০২:১০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫, ৪ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আসন্ন ঈদুল ফিতরে নগরবাসীকে ১৪টি নির্দেশনা মেনে চলার অনুরোধ জানিয়েছে ডিএমপি

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) আসন্ন ঈদুল ফিতরে বাসা-বাড়ি, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও বিপণি-বিতানের অধিকতর নিরাপত্তা নিশ্চিতে নগরবাসীকে ১৪টি নির্দেশনা মেনে চলার অনুরোধ জানিয়েছে।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) বুধবার (১৯ মার্চ) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব নির্দেশনা দেওয়া হয়।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঈদুল ফিতর উৎসবমুখর ও নিরাপদ পরিবেশে উদযাপনের লক্ষ্যে এবং ঈদে বাসা-বাড়ি, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও বিপণি-বিতানের সার্বিক নিরাপত্তায় সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে ডিএমপি। পুলিশকে সহায়তার জন্য ইতোমধ্যে অক্সিলারি পুলিশ নিয়োগ করা হয়েছে। ডিএমপি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে পুলিশের গৃহীত পদক্ষেপের পাশাপাশি ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান পর্যায়ে নিরাপত্তা সচেতনতাবোধ তৈরি করা গেলে, সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়নে ও অপরাধ দমনে অধিকতর সফল হওয়া সম্ভব।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ-ডিএমপির গৃহীত নিরাপত্তা ব্যবস্থার পাশাপাশি ঈদে বাসা-বাড়ি, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও বিপণি বিতানের অধিকতর নিরাপত্তা নিশ্চিতে নগরবাসীকে ডিএমপি ১৪টি নির্দেশনা মেনে চলার অনুরোধও জানিয়েছে। নির্দেশনাগুলো হলো-

১. বাসা-বাড়ি, অ্যাপার্টমেন্ট, ব্যাংক-বীমাসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও বিপণি বিতানের নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত নিরাপত্তারক্ষীদের ডিউটি জোরদার করতে হবে এবং যেকোনো অবৈধ অনুপ্রবেশ রোধে দিন-রাত ২৪ ঘণ্টা নজরদারির ব্যবস্থা রাখতে হবে। সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা তদারকির জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।  প্রতিষ্ঠানের সব কর্মকর্তা-কর্মচারীকে একসঙ্গে ছুটি প্রদান না করে একটি অংশকে দায়িত্বপালনে নিয়োজিত রাখা যেতে পারে, যাতে তারা প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা ব্যবস্থা সার্বিক তদারক করতে পারেন।

২. বাসা-বাড়ি ও প্রতিষ্ঠান ত্যাগের পূর্বে দরজা-জানালা সঠিকভাবে তালাবদ্ধ করে যেতে হবে। প্রয়োজনে একাধিক তালা ব্যবহার করা যেতে পারে। দরজা-জানালা দুর্বল অবস্থায় থাকলে তা মেরামত করে যথাসম্ভব সুরক্ষিত করতে হবে।

৩. বাসা-বাড়ি, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও বিপণি বিতানে পর্যাপ্ত সংখ্যক সিসি ক্যামেরা স্থাপন করতে হবে এবং স্থাপিত সিসি ক্যামেরা সচল থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে।

৪. বাসা-বাড়ির মূল দরজায় অটোলক ও নিরাপত্তা অ্যালার্মযুক্ত তালা ব্যবহার করা যেতে পারে।

৫. রাতে বাসা ও প্রতিষ্ঠানের চারপাশ পর্যাপ্ত আলোকিত রাখার ব্যবস্থা করতে হবে।

৬. অর্থ, মূল্যবান সামগ্রী ও দলিল নিরাপদ স্থানে বা নিকট আত্মীয়ের হেফাজতে রেখে যেতে হবে। প্রয়োজনে ব্যাংক লকারের সহায়তা নেওয়া যেতে পারে।

৭. বাসা-বাড়ি ত্যাগের পূর্বে যেসব প্রতিবেশি/পাশের ফ্ল্যাটের অধিবাসী ঢাকায় অবস্থান করবেন, তাদের বাসার প্রতি লক্ষ্য রাখতে অনুরোধ করতে হবে এবং ফোনে তাদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রাখতে হবে।

