
সিরাজগঞ্জে পাড়া মহল্লায় সংঘর্ষ, মাদক,চাঁদাবাজ ও দখলদারিত্বের সাথে বিএনপি ও তার সকল অংগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা কর্মীরা জড়ালেই তাদের বিরুদ্ধে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্হা নেওয়া হবে। পতিত ফ্যাসিষ্ট সরকারের দোসররা বিভিন্ন দলের মধ্যে ঢুকে সিরাজগঞ্জ শহর কে অস্থিতিশীল করার জন্য উঠে পরে লেগেছে। তার সাথে আমাদের দলের কিছু সুবিধাবাদী নেতা কর্মীরা যুক্ত হয়ে পাড়া মহল্লার মধ্যে সংঘর্ষ জিয়ে রাখছে। এ রকম সুবিধাবাদী নেতা কর্মীদের বিরুদ্ধে সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপি থেকে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্হা নেওয়া হবে। গত ১৭ জুন মঙ্গলবার বাদ মাগরিব সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপি কার্যালয়ে সিরাজগঞ্জ পৌর বিএনপির এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন, বিএনপি কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য, সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক, সিরাজগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির প্রেসিডেন্ট সাইদুর রহমান বাচ্চু।
তিনি আরও বলেন, এ শহর আমাদের এ শহরের শৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্বও আমাদের বিগত ১৭ বছর শহরের পাড়া মহল্লায় ফ্যাসিষ্ট আওয়ামী লীগ সাধারণ মানুষ কে জিম্মি করে রেখেছিল সেখান থেকে ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে ৫ আগষ্ট এদেশ স্বৈরাচার মুক্ত হয়। কিন্তু স্বৈরাচার মুক্ত হলেও স্বৈরাচারের দোসররা শহরকে অস্থিতিশীল করার জন্য ওঠে পরে লেগেছে। সেজন্য বিএনপি ও তার সকল অংগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা কর্মীদের সর্বদা সজাগ থাকতে হবে। সাধারণ মানুষকে পাহাড়া দেওয়ার দায়িত্ব আমাদের কোনো ভাবেই যেনো তাদের সম্পদ নষ্ট না হয় এ ব্যাপারে আমাদের সচেষ্ট থাকতে হবে।
মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন, সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ও সিরাজগঞ্জ পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি জাহাঙ্গীর হোসেন ভূইয়া সেলিম ও পরিচালনা করেন, সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক, সিরাজগঞ্জ পৌর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মুন্সি জাহেদ আলম।
মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন, সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি নাজমুল হাসান তালুকদার রানা,সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক ভিপি শামীম খান, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাইদ সুইট, মির্জা মোস্তফা জামান,আলমগীর আলম,পৌর বিএনপির সাবেক সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক রেজাউল জোয়ার্দার, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক রেজাউল করিম কারেন্ট প্রমুখ।
তিনি আরও বলেন, সিরাজগঞ্জ শহরের আসেপাশে গড়ে উঠেছে বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠান, গড়ে উঠেছে শিল্প পার্ক, ইকোনমিক জোনসহ নানা ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান এরকম তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে পাড়া মহল্লায় সংঘর্ষ চলতে থাকে তাহলে বিনিয়োগ কারীরা মুখ ফিরিয়ে নিবে তখন হাজার হাজার শ্রমিক কর্মচারী বেকার হয়ে পরবে। সেজন্য আমাদের সকলের উচিৎ প্রশাসনকে সহযোগিতা করে অতিদ্রুত শৃঙ্খলা ফিরে আনা। নতুন করে কেউ যদি সংঘর্ষে জড়ায় তাহলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্হা নেওয়া হবে।