০৪:২১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কেতকীবাড়ী ইউনিয়নে পরকীয়ার জের ধরে স্বামী স্ত্রী নির্যাতন, স্ত্রী হাসপাতালে ভর্তি

নীলফামারীর ডোমার উপজেলার ২নং কেতকীবাড়ী ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের কচুয়ার ডাঙ্গা এলাকায় স্বামীর পরকীয়া প্রেমিকার সঙ্গে স্ত্রী কথা না বলায় স্বামী রুবেল ইসলাম (৩৫) ওরফে রুপবান কর্তৃক স্ত্রী আসমা খাতুন (২৮) কে বেদমভাবে মারপিট করে রক্তাক্ত অবস্থায় এলাকাবাসী উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে ভর্তি করায়।
ঘটনাটি ১৭ই এপ্রিল বুধবার বিকেলে স্বামী রুবেল ইসলামের ঘটেছে।
ভুক্তভোগী আসমা খাতুন জানায়, তার স্বামী রুবেল ইসলামের সাথে বগুড়ার একটি মেয়ের দীর্ঘদিন যাবত পরকীয়া প্রেম চলছিল, একপর্যায়ে ঘটনার দিন রুবেল সেই পরকীয়া প্রেমিকার সাথে মোবাইলে ভিডিও কলের মাধ্যমে কথা বলছিল, এসময় আমি সেখানে উপস্থিত হলে আমার স্বামী তার সেই পরকীয়া প্রেমিকার সঙ্গে কথা বলতে বলে, আমি তার সাথে কথা বলতে অপারগতা প্রকাশ করিলে আমার স্বামী আমাকে বেদমভাবে মারপিট সহ রক্তাক্ত জখম করে, এসময় আমার আত্ন চিৎকারে এলাকার লোকজন ছুটে এসে রুবেলের হাত থেকে আমাকে রক্ষা করে এবং এলাকার মহিলা মেম্বারনী মুক্তা আমাকে স্থানীয় একটি ঔষধের দোকানে নিয়ে গিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন। এরপর আমি সন্ধ্যায় ইউনিয়ন পরিষদে গিয়ে চেয়ারম্যানের মাধ্যমে রুবেলের বিচারের দাবি জানাই। এরপর আমার পরিবারের লোকজনকেও ডাকি এবং বলি চেয়ারম্যানের সাথে এসে আমাকে এখান থেকে উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে যাও।এরপর রাত আনুমানিক আড়াইটার দিকে আমার পরিবারের লোকজনসহ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, মেম্বার, চকিদারসহ আমার স্বামীর বাড়িতে পৌঁছে, আমার মারপিঠের অবস্থা দেখে আমার বড়ভাই সহ্য করতে না পেরে উপস্থিত সকলের সামনে আমার স্বামীকে একটা থাপ্পড় দেয়, এরপর আমার স্বামী চেয়ারম্যান মেম্বারদের উপস্থিতিতে আমার ভাইকে মারার জন্য লাঠি খুজতে যায়, অথচ চেয়ারম্যান আমার স্বামীর বিচার না করে সকলের উপস্থিতিতে আমার ভাইকে মারধর করে আমাকে সেখানে থেকে নিয়ে আসার প্রক্কালে বোর্টের পাড়ে এলে আমার তাওয়াই মোনা আমার মারপিটের অবস্থা দেখে চেয়ারম্যানের সামনে প্রতিবাদ করে। সেদিন কোন কিছু নাই অথচ পরদিন শুনলাম বোর্ডের পাড়ে চেয়ারম্যানের লোকজন মোনা তাওয়াইকে প্রচন্ড মারপিট করেছে, সেও বর্তমানে হাসপাতালে ভর্তি আছে।
ট্যাগঃ
প্রতিনিধির তথ্য

বিয়ে শেষে ভাগ্নিকে এগিয়ে দিতে গিয়ে খুন হলেন মামা

কেতকীবাড়ী ইউনিয়নে পরকীয়ার জের ধরে স্বামী স্ত্রী নির্যাতন, স্ত্রী হাসপাতালে ভর্তি

পোস্ট হয়েছেঃ ০৩:৪১:২০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫
নীলফামারীর ডোমার উপজেলার ২নং কেতকীবাড়ী ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের কচুয়ার ডাঙ্গা এলাকায় স্বামীর পরকীয়া প্রেমিকার সঙ্গে স্ত্রী কথা না বলায় স্বামী রুবেল ইসলাম (৩৫) ওরফে রুপবান কর্তৃক স্ত্রী আসমা খাতুন (২৮) কে বেদমভাবে মারপিট করে রক্তাক্ত অবস্থায় এলাকাবাসী উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে ভর্তি করায়।
ঘটনাটি ১৭ই এপ্রিল বুধবার বিকেলে স্বামী রুবেল ইসলামের ঘটেছে।
ভুক্তভোগী আসমা খাতুন জানায়, তার স্বামী রুবেল ইসলামের সাথে বগুড়ার একটি মেয়ের দীর্ঘদিন যাবত পরকীয়া প্রেম চলছিল, একপর্যায়ে ঘটনার দিন রুবেল সেই পরকীয়া প্রেমিকার সাথে মোবাইলে ভিডিও কলের মাধ্যমে কথা বলছিল, এসময় আমি সেখানে উপস্থিত হলে আমার স্বামী তার সেই পরকীয়া প্রেমিকার সঙ্গে কথা বলতে বলে, আমি তার সাথে কথা বলতে অপারগতা প্রকাশ করিলে আমার স্বামী আমাকে বেদমভাবে মারপিট সহ রক্তাক্ত জখম করে, এসময় আমার আত্ন চিৎকারে এলাকার লোকজন ছুটে এসে রুবেলের হাত থেকে আমাকে রক্ষা করে এবং এলাকার মহিলা মেম্বারনী মুক্তা আমাকে স্থানীয় একটি ঔষধের দোকানে নিয়ে গিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন। এরপর আমি সন্ধ্যায় ইউনিয়ন পরিষদে গিয়ে চেয়ারম্যানের মাধ্যমে রুবেলের বিচারের দাবি জানাই। এরপর আমার পরিবারের লোকজনকেও ডাকি এবং বলি চেয়ারম্যানের সাথে এসে আমাকে এখান থেকে উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে যাও।এরপর রাত আনুমানিক আড়াইটার দিকে আমার পরিবারের লোকজনসহ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, মেম্বার, চকিদারসহ আমার স্বামীর বাড়িতে পৌঁছে, আমার মারপিঠের অবস্থা দেখে আমার বড়ভাই সহ্য করতে না পেরে উপস্থিত সকলের সামনে আমার স্বামীকে একটা থাপ্পড় দেয়, এরপর আমার স্বামী চেয়ারম্যান মেম্বারদের উপস্থিতিতে আমার ভাইকে মারার জন্য লাঠি খুজতে যায়, অথচ চেয়ারম্যান আমার স্বামীর বিচার না করে সকলের উপস্থিতিতে আমার ভাইকে মারধর করে আমাকে সেখানে থেকে নিয়ে আসার প্রক্কালে বোর্টের পাড়ে এলে আমার তাওয়াই মোনা আমার মারপিটের অবস্থা দেখে চেয়ারম্যানের সামনে প্রতিবাদ করে। সেদিন কোন কিছু নাই অথচ পরদিন শুনলাম বোর্ডের পাড়ে চেয়ারম্যানের লোকজন মোনা তাওয়াইকে প্রচন্ড মারপিট করেছে, সেও বর্তমানে হাসপাতালে ভর্তি আছে।