০২:২২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৩ জুলাই ২০২৫, ১৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ফকিরহাটে চিরকুট লিখে যুবকের আত্মহত্যা: পরিবার ও সমাজে শোকের ছায়া

  • আজীজুল গাজী
  • পোস্ট হয়েছেঃ ০৮:৪৯:৪৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২ জুলাই ২০২৫
  • 172
বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলায় চিরকুট লিখে এক যুবকের আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। বুধবার (২ জুলাই) সকালে উপজেলার বালিয়াডাঙ্গা গ্রামে নিজ ঘরে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন বিশ্বাস নাজমুল হাসান (২৫)। তিনি ওই গ্রামের বাসিন্দা বিশ্বাস আঃ হকের ছেলে।পুলিশের প্রাথমিক তদন্ত
খবর পেয়ে ফকিরহাট সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. রবিউল ইসলাম শামীম, ফকিরহাট মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ আবদুর রাজ্জাক মীর, এবং উপ-পরিদর্শক আঃ রাজ্জাক ঘটনাস্থলে পৌঁছান।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে পুলিশ প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে, নাজমুল ঘরের আড়ার সঙ্গে রশি দিয়ে আত্মহত্যা করেন। মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বাগেরহাট সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।চিরকুটে লেখা শেষ বার্তা
নাজমুলের ঝুলন্ত মরদেহের পাশে পাওয়া যায় একটি চিরকুট, যেখানে তিনি লেখেন:
“আব্বা, আম্মা, হাজেলা আপা, জিয়া ভাই, জিনিয়া, তারকরিম সহ সবাই আমাকে মাফ করে দিও। কেউ আমার মৃত্যুর জন্য দায়ী নয়। হিংসা ও অহংকার মানুষকে শেষ করে দেয়। আমি মানসিক যন্ত্রণায় বেঁচে থাকতে পারছি না। কিছু মানুষ আমার কাছে টাকা পাবে, দিয়ে দিও। আব্বা পরিবারের রাজা, কিন্তু আমি যা করেছি তার জন্য নিজেকে ক্ষমা করতে পারব না।”
চিরকুটের শেষে তিনি নিজেকে উল্লেখ করেন: “সবার অপ্রিয়, বিশ্বাস নাজমুল”।পরিবারের প্রতিক্রিয়া
নিহতের বাবা বলেন, “ছেলে কিছুদিন ধরে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিল, কিন্তু সে কখনো কিছু বলেনি। ভোরে তাকে ঝুলন্ত অবস্থায় পেয়ে আমরা পুলিশে খবর দিই।” থানা পুলিশের বক্তব্য
ফকিরহাট মডেল থানার ওসি আবদুর রাজ্জাক মীর বলেন,
“চিরকুটটি নিহত যুবকের নিজের লেখা কি না তা যাচাই করা হচ্ছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পাওয়ার পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে।”একটি প্রাণের মর্মান্তিক অবসান
এই ঘটনা বালিয়াডাঙ্গা গ্রামজুড়ে শোকের ছায়া ফেলেছে। তরুণ বয়সে এমন একটি করুণ সিদ্ধান্তকে কেন্দ্র করে আত্মহত্যার কারণ নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
 মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতনতা জরুরি। আত্মহত্যা কোনো সমস্যার সমাধান নয়। হতাশায় ভুগলে পরিবারের সাথে কথা বলুন, প্রয়োজনে মনোবিজ্ঞানী বা কাউন্সেলরের সাহায্য নিন।
ট্যাগঃ
প্রতিনিধির তথ্য

জনপ্রিয় পোস্ট

কেশবপুরে মৎস্য ঘের সংক্রান্ত বিরোধে প্রতিপক্ষের হামলায় ৪ জন আহত

ফকিরহাটে চিরকুট লিখে যুবকের আত্মহত্যা: পরিবার ও সমাজে শোকের ছায়া

পোস্ট হয়েছেঃ ০৮:৪৯:৪৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২ জুলাই ২০২৫
বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলায় চিরকুট লিখে এক যুবকের আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। বুধবার (২ জুলাই) সকালে উপজেলার বালিয়াডাঙ্গা গ্রামে নিজ ঘরে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন বিশ্বাস নাজমুল হাসান (২৫)। তিনি ওই গ্রামের বাসিন্দা বিশ্বাস আঃ হকের ছেলে।পুলিশের প্রাথমিক তদন্ত
খবর পেয়ে ফকিরহাট সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. রবিউল ইসলাম শামীম, ফকিরহাট মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ আবদুর রাজ্জাক মীর, এবং উপ-পরিদর্শক আঃ রাজ্জাক ঘটনাস্থলে পৌঁছান।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে পুলিশ প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে, নাজমুল ঘরের আড়ার সঙ্গে রশি দিয়ে আত্মহত্যা করেন। মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বাগেরহাট সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।চিরকুটে লেখা শেষ বার্তা
নাজমুলের ঝুলন্ত মরদেহের পাশে পাওয়া যায় একটি চিরকুট, যেখানে তিনি লেখেন:
“আব্বা, আম্মা, হাজেলা আপা, জিয়া ভাই, জিনিয়া, তারকরিম সহ সবাই আমাকে মাফ করে দিও। কেউ আমার মৃত্যুর জন্য দায়ী নয়। হিংসা ও অহংকার মানুষকে শেষ করে দেয়। আমি মানসিক যন্ত্রণায় বেঁচে থাকতে পারছি না। কিছু মানুষ আমার কাছে টাকা পাবে, দিয়ে দিও। আব্বা পরিবারের রাজা, কিন্তু আমি যা করেছি তার জন্য নিজেকে ক্ষমা করতে পারব না।”
চিরকুটের শেষে তিনি নিজেকে উল্লেখ করেন: “সবার অপ্রিয়, বিশ্বাস নাজমুল”।পরিবারের প্রতিক্রিয়া
নিহতের বাবা বলেন, “ছেলে কিছুদিন ধরে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিল, কিন্তু সে কখনো কিছু বলেনি। ভোরে তাকে ঝুলন্ত অবস্থায় পেয়ে আমরা পুলিশে খবর দিই।” থানা পুলিশের বক্তব্য
ফকিরহাট মডেল থানার ওসি আবদুর রাজ্জাক মীর বলেন,
“চিরকুটটি নিহত যুবকের নিজের লেখা কি না তা যাচাই করা হচ্ছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পাওয়ার পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে।”একটি প্রাণের মর্মান্তিক অবসান
এই ঘটনা বালিয়াডাঙ্গা গ্রামজুড়ে শোকের ছায়া ফেলেছে। তরুণ বয়সে এমন একটি করুণ সিদ্ধান্তকে কেন্দ্র করে আত্মহত্যার কারণ নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
 মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতনতা জরুরি। আত্মহত্যা কোনো সমস্যার সমাধান নয়। হতাশায় ভুগলে পরিবারের সাথে কথা বলুন, প্রয়োজনে মনোবিজ্ঞানী বা কাউন্সেলরের সাহায্য নিন।