০১:৩৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন ২০২৫, ৪ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ধান কাটার মেশিন দেখতে জড়ো হলে পুলিশ সদস্যরা নারীদের লাঠিচার্জ করে

অত্যাধুনিক মেশিন (কম্বাইন হারভেস্টার) দ্বারা ধান কাটা হচ্ছে। এলাকায় প্রথম এমন ঘটনা ঘটছে। মেশিনের সাহায্যে কাটা হচ্ছে বিঘার পর বিঘা জমির ধান। এমন খবর পেয়ে সেই ধান কাটার মেশিন দেখতে ছুটে যান নারীরা। কিন্তু ধান কাটার মেশিন দেখতে গিয়ে সেখানে কিছু বুঝে ওঠার আগেই পুলিশের লাঠিচার্জে আহত হন নারীরা। এতে ১১ নারী গুরুতর আহত হয়ে চিকিৎসা নেন হাসপাতালে। এ ঘটনায় গেল মাসে এসআই আজিম আলীকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ পুলিশ লাইনে প্রত্যাহার (ক্লোজ) করা হয়েছে। একই ঘটনায় গতকাল মঙ্গলবার প্রত্যাহার করে দুপুর ১২টার মধ্যে রাজশাহী রিজার্ভ ফোর্সে যোগদান করতে গোমস্তাপুর থানার ওসি রইস উদ্দিনকে নির্দেশ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
সরেজমিনে অনুসন্ধানে জানা যায়, শুধু লাঠিচার্জ নয়, ঘটনাস্থলে পুলিশের পক্ষ থেকে ছোড়া হয় রাবার বুলেট। অভিযোগ রয়েছে, গোমস্তাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রইস উদ্দীনের উপস্থিতিতে ও নির্দেশে এই লাঠিচার্জে নেতৃত্ব দেন একই থানার সাবেক উপপরিদর্শক (এসআই) আজিম।
স্থানীয়রা জানান, কায়েমপুর ইউনিয়নের জগদিসপুর মৌজায় ৩০-৪০ জনের ১৮০ বিঘা জমি রয়েছে। তবে এসব জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ঝামেলা চলে আসছে স্থানীয় বাসিন্দা রফিকুল ইসলামের সঙ্গে বেগপুর গ্রামের আজগর আলীসহ কয়েকজন ব্যক্তির। গত ১ মে সকালে এসব জমিতে যন্ত্র দিয়ে ধান কাটছিলেন। এ সময় এলাকায় নারীরা যন্ত্র দিয়ে কীভাবে ধান কাটা হচ্ছে তা দেখতে গিয়েছিলেন। এতেই বাধে বিপত্তি। পুলিশ ধান কাটা বন্ধ করতে গিয়ে নারীদের ওপর চালায় অমানবিক নির্যাতন। এতে গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন অন্তত ১১ জন নারী।
শিবনগর গ্রামের বাসিন্দা বইফুল বেগম বলেন, ‘সকালে জানতে পারি এলাকায় যন্ত্র দিয়ে ধান কাটা হবে। সকালের সব কাজ শেষ করে বের হয়েছিলাম যন্ত্র দিয়ে ধান কাটা দেখতে। কিন্তু অর্ধেক রাস্তা যাওয়ার পরে হঠাৎ কয়েকটি পুলিশের গাড়ি এসে আমাদের আটকে দেয়। আমরা নাকি ধান কাটতে গিয়েছি এমন অভিযোগ তুলে আমাদের মারধর শুরু করে পুলিশ। এমনকি গুলিও চালানো হয় আমাদের লক্ষ করে। এ সময় আমার পায়ে আঘাত লাগে। গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে চার দিন ভর্তি ছিলাম। এখনো হাঁটতে পারছি না।’
ট্যাগঃ
প্রতিনিধির তথ্য

জনপ্রিয় পোস্ট

পটিয়ায় হাইস চালকের লাশ উদ্ধার

ধান কাটার মেশিন দেখতে জড়ো হলে পুলিশ সদস্যরা নারীদের লাঠিচার্জ করে

পোস্ট হয়েছেঃ ১০:২৮:৪৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫
অত্যাধুনিক মেশিন (কম্বাইন হারভেস্টার) দ্বারা ধান কাটা হচ্ছে। এলাকায় প্রথম এমন ঘটনা ঘটছে। মেশিনের সাহায্যে কাটা হচ্ছে বিঘার পর বিঘা জমির ধান। এমন খবর পেয়ে সেই ধান কাটার মেশিন দেখতে ছুটে যান নারীরা। কিন্তু ধান কাটার মেশিন দেখতে গিয়ে সেখানে কিছু বুঝে ওঠার আগেই পুলিশের লাঠিচার্জে আহত হন নারীরা। এতে ১১ নারী গুরুতর আহত হয়ে চিকিৎসা নেন হাসপাতালে। এ ঘটনায় গেল মাসে এসআই আজিম আলীকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ পুলিশ লাইনে প্রত্যাহার (ক্লোজ) করা হয়েছে। একই ঘটনায় গতকাল মঙ্গলবার প্রত্যাহার করে দুপুর ১২টার মধ্যে রাজশাহী রিজার্ভ ফোর্সে যোগদান করতে গোমস্তাপুর থানার ওসি রইস উদ্দিনকে নির্দেশ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
সরেজমিনে অনুসন্ধানে জানা যায়, শুধু লাঠিচার্জ নয়, ঘটনাস্থলে পুলিশের পক্ষ থেকে ছোড়া হয় রাবার বুলেট। অভিযোগ রয়েছে, গোমস্তাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রইস উদ্দীনের উপস্থিতিতে ও নির্দেশে এই লাঠিচার্জে নেতৃত্ব দেন একই থানার সাবেক উপপরিদর্শক (এসআই) আজিম।
স্থানীয়রা জানান, কায়েমপুর ইউনিয়নের জগদিসপুর মৌজায় ৩০-৪০ জনের ১৮০ বিঘা জমি রয়েছে। তবে এসব জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ঝামেলা চলে আসছে স্থানীয় বাসিন্দা রফিকুল ইসলামের সঙ্গে বেগপুর গ্রামের আজগর আলীসহ কয়েকজন ব্যক্তির। গত ১ মে সকালে এসব জমিতে যন্ত্র দিয়ে ধান কাটছিলেন। এ সময় এলাকায় নারীরা যন্ত্র দিয়ে কীভাবে ধান কাটা হচ্ছে তা দেখতে গিয়েছিলেন। এতেই বাধে বিপত্তি। পুলিশ ধান কাটা বন্ধ করতে গিয়ে নারীদের ওপর চালায় অমানবিক নির্যাতন। এতে গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন অন্তত ১১ জন নারী।
শিবনগর গ্রামের বাসিন্দা বইফুল বেগম বলেন, ‘সকালে জানতে পারি এলাকায় যন্ত্র দিয়ে ধান কাটা হবে। সকালের সব কাজ শেষ করে বের হয়েছিলাম যন্ত্র দিয়ে ধান কাটা দেখতে। কিন্তু অর্ধেক রাস্তা যাওয়ার পরে হঠাৎ কয়েকটি পুলিশের গাড়ি এসে আমাদের আটকে দেয়। আমরা নাকি ধান কাটতে গিয়েছি এমন অভিযোগ তুলে আমাদের মারধর শুরু করে পুলিশ। এমনকি গুলিও চালানো হয় আমাদের লক্ষ করে। এ সময় আমার পায়ে আঘাত লাগে। গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে চার দিন ভর্তি ছিলাম। এখনো হাঁটতে পারছি না।’