০৮:৩৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৮ মে ২০২৫, ২৫ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

যানজটমুক্ত নগরী গড়তে কেএমপি’র উদ্যোগে,ইজিবাইক চালকদের প্রশিক্ষণ

খুলনা মহানগরীকে যানজটমুক্ত করতে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষ থেকে ট্রাফিক বিভাগের উদ্যোগে এক মহতী উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। সড়কে চলাচলের ক্ষেত্রে করণীয় ও বর্জনীয় বিষয়ে ইজিবাইক চালকদের প্রশিক্ষণ কর্মশালা শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে ১৩৫৯ জন চালককে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে। আজ ৭ মে ২০২৫ তারিখ সকাল বেলা ১০ ঘটিকায় নগরীর বয়রাস্থ পুলিশ লাইন্সে এবং একইসময় জোড়াগেট ট্রাফিক অফিসে এই প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। ৭ম দিনে চারটি ব্যাচে ২২২ জন ইজিবাইক চালককে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে নগরীর ৫৪৮১ জন ইজিবাইক চালককে প্রশিক্ষণের আওতায় আনা হবে এবং এই ধারা অব্যাহত থাকবে। কেএমপি ট্রাফিক বিভাগের অতিঃ ডেপুটি পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) জনাব মোঃ ছয়রুদ্দীন আহম্মেদ, পুলিশ পরিদর্শক (শহর ও যানবাহন) জনাব তপন কুমার মজুমদার এবং পুলিশ পরিদর্শক (শহর ও যানবাহন) জনাব মোঃ আবু বকর সিদ্দিক, পুলিশ পরিদর্শক (শহর ও যানবাহন) জনাব মো: জহিরুল ইসলাম পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন এর মাধ্যমে নগরীকে যানজটমুক্ত রাখতে সড়কে চলাচলের ক্ষেত্রে করণীয় ও বর্জনীয় বিষয়গুলো ভিডিও ও স্থিরচিত্রের মাধ্যমে উপস্থাপন করতঃ বাস্তবভিত্তিক প্রশিক্ষণ প্রদান করেন। ইজিবাইকে যাত্রী উঠানো-নামানোর নিয়ম, ওভারটেকিং, বাম লেন ক্লিয়ার রাখার সুফল, ট্রাফিক আইন মেনে চলার সুফল, লো স্পিড ও হাই স্পিড লেন সম্পর্কে ধারণা প্রদান, যানজট নিরসনে করণীয়, বিপদ এড়ানোর কৌশল, বিপদে পড়লে করণীয়। অপরিচিত কারোও কাছ থেকে খাবার না খাওয়া, সন্ধ্যার পরে নির্জন রাস্তা এড়িয়ে চলা, শহরের বাইরে অপরিচিত কোন রিজার্ভ ট্রিপে না যাওয়া, মাক্স বা মুখোশ পরা ব্যক্তি গাড়িতে উঠলে সতর্ক থাকা। গাড়ির লোকেশন জানতে জিপিএস ব্যবহার করা, নিজের নিরাপত্তার প্রতি সর্বোচ্চ খেয়াল রাখা এবং অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতি এড়ানোর জন্য জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯ ও থানার ওসির নাম্বারে ফোন দিয়ে অবগত করা সম্পর্কে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়। যানজটমুক্ত সুশৃঙ্খল খুলনা শহর উপহার দিতে কেএমপি কর্তৃক ইজিবাইক চালকদের প্রশিক্ষণ প্রদানের এই অনন্য উদ্যোগকে চালকরা সাধুবাদ জানান। খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ আশা করে ইজিবাইক চালকদের প্রশিক্ষণে শেখানো নিয়ম কানুন যদি তারা মেনে চলে তাহলে অভূতপূর্ব পরিবর্তন আনা সম্ভব।

