থানায় সদ্য যোগদান করেছি। এ ধরনের কোনো তথ্য আমার জানা ছিল না। তবে বিষয়টি এখন জানলাম এবং আমি তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিচ্ছি।”
ঘটনার পর স্থানীয়রা প্রশ্ন তুলেছেন—এত বড় একটি নৌযান কীভাবে কোনো প্রকার প্রশাসনিক অনুমতি ছাড়াই নদীপথে আনা হলো এবং খোলা জায়গায় কাটাকাটি চালানো হচ্ছে? তারা দাবি জানিয়েছেন, অবিলম্বে টাগবোটটির প্রকৃত মালিকানা, আনার উদ্দেশ্য এবং দায়ীদের বিরুদ্ধে সুষ্ঠু তদন্ত ও আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হোক।