০৯:৫৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন ২০২৫, ৫ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

অধিকার পরিপন্থী এক নিদারুণ নীতির পেশা- শিক্ষকতা

  • Miah Suleman
  • পোস্ট হয়েছেঃ ০৬:৪১:০২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন ২০২৫
  • 227
হরেক রকমের পেশার মধ্যে একটি হলো শিক্ষকতা। এই পেশার বিভিন্ন শ্রেনি-উপশ্রেনি বিভাজিত হয়ে একটি অংশ এমপিও পদে শিক্ষক চাকরি। দেশের ৯৭% শিক্ষা যোগান দেয়া সত্বেও মহাকারের বৈষম্যে পতিত। সম্প্রতি এনটিআরসিএ নিয়োগ সুপারিশ প্রদান করবে বলে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে। তাই আবেদনকারীর আবেদন করার পূর্বে কতিপয় বিবেচ্য বিষয় মাথায় রাখা জরুরি-
1. অর্থনৈতিকভাবে অপ্রতিদানমূলক ও বেতন তুলনামূলকভাবে কম এবং মহাকারে স্বল্প।
২. পরিশ্রম ও দায়িত্বের বিপরীতে আর্থিক পুরস্কার অনেক ক্ষেত্রেই অনুপাতহীন ও একেবারেই শুন্য।
৩. সামাজিক মর্যাদা পূর্বের তুলনায় বর্তমানে খুবই কম। একসময় উচ্চ ধারণা থাকলেও পুঁজিবাদের যুগে প্রায় মাইনাস।
৪. চরম আর্থিক মানসিক চাপ এবং ক্ষেত্র বিশেষ প্রশাসনিক কাজ, ব্যবস্থাপনা প্রেসার থাকে ফ্রী।
৫. স্বাধীনতার সীমাবদ্ধতায় নিয়ম-কানুন ও পরীক্ষাভিত্তিক শিক্ষাব্যবস্থা ইচ্ছাধীনতা যায় কবরে।
৬. পেশাগত উন্নতির সুযোগ সীমিত। তাই এই ক্যারিয়ার গ্রোথ ধীর এবং নির্দিষ্ট গণ্ডির মধ্যে সীমাবদ্ধ।
৭. একই প্রতিষ্ঠানে দীর্ঘদিন কাজ করার কারণে মনে হবে আয়নাঘর বা হাওয়াবাসে নির্বাসিত।
৮. ছাত্র-অভিভাবকের অতিরিক্ত প্রত্যাশা পূরণে হোচট খেলে অনেক সময় অযৌক্তিক চাপের মুখে পড়তে হয়।
সর্বোপরি, বদলির কোন নিয়ম নেই। বদলি হয় হয় বলে তার কোন হদিস নেই।
সুতরাং, আবেদনকারীকে বিচক্ষণতার সাথে চিন্তা করে আবেদন করে চাকরি লাভ করার জন্য মতামত প্রদান করা হলো।
ট্যাগঃ
প্রতিনিধির তথ্য

জনপ্রিয় পোস্ট

পাংশায় পাওনা টাকা না পেয়ে শ্বশুরকে গাছে বেঁধে নির্যাতন, জামাতাসহ আটক ৩

অধিকার পরিপন্থী এক নিদারুণ নীতির পেশা- শিক্ষকতা

পোস্ট হয়েছেঃ ০৬:৪১:০২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন ২০২৫
হরেক রকমের পেশার মধ্যে একটি হলো শিক্ষকতা। এই পেশার বিভিন্ন শ্রেনি-উপশ্রেনি বিভাজিত হয়ে একটি অংশ এমপিও পদে শিক্ষক চাকরি। দেশের ৯৭% শিক্ষা যোগান দেয়া সত্বেও মহাকারের বৈষম্যে পতিত। সম্প্রতি এনটিআরসিএ নিয়োগ সুপারিশ প্রদান করবে বলে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে। তাই আবেদনকারীর আবেদন করার পূর্বে কতিপয় বিবেচ্য বিষয় মাথায় রাখা জরুরি-
1. অর্থনৈতিকভাবে অপ্রতিদানমূলক ও বেতন তুলনামূলকভাবে কম এবং মহাকারে স্বল্প।
২. পরিশ্রম ও দায়িত্বের বিপরীতে আর্থিক পুরস্কার অনেক ক্ষেত্রেই অনুপাতহীন ও একেবারেই শুন্য।
৩. সামাজিক মর্যাদা পূর্বের তুলনায় বর্তমানে খুবই কম। একসময় উচ্চ ধারণা থাকলেও পুঁজিবাদের যুগে প্রায় মাইনাস।
৪. চরম আর্থিক মানসিক চাপ এবং ক্ষেত্র বিশেষ প্রশাসনিক কাজ, ব্যবস্থাপনা প্রেসার থাকে ফ্রী।
৫. স্বাধীনতার সীমাবদ্ধতায় নিয়ম-কানুন ও পরীক্ষাভিত্তিক শিক্ষাব্যবস্থা ইচ্ছাধীনতা যায় কবরে।
৬. পেশাগত উন্নতির সুযোগ সীমিত। তাই এই ক্যারিয়ার গ্রোথ ধীর এবং নির্দিষ্ট গণ্ডির মধ্যে সীমাবদ্ধ।
৭. একই প্রতিষ্ঠানে দীর্ঘদিন কাজ করার কারণে মনে হবে আয়নাঘর বা হাওয়াবাসে নির্বাসিত।
৮. ছাত্র-অভিভাবকের অতিরিক্ত প্রত্যাশা পূরণে হোচট খেলে অনেক সময় অযৌক্তিক চাপের মুখে পড়তে হয়।
সর্বোপরি, বদলির কোন নিয়ম নেই। বদলি হয় হয় বলে তার কোন হদিস নেই।
সুতরাং, আবেদনকারীকে বিচক্ষণতার সাথে চিন্তা করে আবেদন করে চাকরি লাভ করার জন্য মতামত প্রদান করা হলো।