০২:৫৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫, ৩ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জামালপুরে মাইকে ঘোষণা দিয়ে ৭ পরিবারকে সমাজচ্যুত

জামালপুরে গ্রাম্য সালিশের সিদ্ধান্ত না মানায় ঢাকঢোল পিটিয়ে মাইকে ঘোষণা দিয়ে সাত পরিবারকে সমাজচ্যুত করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় শনিবার (১৪ জুন) জামালপুর সদর থানায় অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জামালপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু ফয়সল মো. আতিক।
এর আগে গত শুক্রবার দিবাগত রাত ১১টার দিকে ঘটনাটি জামালপুর পৌর এলাকার দাপুনিয়া গ্রামে ঢাকঢোল পিটিয়ে মাইকে ঘোষণা দিয়ে তাদের সমাজচ্যুত করা হয়। এরপর থেকে পরিবারগুলো বাড়িতেই অবস্থান করেছে।
জানা যায়, শুক্রবার দুপুরে পৌর এলাকার দাপুনিয়া গ্রামের মো. মন্টু সঙ্গে বিদ্যুৎতের সংযোগ নিয়ে মো. মুনছুর মিয়ার সঙ্গে মারধরের ঘটনা ঘটে। ঘটনাটি মীমাংসার জন্য ওইদিন রাত ৮টার দিকে দাপুনিয়া পশ্চিমপাড়া বকুলতলা মোড়ে গ্রাম্য সালিশের আয়োজন করা হয়। সালিশের মাতব্বররা মো. মুনছুর মিয়াকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেন।
জরিমানার টাকা দিতে অস্বীকার করায় মুনছুর মিয়ার সাত পরিবারকে সমাজচ্যুত করা হয়। পরে রাতে এলাকায় ঢাকঢোল পিটিয়ে ও মাইকিং করে সমাজচ্যুত সাত পরিবারের নাম ঘোষণা করা হয়।
সমাজচ্যুত ইসমাইল মৌলভী বলেন, ‘মসজিদের লোকজন মিটিং করে মাইক দিয়ে ঢোল বাজাইয়ে নাচগান করে এক ঘরে করে দিছে। এখন বাইরে গেলে কিছু মানুষ টিটকারি দিচ্ছে। দোকানে সদাই (খাবার) দিতেছে না। আর মারতেও আসে তারা।’
এলাকাবাসী দিদার বলেন, ‘এলাকা দুভাগে ভাগ করা। এক ভাগের কতিপয় কিছুলোক সামান্য ঘটনা নিয়ে অন্যদের আটক করেছেন। আমরা এইটা চাচ্ছি না কেউ আটক থাকুক।’
অভিযুক্ত শামীম আহম্মেদ বলেন, ‘বিদ্যুতের কাজ করতে গেলে কথাকাটাকাটি হয়েছে। শুক্রবার মসজিদে এসে মিথ্যা অভিযোগে মারপিট করেছে। এ জন্য এমনটা করা হয়েছে।’
জামালপুর সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. সালেহীন আশেকীন বলেন, ‘এ ব্যাপারে আমরা অভিযোগ পেয়েছি। তার প্রেক্ষিতে পুলিশ পাঠিয়েছি। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে। পরিবারগুলো চলাফেরা করছে। রাতে তারা বসে সমাধান করার কথা। সমাধান না হলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
ট্যাগঃ
প্রতিনিধির তথ্য

জনপ্রিয় পোস্ট

কুমিল্লা-১ দাউদকান্দি- তিতাস আসনে বিএনপির একমাত্র যোগ্য প্রার্থী ড.খন্দকার মারুফ হোসেন বলনেন মেহেদী হাসান সেলিম

জামালপুরে মাইকে ঘোষণা দিয়ে ৭ পরিবারকে সমাজচ্যুত

পোস্ট হয়েছেঃ ০৯:১২:৪৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫
জামালপুরে গ্রাম্য সালিশের সিদ্ধান্ত না মানায় ঢাকঢোল পিটিয়ে মাইকে ঘোষণা দিয়ে সাত পরিবারকে সমাজচ্যুত করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় শনিবার (১৪ জুন) জামালপুর সদর থানায় অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জামালপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু ফয়সল মো. আতিক।
এর আগে গত শুক্রবার দিবাগত রাত ১১টার দিকে ঘটনাটি জামালপুর পৌর এলাকার দাপুনিয়া গ্রামে ঢাকঢোল পিটিয়ে মাইকে ঘোষণা দিয়ে তাদের সমাজচ্যুত করা হয়। এরপর থেকে পরিবারগুলো বাড়িতেই অবস্থান করেছে।
জানা যায়, শুক্রবার দুপুরে পৌর এলাকার দাপুনিয়া গ্রামের মো. মন্টু সঙ্গে বিদ্যুৎতের সংযোগ নিয়ে মো. মুনছুর মিয়ার সঙ্গে মারধরের ঘটনা ঘটে। ঘটনাটি মীমাংসার জন্য ওইদিন রাত ৮টার দিকে দাপুনিয়া পশ্চিমপাড়া বকুলতলা মোড়ে গ্রাম্য সালিশের আয়োজন করা হয়। সালিশের মাতব্বররা মো. মুনছুর মিয়াকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেন।
জরিমানার টাকা দিতে অস্বীকার করায় মুনছুর মিয়ার সাত পরিবারকে সমাজচ্যুত করা হয়। পরে রাতে এলাকায় ঢাকঢোল পিটিয়ে ও মাইকিং করে সমাজচ্যুত সাত পরিবারের নাম ঘোষণা করা হয়।
সমাজচ্যুত ইসমাইল মৌলভী বলেন, ‘মসজিদের লোকজন মিটিং করে মাইক দিয়ে ঢোল বাজাইয়ে নাচগান করে এক ঘরে করে দিছে। এখন বাইরে গেলে কিছু মানুষ টিটকারি দিচ্ছে। দোকানে সদাই (খাবার) দিতেছে না। আর মারতেও আসে তারা।’
এলাকাবাসী দিদার বলেন, ‘এলাকা দুভাগে ভাগ করা। এক ভাগের কতিপয় কিছুলোক সামান্য ঘটনা নিয়ে অন্যদের আটক করেছেন। আমরা এইটা চাচ্ছি না কেউ আটক থাকুক।’
অভিযুক্ত শামীম আহম্মেদ বলেন, ‘বিদ্যুতের কাজ করতে গেলে কথাকাটাকাটি হয়েছে। শুক্রবার মসজিদে এসে মিথ্যা অভিযোগে মারপিট করেছে। এ জন্য এমনটা করা হয়েছে।’
জামালপুর সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. সালেহীন আশেকীন বলেন, ‘এ ব্যাপারে আমরা অভিযোগ পেয়েছি। তার প্রেক্ষিতে পুলিশ পাঠিয়েছি। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে। পরিবারগুলো চলাফেরা করছে। রাতে তারা বসে সমাধান করার কথা। সমাধান না হলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।’