৮. ভাড়াটিয়াদের আগে থেকেই  বাসার মালিককে ঈদ উপলক্ষে বাসা ত্যাগের বিষয়টি অবহিত করতে হবে।

১০. বাসা-বাড়ি বা প্রতিষ্ঠান ত্যাগের পূর্বে লাইট, ফ্যানসহ অন্যান্য ইলেকট্রিক লাইনের সুইচ, পানির ট্যাপ, গ্যাসের চুলা ইত্যাদি বন্ধ করা হয়েছে কি-না, তা নিশ্চিত করতে হবে।

১১. বাসা বা প্রতিষ্ঠানের গাড়ির গ্যারেজ সুরক্ষিত রাখতে হবে।

১২. বাসার জানালা/দরজার পাশে কোনো গাছ থাকলে অবাঞ্ছিত শাখা-প্রশাখা কেটে ফেলতে হবে, যাতে অপরাধীরা গাছের শাখা-প্রশাখা ব্যবহার করে বাসায় প্রবেশ করতে না পারে।

১৩. মহল্লা/বাড়ির সামনে সন্দেহজনক কাউকে/দুষ্কৃতকারীকে ঘোরাফেরা করতে দেখলে স্থানীয় পুলিশ ফাঁড়ি ও থানাকে অবহিত করতে হবে।

১৪. ঈদে মহল্লা/বাসায় কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে থাকলে বা ঘটার সম্ভাবনা থাকলে তা স্থানীয় পুলিশ ফাঁড়ি ও থানাকে অবহিত করতে হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে জরুরি প্রয়োজনে পুলিশি সহায়তার জন্য কয়েকটি নম্বরও দেওয়া হয়েছে। নম্বরগুলো হলো- ০১৩২০-০৩৭৮৪৫, ০১৩২০-০৩৭৮৪৬, ২২৩৩৮১১৮৮, ০২৪৭১১৯৯৮৮, ০২৯৬১৯৯৯৯। এছাড়াও জাতীয় জরুরি সেবার নম্বরেও (৯৯৯) প্রয়োজনে ফোন করা যাবে।

ট্যাগঃ
প্রতিনিধির তথ্য

জনপ্রিয় পোস্ট

পাথরঘাটায় জেলেদের উপর কোস্টগার্ডের গুলি বর্ষণ

আসন্ন ঈদুল ফিতরে নগরবাসীকে ১৪টি নির্দেশনা মেনে চলার অনুরোধ জানিয়েছে ডিএমপি

পোস্ট হয়েছেঃ ০৯:৫৫:১৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ ২০২৫

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) আসন্ন ঈদুল ফিতরে বাসা-বাড়ি, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও বিপণি-বিতানের অধিকতর নিরাপত্তা নিশ্চিতে নগরবাসীকে ১৪টি নির্দেশনা মেনে চলার অনুরোধ জানিয়েছে।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) বুধবার (১৯ মার্চ) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব নির্দেশনা দেওয়া হয়।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঈদুল ফিতর উৎসবমুখর ও নিরাপদ পরিবেশে উদযাপনের লক্ষ্যে এবং ঈদে বাসা-বাড়ি, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও বিপণি-বিতানের সার্বিক নিরাপত্তায় সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে ডিএমপি। পুলিশকে সহায়তার জন্য ইতোমধ্যে অক্সিলারি পুলিশ নিয়োগ করা হয়েছে। ডিএমপি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে পুলিশের গৃহীত পদক্ষেপের পাশাপাশি ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান পর্যায়ে নিরাপত্তা সচেতনতাবোধ তৈরি করা গেলে, সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়নে ও অপরাধ দমনে অধিকতর সফল হওয়া সম্ভব।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ-ডিএমপির গৃহীত নিরাপত্তা ব্যবস্থার পাশাপাশি ঈদে বাসা-বাড়ি, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও বিপণি বিতানের অধিকতর নিরাপত্তা নিশ্চিতে নগরবাসীকে ডিএমপি ১৪টি নির্দেশনা মেনে চলার অনুরোধও জানিয়েছে। নির্দেশনাগুলো হলো-

