০৪:০২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নান্দাইলে আওয়ামীলীগ নেতার বিরুদ্ধে স্কুলের জায়গা দখলের অভিযোগ

ময়মনসিংহের নান্দাইলে দিলালপুর উচ্চ বিদ্যালয় ও দিলালপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জায়গা দখলের অভিযোগ উঠেছে রফিকুল ইসলাম সরকার নামে এক আওয়ামীলীগ নেতা সহ সহযোগী আরও দুই জনের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় এলাকাবাসীর পক্ষে দিলালপুর (নোয়াগাঁও) গ্রামের মৃত আব্দুল আজিজের পুত্র আব্দুর রাজ্জাক এবং দিলালপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রুহুল আমিন উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর অভিযোগ দিয়েছেন। জানাগেছে, দিলালপুর উচ্চ বিদ্যালয় ও দিলালপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় দুটি সিংরইল ইউনিয়নের দিলালপুর বাজারে একই স্থানে অবস্থিত। অত্র দুটি বিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ ১৯৮৮ সালে এলাকাবাসী ও ছাত্র-ছাত্রীদের চলাচলের সুবিধার জন্য রাস্তা রেখে বিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণ করেছিল। কিন্তু গত দুই সপ্তাহ আগে দিলালপুর (ডেকুরা) গ্রামের মৃত আ: ছাত্তারের পুত্র ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম সরকার, সিদ্দিকুর রহমান ও আব্দুল হালিমের পুত্র মোস্তাফিজুর রহমান জুয়েল বিদ্যালয়ের রাস্তার জায়গা মাটি ফেলে ইট, বালু দিয়ে বাউন্ডারি ওয়াল তৈরি করে দখলের চেষ্টা করছে। উক্ত রাস্তাটি মাটি দিয়ে ভরাট করে বন্ধ করলে দুটি গ্রামের মানুষ ও শিক্ষার্থীদের চলাচলের মারাত্মক বিঘ্ন ঘটবে। রাস্তা বন্ধের ব্যাপারে কেউ প্রতিবাদ করতে গেলেই অভিযুক্ত ব্যক্তিরা বিভিন্ন ধরনের হুমকি দেয়। বিশেষ করে তাঁরা এলাকায় প্রভাব কাটিয়ে চলাফেরায় করায় ভয়ে তাদের ব্যাপারে কেউ মুখ খুলতে চায় না। এ বিষয়ে অভিযোগকারী আব্দুর রাজ্জাক বলেন- ৪০ বছর আগ থেকে বিদ্যালয়ের জায়গায় নির্মিত রাস্তাটি মাটি ফেলে বন্ধ করার চেষ্টা করছে। তাই এ ব্যাপারে ইউএনও’র নিকট অভিযোগ করেছি। দিলালপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রুহুল আমিন জানান- এটাতো বিদ্যালয়ের জায়গা এখানে কোন বিতর্কেও সুযোগ নেই। বিদ্যালয়ের জায়গা রক্ষার স্বার্থে প্রশাসনের নিকট অভিযোগ করেছি। নান্দাইল উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সারমিনা সাত্তার বলেন- একটি অভিযোগ পেয়েছি, অভিযোগটি এসিল্যান্ডকে দেওয়া হয়েছে। তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ বিষয়ে অভিযুক্ত ব্যক্তি রফিকুল ইসলাম সরকার বলেন, এখানের আমার মা-বাবার পারিবারিক কবরস্থানে বাউন্ডারী করতেছি, স্কুলের জায়গা নয়, এটা আমাদের পৈত্রিক সম্পত্তি। যারা অভিযোগ দিয়েছে তারাও তো আওয়ামীলীগের লোক।

ট্যাগঃ
প্রতিনিধির তথ্য

বিয়ে শেষে ভাগ্নিকে এগিয়ে দিতে গিয়ে খুন হলেন মামা

নান্দাইলে আওয়ামীলীগ নেতার বিরুদ্ধে স্কুলের জায়গা দখলের অভিযোগ

পোস্ট হয়েছেঃ ০৪:৩৬:৪২ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ এপ্রিল ২০২৫

ময়মনসিংহের নান্দাইলে দিলালপুর উচ্চ বিদ্যালয় ও দিলালপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জায়গা দখলের অভিযোগ উঠেছে রফিকুল ইসলাম সরকার নামে এক আওয়ামীলীগ নেতা সহ সহযোগী আরও দুই জনের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় এলাকাবাসীর পক্ষে দিলালপুর (নোয়াগাঁও) গ্রামের মৃত আব্দুল আজিজের পুত্র আব্দুর রাজ্জাক এবং দিলালপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রুহুল আমিন উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর অভিযোগ দিয়েছেন। জানাগেছে, দিলালপুর উচ্চ বিদ্যালয় ও দিলালপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় দুটি সিংরইল ইউনিয়নের দিলালপুর বাজারে একই স্থানে অবস্থিত। অত্র দুটি বিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ ১৯৮৮ সালে এলাকাবাসী ও ছাত্র-ছাত্রীদের চলাচলের সুবিধার জন্য রাস্তা রেখে বিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণ করেছিল। কিন্তু গত দুই সপ্তাহ আগে দিলালপুর (ডেকুরা) গ্রামের মৃত আ: ছাত্তারের পুত্র ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম সরকার, সিদ্দিকুর রহমান ও আব্দুল হালিমের পুত্র মোস্তাফিজুর রহমান জুয়েল বিদ্যালয়ের রাস্তার জায়গা মাটি ফেলে ইট, বালু দিয়ে বাউন্ডারি ওয়াল তৈরি করে দখলের চেষ্টা করছে। উক্ত রাস্তাটি মাটি দিয়ে ভরাট করে বন্ধ করলে দুটি গ্রামের মানুষ ও শিক্ষার্থীদের চলাচলের মারাত্মক বিঘ্ন ঘটবে। রাস্তা বন্ধের ব্যাপারে কেউ প্রতিবাদ করতে গেলেই অভিযুক্ত ব্যক্তিরা বিভিন্ন ধরনের হুমকি দেয়। বিশেষ করে তাঁরা এলাকায় প্রভাব কাটিয়ে চলাফেরায় করায় ভয়ে তাদের ব্যাপারে কেউ মুখ খুলতে চায় না। এ বিষয়ে অভিযোগকারী আব্দুর রাজ্জাক বলেন- ৪০ বছর আগ থেকে বিদ্যালয়ের জায়গায় নির্মিত রাস্তাটি মাটি ফেলে বন্ধ করার চেষ্টা করছে। তাই এ ব্যাপারে ইউএনও’র নিকট অভিযোগ করেছি। দিলালপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রুহুল আমিন জানান- এটাতো বিদ্যালয়ের জায়গা এখানে কোন বিতর্কেও সুযোগ নেই। বিদ্যালয়ের জায়গা রক্ষার স্বার্থে প্রশাসনের নিকট অভিযোগ করেছি। নান্দাইল উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সারমিনা সাত্তার বলেন- একটি অভিযোগ পেয়েছি, অভিযোগটি এসিল্যান্ডকে দেওয়া হয়েছে। তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ বিষয়ে অভিযুক্ত ব্যক্তি রফিকুল ইসলাম সরকার বলেন, এখানের আমার মা-বাবার পারিবারিক কবরস্থানে বাউন্ডারী করতেছি, স্কুলের জায়গা নয়, এটা আমাদের পৈত্রিক সম্পত্তি। যারা অভিযোগ দিয়েছে তারাও তো আওয়ামীলীগের লোক।