০৩:৩৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৪ মে ২০২৫, ৩০ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শত কোটি টাকার সম্পদ রক্ষার্থে ভিপি সাজ্জাদ বিএনপির পদ প্রত্যাশী

  • salim art
  • পোস্ট হয়েছেঃ ০১:২০:১৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫
  • 388
বিএনপি নেতাকর্মীরা যখন আওয়ামী ফ্যাসিবাদের নির্যাতন-নিপিড়নের শিকার হয়ে মানবেতর জীবন কাটাচ্ছিলো, হামলা-মামলা জেলখানা আর কোট কাচারিতে হাজিরা দিতে ব্যস্ত, তখন ভিপি সাজ্জাদরা নোয়াখালী সদরের অবৈধ এমপি এবং অপরাজনীতির হোতা একরামুল করিম চৌধুরী ও হাতিয়ার মোঃ আলীর বদন্যতায় শত শত কোটি টাকার মালিক হয়েছেন।
স্থানীয় সুত্রে জানাযায়, নোয়াখালী ও হাতিয়ার টেন্ডার বানিজ্য নিয়ন্ত্রণ করে আওয়ামীলীগের সময়ে এত ব্যবসা-বানিজ্য করেছেন যে নোয়াখালীতে বার বার অন্যতম সেরা করদাতা হয়েছেন সাজ্জাদ। আওয়ামী পরিবারের সন্তান  সাজ্জাদ এর বাবা এক সময় হাতিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি ছিলেন। তার ভাই বদরুল হায়দার চৌধুরী একাধারে হাতিয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি, পরবর্তীতে পৌর-আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি ও বর্তমাম হাতিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম-সাধারন সম্পাদকের দায়িত্বরত আছেন। সাজ্জাদরা দুঃসময়ে কখনো বিএনপি করে নাই।
৫ই আগষ্টের পুর্বে সাজ্জাদের ভাই সোহেল চৌধুরী ফ্যাসিবাদের দোসর হয়ে হাতিয়ার বিএনপি নেতাকর্মীদের নিপিড়ন নির্যাতনের মুখ্য ভূমিকায় ছিলেন। বিগত ১৬ বছর হাতিয়ার গডফাদার রুপে একনায়কতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় ভিপি সাজ্জাদ পরিবার মোঃ আলীকে সহযোগিতা করার বিনিময়ে শত কোটি টাকার মালিক হয়েছেন। তাদের মালীকানাধীন উছখালীতে হোটেল রেড-সীতে প্রায় বসতো আওয়ামী নেতাদের মদ-মাস্তির রঙ্গ আড্ডার আসর।
আরো জানাযায়, নোয়াখালী জেলা শহরের মাইজদী বাজারে মামা জাবেদের সহযোগিতায় সাজ্জাদের পরিবার কয়েক শত কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। নোয়াখালী এলজিইডি, পাবলিক হেলথ, রোডস এন্ড হাইওয়ে সহ বিভিন্ন ডিপার্টমেন্টে একরাম চৌধুরী ও মামা জাবেদের সহযোগী হয়ে ভিপি সাজ্জাদের ভাই রাহাত শত শত কোটি টাকার মালিক হয়েছে। এসব ঠিকাদারি কাজের বেশির ভাগ ছিলো ভিপি সাজ্জাদের লাইসেন্সে। তারই সুবাদে এই সাজ্জাদ দু দুবার সেরা করদাতার পুরষ্কার পায়। যেখানে আওয়ামীলীগের শাসন আমলে কোন বিএনপির কর্মীর ভালো ভাবে বেচে থাকা কষ্টকর ছিলো, সেখানে সাজ্জাদরা সেরা করদাতা হওয়া কি প্রমান করে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেশ কয়েকজন জানান, গত ১৬-১৭ বছর ভিপি সাজ্জাদ ও তার ভগ্নিপতি প্রয়াত আওয়ামী নেতা প্রিন্স কামালের ছেলে ভিপি রাসেদকে বিএনপির কোন কর্মসূচীতে দেখা যায়নি। তারা সব সময়ে আওয়ামী ক্ষমতার আসনে বসে আওয়ামীলীগের বিভিন্ন কর্মসূচিতে লক্ষ লক্ষ টাকা ডোনেশন করতো বিনিময়ে যাবতীয় সকল সুবিধা ভোগ করতো।অথচ ৫ই আগস্ট রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর ভিপি সাজ্জাদ স্বপরিবারে ঢাকায় আত্মগোপনে চলে যায়। তার দুই ভাই এখনো পলাতক অবস্থায় জীবন যাপন করছে। কয়েক মাস পর মাইজদী শহরের কিছু বিএনপি নেতাকর্মীকে ম্যানেজ করে প্রকাশ্যে  আসে সাজ্জাদ। এখন এই  সাজ্জাদ নতুন মিশনে নেমেছে। হাতিয়ায় কিছু নেতাকর্মীদের পেছনে টাকা খরচ করে হাতিয়া বিএনপির নেতা হওয়ার সর্প্ন দেখছে।হাতিয়া বিএনপির কমিটিতে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করা মানে আওয়ামী লীগ আমলে জমানো শত শত কোটি টাকা, অবৈধ সম্পদ নিরাপদে রক্ষা করা। এটা তাদের পারিবারিক সিদ্বান্ত। এই নব্য হাইব্রিড আওয়ামী সুবিধাভোগী সাজ্জাদদের হাতে দলের নেতৃত্ব দিলে হাতিয়া বিএনপি লুটেরাদের দখলে চলে যাবে। কারন তাদের উদ্দেশ্য পুনরায় হাতিয়ার ঠিকাদারি ব্যবসা নিয়ন্ত্রন ও আওয়ামী আমলের অবৈধ সম্পদ রক্ষা করা। অথচ বিগত ১৫ বছর হাতিয়ায় কোন মিছিল, মিটিং বা আন্দোলন সংগ্রামে সাজ্জাদকে দেখা যায়নি। এমতাবস্থায় হাতিয়াবাসীর দাবী, বিএনপির উপর ভর করে রি ফ্যাসিবাদের দোসররা যাতে পুনরায় হাতিয়ার মাটিতে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম না করতে পারে তা নোয়াখালী জেলা বিএনপি ও হাতিয়া বিএনপি নেতৃবৃন্দের প্রতি সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে। সুবিধাবাদীদের হাতে কোন অবস্থায় দলের নেতৃত্ব দেওয়া যাবে না।
জেলা বিএনপির সদস্য সচিব হারুনর রশীদ আজাদ বলেন, বিষয়টি আমিও বিভিন্ন ভাবে শুনেছি, তার পুরো পরিবার আ.লীগ করে এবং তার বাবা ভাই সবাই ভাইটাল পোষ্টেও আছে। তবে সে এক সময় বিএনপি করতো, কিন্তু ৫ আগস্টের আগে কখনো বিএনপির কোন প্রোগ্রামে দেখিনি। ইতিমধ্যে তাকে বিএনপির অনুষ্ঠান গুলোতে দেখা যায়।
এ বিষয় জানতে চাইলে নোয়াখালী জেলা বিএনপির আহবায়ক মাহবুব আলমগীর আলো বলেন, ইতিমধ্যে ভিপি সাজ্জাদকে বিএনপির বিভিন্ন প্রোগ্রামে দেখা যায় এটা অস্বীকার করার কিছু নাই, তবে তার সম্পর্কে সকল বিষয় আমি কিন্তু অবগত না। বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখবো।
ট্যাগঃ
প্রতিনিধির তথ্য

