
যৌতুকের টাকা না পাওয়ার অভিযোগে সাভারে এক গৃহবধুকে ধর্ষণের চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে তার শ্বশুর। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে ওই গৃহবধুর লাশ উদ্ধার করে ও অভিযুক্ত শ্বশুরকে গ্রেফতার করে। ঘটনার পর থেকেই স্বামী পলাতক রয়েছে। এ সকল তথ্য নিশ্চিত করেছে সাভার থানার ওসি মোঃ জুয়েল মিঞা।
পুলিশ জানায়, স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে শনিবার দুপুরে উপজেলার তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়নে একটি দোতলা ভবনের রুম থেকে লতা আক্তার (১৮) নামে গৃহবধুর লাশ উদ্ধার করে সাভার মডেল থানা পুলিশ। পরে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরন করে।
জানা যায় লতা একটি পোশাক কারখানার শ্রমিক ছিল।
স্থানীয় ও পরিবারের সদস্যরা জানায়, গত এক বছর আগে সেলিম নামের এক যুবকের সাথে লতার বিয়ে হয়। বিয়ের পরে তারা সোলেমান মিয়ার দোতলা বাড়ির একটি কক্ষ ভাড়া নিয়ে বসবাস শুরু করেন। এসময় একই বাড়িতে নিহত লতার বাবা-মা ও ছেলের বাবা-মাও রুম ভাড়া নিয়ে থাকতো। পরে বিয়ের পর থেকেই কয়েক লাখ টাকা যৌতুকের জন্য স্বামী সেলিম ও শ্বশুর মাসুদ মিয়া চাপ দিচ্ছিল লতার উপর। পরে রাতে আবারো যৌতুকের টাকা না পেয়ে শ্বশুর পুত্রবধূ লতাকে ঘরের মধ্যে ধর্ষণের পরে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। এ সময় নিহত লতা বেগমও বাঁচার চেষ্টা করে শশুরকে সারা শরীরে আঘাত করেন। কিন্তু আঘাত করেও তিনি মৃত্যুর কাছে হেরে যান। পরে স্থানীয়রা দুপুরে ঘরের মধ্যে লতা বেগমের লাশ দেখে সাভার মডেল থানা পুলিশকে খবর দেয়।
এদিকে নিহত লতার বাবা আব্দুস সালাম যৌতুক ও ধর্ষণের অভিযোগ করেন স্বামী ও শ্বশুড়ের বিরুদ্ধে ।
এ ঘটনার পর থেকে লতা বেগমের স্বামী সেলিম মিয়া পলাতক রয়েছে।
সাভার থানার ওসি মোঃ জুয়েল মিঞা বলেন, প্রাথমিকভাবে শ্বশুর মাসুদ পুলিশের কাছে ধর্ষণ চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যার কথা স্বীকার করেছে। তবে এর সাথে আরও কেউ জড়িত আছে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলেও জানান।