১০:৫৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১০ মে ২০২৫, ২৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

গলাচিপার গজালিয়ায় খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি ওএমএস চাল বিক্রিতে অনিয়মের অভিযোগ

গলাচিপা উপজেলার গজালিয়া ইউনিয়নে সরকারের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় ন্যায্য মূল্যে ওএমএসের চাল বিক্রিতে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ভুক্তভোগীদের দাবি, মেপে না দিয়ে বালতিতে করে চাল দিচ্ছেন ডিলার সবুজ মৃধা। এতে করে কম চাল পাচ্ছেন সুফলভোগী পরিবারগুলো।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় উপজেলার গজালিয়া ইউনিয়নে ন্যায্য মূল্যের চাল পেয়েছেন এমন বেশ কয়েকজন চাল বিতরণে অনিয়মের বিষয়ে অভিযোগ করেন। এ ঘটনায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে যান ভুক্তভোগীরা।
স্থানীয় সূত্রে জানাযায়, গজালিয়া ইউনিয়নের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির কার্ডধারী আছে ২৫৩ জন। এসব কার্ডধারীরা ১৫ টাকা কেজি দরের ৩০ কেজি করে চাল পাওয়ার কথা। ওএমএসের চাল বিতরণ কার্যক্রমের দ্বিতীয় দিনে ইউনিয়নের মধ্য হরিদেবপুরে চাল বিক্রি করেন ডিলার সবুজ মৃধা। সরকার নির্ধারিত সিলমোহরযুক্ত বস্তা ব্যতীত বালতি দিয়ে তিন বালতি করে সুবিধাভোগীদের চাল বিতরণ করেন ডিলার। চাল নেওয়ার পরে বিষয়টি কার্ডধারীদের সন্দেহ হলে পাশের একটি দোকানের ওজন করে তারা মাপে গরমিল দেখতে পান।
হরিদেবপুর গ্রামের ৮নম্বর বাসিন্দা ওএমএসের কার্ডধারী মিনারা বেগম বলেন, ‘আমাদের ৩০ কেজি করে চাল দেওয়ার কথা। বালতি দিয়ে মেপে দেওয়ার পরই আমার সন্দেহ হয়। এর জেরে মেপে দেখি আমার বস্তায় ২৭ কেজি চাল। এরপর বিষয়টি মেম্বারকে জানালে তিনি ইউএনও, খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তাদের কাছে অভিযোগ জানাতে বলেন। একই গ্রামের বাসিন্দা মজিবর হাওলাদার ও রাজা মিয়া বলেন, ‘গরীব মানুষ হওয়ায় আমরা কার্ড করছি। আজকে যখন চাল নিয়েছি তখনই সন্দেহ হয়। মেপে দেখি আমার বস্তায় ২৬ কেজি চাল আছে। কিন্তু দেওয়ার কথা ৩০ কেজি ডিলার টাকাও নেয় ৩০ কেজি চালের। এক থেকে দুই কেজি হলে মানতাম। কিন্তু চার কেজি কম। আমরা গরীব মানুষ।
অভিযোগের বিষয়ে ডিলার মো. সবুজ মৃধা বলেন, ‘আমি পরিমাণে কম দেই নাই। আমার বিরুদ্ধে একটা গ্রুপ আছে, সেই লোকেরা এগুলো করতেছেন। এ বিষয়ে উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসান সিকদার বলেন, ‘বিষয়টি সম্পর্কে আমি অবগত না। আপনাদের কাছে শুনেছি। ডিলার অনিয়ম করলে তদন্ত করে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ট্যাগঃ
প্রতিনিধির তথ্য

জনপ্রিয় পোস্ট

চাকরি ছেড়ে পেঁপে চাষ করে সফল স্বাবলম্বী হয়েছে রিয়াদুল

গলাচিপার গজালিয়ায় খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি ওএমএস চাল বিক্রিতে অনিয়মের অভিযোগ

পোস্ট হয়েছেঃ ১১:৫৭:০৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১০ মে ২০২৫
গলাচিপা উপজেলার গজালিয়া ইউনিয়নে সরকারের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় ন্যায্য মূল্যে ওএমএসের চাল বিক্রিতে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ভুক্তভোগীদের দাবি, মেপে না দিয়ে বালতিতে করে চাল দিচ্ছেন ডিলার সবুজ মৃধা। এতে করে কম চাল পাচ্ছেন সুফলভোগী পরিবারগুলো।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় উপজেলার গজালিয়া ইউনিয়নে ন্যায্য মূল্যের চাল পেয়েছেন এমন বেশ কয়েকজন চাল বিতরণে অনিয়মের বিষয়ে অভিযোগ করেন। এ ঘটনায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে যান ভুক্তভোগীরা।
স্থানীয় সূত্রে জানাযায়, গজালিয়া ইউনিয়নের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির কার্ডধারী আছে ২৫৩ জন। এসব কার্ডধারীরা ১৫ টাকা কেজি দরের ৩০ কেজি করে চাল পাওয়ার কথা। ওএমএসের চাল বিতরণ কার্যক্রমের দ্বিতীয় দিনে ইউনিয়নের মধ্য হরিদেবপুরে চাল বিক্রি করেন ডিলার সবুজ মৃধা। সরকার নির্ধারিত সিলমোহরযুক্ত বস্তা ব্যতীত বালতি দিয়ে তিন বালতি করে সুবিধাভোগীদের চাল বিতরণ করেন ডিলার। চাল নেওয়ার পরে বিষয়টি কার্ডধারীদের সন্দেহ হলে পাশের একটি দোকানের ওজন করে তারা মাপে গরমিল দেখতে পান।
হরিদেবপুর গ্রামের ৮নম্বর বাসিন্দা ওএমএসের কার্ডধারী মিনারা বেগম বলেন, ‘আমাদের ৩০ কেজি করে চাল দেওয়ার কথা। বালতি দিয়ে মেপে দেওয়ার পরই আমার সন্দেহ হয়। এর জেরে মেপে দেখি আমার বস্তায় ২৭ কেজি চাল। এরপর বিষয়টি মেম্বারকে জানালে তিনি ইউএনও, খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তাদের কাছে অভিযোগ জানাতে বলেন। একই গ্রামের বাসিন্দা মজিবর হাওলাদার ও রাজা মিয়া বলেন, ‘গরীব মানুষ হওয়ায় আমরা কার্ড করছি। আজকে যখন চাল নিয়েছি তখনই সন্দেহ হয়। মেপে দেখি আমার বস্তায় ২৬ কেজি চাল আছে। কিন্তু দেওয়ার কথা ৩০ কেজি ডিলার টাকাও নেয় ৩০ কেজি চালের। এক থেকে দুই কেজি হলে মানতাম। কিন্তু চার কেজি কম। আমরা গরীব মানুষ।
অভিযোগের বিষয়ে ডিলার মো. সবুজ মৃধা বলেন, ‘আমি পরিমাণে কম দেই নাই। আমার বিরুদ্ধে একটা গ্রুপ আছে, সেই লোকেরা এগুলো করতেছেন। এ বিষয়ে উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসান সিকদার বলেন, ‘বিষয়টি সম্পর্কে আমি অবগত না। আপনাদের কাছে শুনেছি। ডিলার অনিয়ম করলে তদন্ত করে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।