১২:৪৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০১ জুলাই ২০২৫, ১৬ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

গোপালপুরে মাদরাসার অধ্যক্ষকে অবরুদ্ধ করে পদত্যাগপত্রে স্বাক্ষর

দুর্নীতির অভিযোগে টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলার হাদিরা ইউনিয়নের সেনেরচর শাহসুফি সিনিয়র আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মনিরুজ্জামানকে অবরুদ্ধ করে রাখেন শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও স্থানীয়রা। এরপর মাদ্রাসার প্যাডে ও স্ট্যাম্পে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করিলাম লিখে স্বাক্ষর দেন অধ্যক্ষ মনিরুজ্জামান। রবিবার (৪মে) বেলা ১২টায় মাদ্রাসা অফিস কক্ষে এ ঘটনা ঘটে।
পদত্যাগ পত্রে তিনি উল্লেখ করেন, আজকের মধ্যে নগদ ২০ লাখ টাকা বুঝিয়ে দিয়ে অফিস ত্যাগ করবেন। এর মধ্যেই গোপালপুর থানা থেকে পুলিশ এসে অধ্যক্ষকে উদ্ধার করে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে নিয়ে যান। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত তিনি ইউএনও অফিসে অবস্থান করছিলেন বলে জানা গেছে।
মাদরাসার ইবতেদায়ী সহকারী শিক্ষক মৌলভী আব্দুল খালেক বলেন, অধ্যক্ষের নামে অনেক দুর্নীতির অভিযোগ আছে। সে কাউকে কোন হিসাব দেয় না। হিসাব চাওয়ার কারনে সে শিক্ষকদের নামে মামলা করেছে।
মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা দাবি করেন, প্রিন্সিপাল স্যার অনেক টাকা আত্মসাৎ করেছেন এবং অন্য স্যারদের নামে মামলা করেছেন। নিয়মিত তিনি প্রতিষ্ঠানে আসেন না। আমরা মাদরাসার টাকা ফেরৎ ও প্রিন্সিপালের পদত্যাগ চাই।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার জুলফিকার হায়দার বলেন, বিষয়টি আমিও শুনেছি। অধ্যক্ষকে ইউএনও অফিসে আনা হয়েছে। এখনো বসা হয়নি, কিছুক্ষণ পর বসা হবে তারপর বিস্তারিত বলতে পারবো।
অধ্যক্ষ মনিরুজ্জামান মুঠোফোনে বলেন, ঠিকমতো ক্লাস হচ্ছেনা বলে ছাত্ররা আমাকে মাদরাসায় ডেকে নিয়ে যায়। আজকে মাদরাসায় যাওয়ার পর পদত্যাগপত্র ও টাকা দিতে হবে এসব লিখে নিয়ে গেছে।
ইউএনও মো. তুহিন হোসেন মুঠোফোনে জানান, বিষয়টি নিয়ে আলোচনায় বসেছি, সেই অধ্যক্ষ এখন আমার সামনেই আছে।
ট্যাগঃ
প্রতিনিধির তথ্য

জনপ্রিয় পোস্ট

বেইহাং বিশ্ববিদ্যালয়ের সেরা গ্রাজুয়েট অ্যাওয়ার্ড পেলেন রাণীনগরের তরিকুল ইসলাম

গোপালপুরে মাদরাসার অধ্যক্ষকে অবরুদ্ধ করে পদত্যাগপত্রে স্বাক্ষর

পোস্ট হয়েছেঃ ০৮:৪৯:৩৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ৪ মে ২০২৫
দুর্নীতির অভিযোগে টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলার হাদিরা ইউনিয়নের সেনেরচর শাহসুফি সিনিয়র আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মনিরুজ্জামানকে অবরুদ্ধ করে রাখেন শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও স্থানীয়রা। এরপর মাদ্রাসার প্যাডে ও স্ট্যাম্পে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করিলাম লিখে স্বাক্ষর দেন অধ্যক্ষ মনিরুজ্জামান। রবিবার (৪মে) বেলা ১২টায় মাদ্রাসা অফিস কক্ষে এ ঘটনা ঘটে।
পদত্যাগ পত্রে তিনি উল্লেখ করেন, আজকের মধ্যে নগদ ২০ লাখ টাকা বুঝিয়ে দিয়ে অফিস ত্যাগ করবেন। এর মধ্যেই গোপালপুর থানা থেকে পুলিশ এসে অধ্যক্ষকে উদ্ধার করে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে নিয়ে যান। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত তিনি ইউএনও অফিসে অবস্থান করছিলেন বলে জানা গেছে।
মাদরাসার ইবতেদায়ী সহকারী শিক্ষক মৌলভী আব্দুল খালেক বলেন, অধ্যক্ষের নামে অনেক দুর্নীতির অভিযোগ আছে। সে কাউকে কোন হিসাব দেয় না। হিসাব চাওয়ার কারনে সে শিক্ষকদের নামে মামলা করেছে।
মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা দাবি করেন, প্রিন্সিপাল স্যার অনেক টাকা আত্মসাৎ করেছেন এবং অন্য স্যারদের নামে মামলা করেছেন। নিয়মিত তিনি প্রতিষ্ঠানে আসেন না। আমরা মাদরাসার টাকা ফেরৎ ও প্রিন্সিপালের পদত্যাগ চাই।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার জুলফিকার হায়দার বলেন, বিষয়টি আমিও শুনেছি। অধ্যক্ষকে ইউএনও অফিসে আনা হয়েছে। এখনো বসা হয়নি, কিছুক্ষণ পর বসা হবে তারপর বিস্তারিত বলতে পারবো।
অধ্যক্ষ মনিরুজ্জামান মুঠোফোনে বলেন, ঠিকমতো ক্লাস হচ্ছেনা বলে ছাত্ররা আমাকে মাদরাসায় ডেকে নিয়ে যায়। আজকে মাদরাসায় যাওয়ার পর পদত্যাগপত্র ও টাকা দিতে হবে এসব লিখে নিয়ে গেছে।
ইউএনও মো. তুহিন হোসেন মুঠোফোনে জানান, বিষয়টি নিয়ে আলোচনায় বসেছি, সেই অধ্যক্ষ এখন আমার সামনেই আছে।