১. বাসা-বাড়ি, অ্যাপার্টমেন্ট, ব্যাংক-বীমাসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও বিপণি বিতানের নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত নিরাপত্তারক্ষীদের ডিউটি জোরদার করতে হবে এবং যেকোনো অবৈধ অনুপ্রবেশ রোধে দিন-রাত ২৪ ঘণ্টা নজরদারির ব্যবস্থা রাখতে হবে। সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা তদারকির জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।  প্রতিষ্ঠানের সব কর্মকর্তা-কর্মচারীকে একসঙ্গে ছুটি প্রদান না করে একটি অংশকে দায়িত্বপালনে নিয়োজিত রাখা যেতে পারে, যাতে তারা প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা ব্যবস্থা সার্বিক তদারক করতে পারেন।

২. বাসা-বাড়ি ও প্রতিষ্ঠান ত্যাগের পূর্বে দরজা-জানালা সঠিকভাবে তালাবদ্ধ করে যেতে হবে। প্রয়োজনে একাধিক তালা ব্যবহার করা যেতে পারে। দরজা-জানালা দুর্বল অবস্থায় থাকলে তা মেরামত করে যথাসম্ভব সুরক্ষিত করতে হবে।

৩. বাসা-বাড়ি, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও বিপণি বিতানে পর্যাপ্ত সংখ্যক সিসি ক্যামেরা স্থাপন করতে হবে এবং স্থাপিত সিসি ক্যামেরা সচল থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে।

৪. বাসা-বাড়ির মূল দরজায় অটোলক ও নিরাপত্তা অ্যালার্মযুক্ত তালা ব্যবহার করা যেতে পারে।

৫. রাতে বাসা ও প্রতিষ্ঠানের চারপাশ পর্যাপ্ত আলোকিত রাখার ব্যবস্থা করতে হবে।

৬. অর্থ, মূল্যবান সামগ্রী ও দলিল নিরাপদ স্থানে বা নিকট আত্মীয়ের হেফাজতে রেখে যেতে হবে। প্রয়োজনে ব্যাংক লকারের সহায়তা নেওয়া যেতে পারে।

৭. বাসা-বাড়ি ত্যাগের পূর্বে যেসব প্রতিবেশি/পাশের ফ্ল্যাটের অধিবাসী ঢাকায় অবস্থান করবেন, তাদের বাসার প্রতি লক্ষ্য রাখতে অনুরোধ করতে হবে এবং ফোনে তাদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রাখতে হবে।

৮. ভাড়াটিয়াদের আগে থেকেই  বাসার মালিককে ঈদ উপলক্ষে বাসা ত্যাগের বিষয়টি অবহিত করতে হবে।

১০. বাসা-বাড়ি বা প্রতিষ্ঠান ত্যাগের পূর্বে লাইট, ফ্যানসহ অন্যান্য ইলেকট্রিক লাইনের সুইচ, পানির ট্যাপ, গ্যাসের চুলা ইত্যাদি বন্ধ করা হয়েছে কি-না, তা নিশ্চিত করতে হবে।

১১. বাসা বা প্রতিষ্ঠানের গাড়ির গ্যারেজ সুরক্ষিত রাখতে হবে।

১২. বাসার জানালা/দরজার পাশে কোনো গাছ থাকলে অবাঞ্ছিত শাখা-প্রশাখা কেটে ফেলতে হবে, যাতে অপরাধীরা গাছের শাখা-প্রশাখা ব্যবহার করে বাসায় প্রবেশ করতে না পারে।

১৩. মহল্লা/বাড়ির সামনে সন্দেহজনক কাউকে/দুষ্কৃতকারীকে ঘোরাফেরা করতে দেখলে স্থানীয় পুলিশ ফাঁড়ি ও থানাকে অবহিত করতে হবে।

১৪. ঈদে মহল্লা/বাসায় কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে থাকলে বা ঘটার সম্ভাবনা থাকলে তা স্থানীয় পুলিশ ফাঁড়ি ও থানাকে অবহিত করতে হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে জরুরি প্রয়োজনে পুলিশি সহায়তার জন্য কয়েকটি নম্বরও দেওয়া হয়েছে। নম্বরগুলো হলো- ০১৩২০-০৩৭৮৪৫, ০১৩২০-০৩৭৮৪৬, ২২৩৩৮১১৮৮, ০২৪৭১১৯৯৮৮, ০২৯৬১৯৯৯৯। এছাড়াও জাতীয় জরুরি সেবার নম্বরেও (৯৯৯) প্রয়োজনে ফোন করা যাবে।