মোঃ আমির 
সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার লামাকাজি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কবির হোসেন ধলা মিয়ার ওপর হামলার অভিযোগে যুবদল ও ছাত্রদলের একাধিক নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। রবিবার (৪ মে) রাতে তিনি নিজেই বাদী হয়ে বিশ্বনাথ থানায় এ অভিযোগ করেন।
অভিযোগে প্রধান আসামি হিসেবে উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আবদুল হান্নান বাবুলের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়াও বিএনপির বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনের আরও ১৩ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে, পাশাপাশি অজ্ঞাত আরও ১২-১৩ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
নামল্লেখ করা অভিযুক্তরা হলেন: আবু সুফিয়ান, রায়হান আহমদ, সুজেল মিয়া, আবদুর রহমান, সোহাগ মিয়া, রুপা মিয়া, আমজাদ আলী, সমর আলী, রুজেল আহমেদ, কামরান আহমদ, আহমদ আলী, মইনুল আহমদ ও আবদুল আজাদ।
চেয়ারম্যানের অভিযোগ অনুযায়ী, তিনি ২০০৩ সাল থেকে একটানা চারবার ইউপি চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। ২৮ এপ্রিল সকালে তিনি উপজেলা আইন-শৃঙ্খলা সভায় অংশগ্রহণ শেষে একটি সালিশ বৈঠকে যোগ দিতে রওনা দেন। পথিমধ্যে উপজেলা পরিষদের প্রধান ফটকের কাছে পৌঁছালে অভিযুক্তরা পূর্বপরিকল্পিতভাবে তার গাড়ি থামিয়ে ঘিরে ধরে এবং দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হুমকি দেয়। এ সময় তারা তার পকেট থেকে এক হাজার ব্রিটিশ পাউন্ড, ৫৫ হাজার টাকা এবং একটি মোবাইল ছিনিয়ে নেয়।
অভিযোগে আরও বলা হয়, অভিযুক্তরা তার কাছে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে এবং তা না দিলে হত্যার হুমকি দেয়। আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে তারা পালিয়ে যায়। চেয়ারম্যানের আশঙ্কা, স্থানীয় লোকজন সহায়তা না করলে তিনি প্রাণে বাঁচতেন না।
এছাড়া অভিযোগে বলা হয়েছে, অভিযুক্তদের মধ্যে কয়েকজন অতীতেও বিভিন্ন সহিংস ঘটনার সাথে জড়িত ছিল।
অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে অভিযুক্ত আবদুল হান্নান বাবুল বলেন, “এটি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। আমাদের হয়রানি করতেই এই অভিযোগ করা হয়েছে।”
এ বিষয়ে বিশ্বনাথ থানার ওসি এনামুল হক চৌধুরী জানান, লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে, এবং বিষয়টি তদন্তসাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