জনপ্রিয় পোস্ট

মাদারীপুরে মুখোমুখি বাস-মাইক্রোবাস সংঘর্ষ,২ শিশুসহ আহত অন্তত ১০

শত কোটি টাকার সম্পদ রক্ষার্থে ভিপি সাজ্জাদ বিএনপির পদ প্রত্যাশী

পোস্ট হয়েছেঃ ০১:২০:১৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫
বিএনপি নেতাকর্মীরা যখন আওয়ামী ফ্যাসিবাদের নির্যাতন-নিপিড়নের শিকার হয়ে মানবেতর জীবন কাটাচ্ছিলো, হামলা-মামলা জেলখানা আর কোট কাচারিতে হাজিরা দিতে ব্যস্ত, তখন ভিপি সাজ্জাদরা নোয়াখালী সদরের অবৈধ এমপি এবং অপরাজনীতির হোতা একরামুল করিম চৌধুরী ও হাতিয়ার মোঃ আলীর বদন্যতায় শত শত কোটি টাকার মালিক হয়েছেন।
স্থানীয় সুত্রে জানাযায়, নোয়াখালী ও হাতিয়ার টেন্ডার বানিজ্য নিয়ন্ত্রণ করে আওয়ামীলীগের সময়ে এত ব্যবসা-বানিজ্য করেছেন যে নোয়াখালীতে বার বার অন্যতম সেরা করদাতা হয়েছেন সাজ্জাদ। আওয়ামী পরিবারের সন্তান  সাজ্জাদ এর বাবা এক সময় হাতিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি ছিলেন। তার ভাই বদরুল হায়দার চৌধুরী একাধারে হাতিয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি, পরবর্তীতে পৌর-আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি ও বর্তমাম হাতিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম-সাধারন সম্পাদকের দায়িত্বরত আছেন। সাজ্জাদরা দুঃসময়ে কখনো বিএনপি করে নাই।
৫ই আগষ্টের পুর্বে সাজ্জাদের ভাই সোহেল চৌধুরী ফ্যাসিবাদের দোসর হয়ে হাতিয়ার বিএনপি নেতাকর্মীদের নিপিড়ন নির্যাতনের মুখ্য ভূমিকায় ছিলেন। বিগত ১৬ বছর হাতিয়ার গডফাদার রুপে একনায়কতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় ভিপি সাজ্জাদ পরিবার মোঃ আলীকে সহযোগিতা করার বিনিময়ে শত কোটি টাকার মালিক হয়েছেন। তাদের মালীকানাধীন উছখালীতে হোটেল রেড-সীতে প্রায় বসতো আওয়ামী নেতাদের মদ-মাস্তির রঙ্গ আড্ডার আসর।
আরো জানাযায়, নোয়াখালী জেলা শহরের মাইজদী বাজারে মামা জাবেদের সহযোগিতায় সাজ্জাদের পরিবার কয়েক শত কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। নোয়াখালী এলজিইডি, পাবলিক হেলথ, রোডস এন্ড হাইওয়ে সহ বিভিন্ন ডিপার্টমেন্টে একরাম চৌধুরী ও মামা জাবেদের সহযোগী হয়ে ভিপি সাজ্জাদের ভাই রাহাত শত শত কোটি টাকার মালিক হয়েছে। এসব ঠিকাদারি কাজের বেশির ভাগ ছিলো ভিপি সাজ্জাদের লাইসেন্সে। তারই সুবাদে এই সাজ্জাদ দু দুবার সেরা করদাতার পুরষ্কার পায়। যেখানে আওয়ামীলীগের শাসন আমলে কোন বিএনপির কর্মীর ভালো ভাবে বেচে থাকা কষ্টকর ছিলো, সেখানে সাজ্জাদরা সেরা করদাতা হওয়া