
সুনামগঞ্জের মধ্যনগর উপজেলা বংশীকুন্ডা দক্ষিণ ইউনিয়নে মনাই নদীতে বর্ষায় ভরা যৌবন থাকলেও প্রতি শীত থেকে গ্রীষ্ম পর্যন্ত দেখা দেয় পানির সংকট।ব্যাহত হয় নৌযান চলাচল প্রয়োজনীয় পণ্য স্থানান্তর,এতে করে ব্যাপক ভুগান্তি পোহান নৌযান শ্রমিকেরা। একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে জেগেছে মাঠের মত বিশাল চর এবং এখানে জন্ম নেয় গোবাদি পশুর ঘাস।স্বাধীনতার পর থেকেই এই অঞ্চলে হয়নি নদী খনন।তাই জনসাধারনের একদাবী এখানে প্রয়োজন দ্রুত নদী খনন। এমন চিত্রযেন- “আমাদের ছোট নদী চলে বাঁকে বাঁকে বৈশাখ মাসে তার হাঁটু জল থাকে” কবির ভাষাকেও হাড় মানায় মধ্যনগর উপজেলার বংশীকুন্ডা ইউনিয়নের এই মনাই নদী।যেখানে বৈশাখে হাটু জল থাকার কথা কিন্তু মাঘের শুরুতেই ভেসে উঠে এমন চিত্র।শুকনোর মৌসুমে থাকেনা আগুন নিভানোর পানিও। এবং এলাকার মানুষের ভোগান্তির কোন অভাব নেই।এই শুকনা সময়ে না উটে নলকূপে পানি না থাকে নদীতে পানি।মানুষের গোসল করা সহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় পানির অভাব দেখা দেয় এই সময়ে। আমাদের এই এলাকায় বৎসরে একটাই ফসল উৎপাদন হয়,এমন সময় বৃষ্টি না হলে ফসলে পানি দেওয়ার মত অবস্থাও থাকে না, যার ফলে ফসলে দেখা দেয় অনেক ধরনের সমস্যা,এবং অনেক ফসলি জমি নষ্টও হয়ে যায়। মধ্যনগর উপজেলায় সবচেয়ে বড় বাজার হল মধ্যনগর বাজার, এলাকার মানুষে প্রয়োজনীয় জিনিষ কিনে বাড়িতে পৌছাতে হয় মোটরসাইকেল অথবা অটোরিকশা যার কারণে গুনতে হয় অতিরিক্ত টাকা, এর একমাত্র সমাধান-“নদীখনন”।ভাটি এলাকার কৃষকের বোরোধান আগামবন্যার কবল ও নৌযান চলাচলের মাধ্যমে শ্রমিক বাঁচাতে প্রয়োজন “নদী খনন”এর কোন বিকল্প নেই। তাই জনসাধারণের একটাই দাবী, মনাই নদী সহ মধ্যনগর উপজেলায় যে নদীগুলো রয়েছে সবগুলো নদী খনন করা।