
যশোরে জুতার দোকানের কর্মচারী কর্তৃক ক্রেতা দম্পত্তির মারপিটের শিকার ও গৃহবধূকে সিঁড়ি থেকে ফেলে পা ভাঙার অভিযোগ উঠেছে।
জানা গেছে যশোরের বড় বাজারের এইচএমএম রোডে অবস্থিত লিবার্টি গ্যালারির শোরুমে জুতা কিনতে আসেন সাগর দম্পত্তি। ভুক্তভোগী সাগর জানান, তিনি তার স্ত্রী রত্নাকে নিয়ে জুতা কিনতে যান। এ সময় একটি জুতায় তার পা লাগে। এতে করে এক কর্মচারীর সঙ্গে তাদের বাকবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে ৪০ থেকে ৫০ জন কর্মচারী এসে তার স্ত্রীকে দোতলা থেকে লাথি মেরে নিচে ফেলে দেয়। পরে তিনি ঠেকাতে গেলে তাকেও মারপিট করেন। এতে তার স্ত্রীর পা ভেঙে যায়। এ সময় তিনি ঠেকাতে আসলে কর্মচারীরা তাকে বেধড়ক মারপিট করে আহত করে।
ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার রাত ১০টার পর। বিক্ষুব্ধ জনতা এ সময় লিবার্টি শোরুমে হামলা চালায়। ভাঙচুরের চেষ্টাও চালানো হয়। পরে সেনাবাহিনী ও পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, হঠাৎ দেখেন ওই দম্পতিকে দোকানের কর্মচারীরা মারপিট করছে। এ সময় আশপাশের লোকজনও এগিয়ে আসেন। কিন্তু কর্মচারীরা কিছুতেই কারও কথা শুনছিলেন না। এমন সময় পথচারী ও অন্য দোকানের ক্রেতারা এসে প্রতিরোধ গড়ে তোলে। বিক্ষুব্ধ জনতা পাল্টা হামলা চালায় ওই দোকানের কর্মচারীদের ওপর।একপর্যায়ে মেইন গেট আটকে দেয় কর্তৃপক্ষ। পরে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে। এরমাঝে সেনাবাহিনীও ঘটনাস্থলে হাজির হয়। পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।দম্পতিকে যশোর সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। এ বিষয়ে কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত অফিসার ইনচার্জ কাজী বাবুল বলেন, খবর পেয়ে পুলিশের একাধিক টিম ঘটনাস্থলে যায়।
বিক্ষুব্ধ জনতাকে নিভৃত করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। বিষয়টি নিয়ে তারা খোঁজ খবর নিচ্ছেন। এ বিষয়ে লিবার্টি শোরুমের কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তারা কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। তাদের কেউ কেউ পাল্টা অভিযোগ দেন ওই দম্পতির ওপর।এদিকে, ব্যবসায়ী ও স্থানীয়রা জানান, ওই দম্পতিকে পুঁজি করে একটি সংঘবদ্ধ চক্র ফায়দা লুটার চেষ্টা করছিল। তারা লিবার্টিতে হামলা ও লুটপাটের চেষ্টা করে। তবে, পুলিশ ও সেনাবাহিনীর উপস্থিতির পর তারা সটকে পড়ে।