ট্যাগঃ
প্রতিনিধির তথ্য

জনপ্রিয় পোস্ট

বাগেরহাটে বাণিজ্য মেলা বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন

যানজটমুক্ত নগরী গড়তে কেএমপি’র উদ্যোগে,ইজিবাইক চালকদের প্রশিক্ষণ

পোস্ট হয়েছেঃ ১১:৪০:১৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৭ মে ২০২৫

খুলনা মহানগরীকে যানজটমুক্ত করতে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষ থেকে ট্রাফিক বিভাগের উদ্যোগে এক মহতী উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। সড়কে চলাচলের ক্ষেত্রে করণীয় ও বর্জনীয় বিষয়ে ইজিবাইক চালকদের প্রশিক্ষণ কর্মশালা শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে ১৩৫৯ জন চালককে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে। আজ ৭ মে ২০২৫ তারিখ সকাল বেলা ১০ ঘটিকায় নগরীর বয়রাস্থ পুলিশ লাইন্সে এবং একইসময় জোড়াগেট ট্রাফিক অফিসে এই প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। ৭ম দিনে চারটি ব্যাচে ২২২ জন ইজিবাইক চালককে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে নগরীর ৫৪৮১ জন ইজিবাইক চালককে প্রশিক্ষণের আওতায় আনা হবে এবং এই ধারা অব্যাহত থাকবে। কেএমপি ট্রাফিক বিভাগের অতিঃ ডেপুটি পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) জনাব মোঃ ছয়রুদ্দীন আহম্মেদ, পুলিশ পরিদর্শক (শহর ও যানবাহন) জনাব তপন কুমার মজুমদার এবং পুলিশ পরিদর্শক (শহর ও যানবাহন) জনাব মোঃ আবু বকর সিদ্দিক, পুলিশ পরিদর্শক (শহর ও যানবাহন) জনাব মো: জহিরুল ইসলাম পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন এর মাধ্যমে নগরীকে যানজটমুক্ত রাখতে সড়কে চলাচলের ক্ষেত্রে করণীয় ও বর্জনীয় বিষয়গুলো ভিডিও ও স্থিরচিত্রের মাধ্যমে উপস্থাপন করতঃ বাস্তবভিত্তিক প্রশিক্ষণ প্রদান করেন। ইজিবাইকে যাত্রী উঠানো-নামানোর নিয়ম, ওভারটেকিং, বাম লেন ক্লিয়ার রাখার সুফল, ট্রাফিক আইন মেনে চলার সুফল, লো স্পিড ও হাই স্পিড লেন সম্পর্কে ধারণা প্রদান, যানজট নিরসনে করণীয়, বিপদ এড়ানোর কৌশল, বিপদে পড়লে করণীয়। অপরিচিত কারোও কাছ থেকে খাবার না খাওয়া, সন্ধ্যার পরে নির্জন রাস্তা এড়িয়ে চলা, শহরের বাইরে অপরিচিত কোন রিজার্ভ ট্রিপে না যাওয়া, মাক্স বা মুখোশ পরা ব্যক্তি গাড়িতে উঠলে সতর্ক থাকা। গাড়ির লোকেশন জানতে জিপিএস ব্যবহার করা, নিজের নিরাপত্তার প্রতি সর্বোচ্চ খেয়াল রাখা এবং অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতি এড়ানোর জন্য জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯ ও থানার ওসির নাম্বারে ফোন দিয়ে অবগত করা সম্পর্কে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়। যানজটমুক্ত সুশৃঙ্খল খুলনা শহর উপহার দিতে কেএমপি কর্তৃক ইজিবাইক চালকদের প্রশিক্ষণ প্রদানের এই অনন্য উদ্যোগকে চালকরা সাধুবাদ জানান। খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ আশা করে ইজিবাইক চালকদের প্রশিক্ষণে শেখানো নিয়ম কানুন যদি তারা মেনে চলে তাহলে অভূতপূর্ব পরিবর্তন আনা সম্ভব।