কি প্রমান করে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেশ কয়েকজন জানান, গত ১৬-১৭ বছর ভিপি সাজ্জাদ ও তার ভগ্নিপতি প্রয়াত আওয়ামী নেতা প্রিন্স কামালের ছেলে ভিপি রাসেদকে বিএনপির কোন কর্মসূচীতে দেখা যায়নি। তারা সব সময়ে আওয়ামী ক্ষমতার আসনে বসে আওয়ামীলীগের বিভিন্ন কর্মসূচিতে লক্ষ লক্ষ টাকা ডোনেশন করতো বিনিময়ে যাবতীয় সকল সুবিধা ভোগ করতো।অথচ ৫ই আগস্ট রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর ভিপি সাজ্জাদ স্বপরিবারে ঢাকায় আত্মগোপনে চলে যায়। তার দুই ভাই এখনো পলাতক অবস্থায় জীবন যাপন করছে। কয়েক মাস পর মাইজদী শহরের কিছু বিএনপি নেতাকর্মীকে ম্যানেজ করে প্রকাশ্যে  আসে সাজ্জাদ। এখন এই  সাজ্জাদ নতুন মিশনে নেমেছে। হাতিয়ায় কিছু নেতাকর্মীদের পেছনে টাকা খরচ করে হাতিয়া বিএনপির নেতা হওয়ার সর্প্ন দেখছে।হাতিয়া বিএনপির কমিটিতে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করা মানে আওয়ামী লীগ আমলে জমানো শত শত কোটি টাকা, অবৈধ সম্পদ নিরাপদে রক্ষা করা। এটা তাদের পারিবারিক সিদ্বান্ত। এই নব্য হাইব্রিড আওয়ামী সুবিধাভোগী সাজ্জাদদের হাতে দলের নেতৃত্ব দিলে হাতিয়া বিএনপি লুটেরাদের দখলে চলে যাবে। কারন তাদের উদ্দেশ্য পুনরায় হাতিয়ার ঠিকাদারি ব্যবসা নিয়ন্ত্রন ও আওয়ামী আমলের অবৈধ সম্পদ রক্ষা করা। অথচ বিগত ১৫ বছর হাতিয়ায় কোন মিছিল, মিটিং বা আন্দোলন সংগ্রামে সাজ্জাদকে দেখা যায়নি। এমতাবস্থায় হাতিয়াবাসীর দাবী, বিএনপির উপর ভর করে রি ফ্যাসিবাদের দোসররা যাতে পুনরায় হাতিয়ার মাটিতে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম না করতে পারে তা নোয়াখালী জেলা বিএনপি ও হাতিয়া বিএনপি নেতৃবৃন্দের প্রতি সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে। সুবিধাবাদীদের হাতে কোন অবস্থায় দলের নেতৃত্ব দেওয়া যাবে না।
জেলা বিএনপির সদস্য সচিব হারুনর রশীদ আজাদ বলেন, বিষয়টি আমিও বিভিন্ন ভাবে শুনেছি, তার পুরো পরিবার আ.লীগ করে এবং তার বাবা ভাই সবাই ভাইটাল পোষ্টেও আছে। তবে সে এক সময় বিএনপি করতো, কিন্তু ৫ আগস্টের আগে কখনো বিএনপির কোন প্রোগ্রামে দেখিনি। ইতিমধ্যে তাকে বিএনপির অনুষ্ঠান গুলোতে দেখা যায়।
এ বিষয় জানতে চাইলে নোয়াখালী জেলা বিএনপির আহবায়ক মাহবুব আলমগীর আলো বলেন, ইতিমধ্যে ভিপি সাজ্জাদকে বিএনপির বিভিন্ন প্রোগ্রামে দেখা যায় এটা অস্বীকার করার কিছু নাই, তবে তার সম্পর্কে সকল বিষয় আমি কিন্তু অবগত না। বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখবো।