১০:০৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৫ জুন ২০২৫, ১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

খিলক্ষেত ব্যাটারি চালিত রিক্সা ও ইজিবাইক বাইক এলোমেলো ভাবে চলাচল

রাস্তার দুই পাশে ফল, সবজি আর মাছের বাজার। আছে রিকশা, ইজিবাইকের এলোমেলো চলাচল। খিলক্ষেত থেকে লেকসিটি সড়কের দু’পাশে অবৈধভাবে দখল করে গড়ে উঠেছে কাঁচাবাজার আর রিকশার ও বাইক স্ট্যান্ড। ফলে এ সড়কে যানজট লেগে থাকছে। সরজমিনে দেখা যায়, সড়কের দুই পাশের ফুটপাতসহ রাস্তার ওপর ফলের দোকান, রাস্তায় এলোমেলো রিকশা দাঁড়ানো। এরপর কাঁচা সবজি আর মাছের বাজার। ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক যাত্রীর অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে আছে রাস্তায়। রাস্তার ওপর দাঁড়িয়ে বাজার করছেন অনেকে। দুই লেনের রাস্তা শুরু হয়ে এখন এক লেনেরও কম হয়ে গেছে। একটু সময় পরপর সৃষ্টি হচ্ছে যানজট। মূল সড়কে নেমে হাঁটতে গিয়ে গা ঘেঁষে চলে আসে রিকশা কিংবা ব্যাটারিচালিত ইজিবাইকেরা এতে  দুর্ঘটনা হয়ে উঠছেন অনেকে। এভাবে ঝুঁকি নিয়ে হেঁটে চলাচল করছেন খিলক্ষেত বাসীরা । ওই সড়ক দিয়ে চলাচল করেন খিলক্ষেত লেকসিটি এলাকাসহ আরো আশেপাশে এলাকার মানুষ চলাচল করে ওই পথে চলাচলকারী একাধিক ব্যক্তির সঙ্গে কথা হলে তারা বলেন, সড়কের দুই পাশের ফুটপাতসহ রাস্তার ওপর ফলের দোকান, রাস্তায় এলোমেলো রিক্সা দাঁড়ানো থাকায় চলাচলে অনেক সমস্যা হচ্ছে। আর এসব কারণে সারাদিনই যানজট লেগে থাকে। তখন অনেক সময় আটকে থাকতে হয়।  স্থানীয় এক জন্য  লোক  বলেন, ফুটপাতসহ রাস্তার ওপর হালিম, ডাবসহ ভেন রাস্তার ওপর থাকার কারণে ফুটপাতসহ রাস্তার অনেকটা দখল হয়ে আছে। অন্যদিকে কাঁচাবাজার, ফলের দোকানের কারণে চলাচলে অনেক সমস্যা হচ্ছে। কারণ রাস্তার ওপর দাঁড়িয়ে লোকজন এখানে বাজার করে। তিনি আরও বলেন, অনেক সময় দেখা যায়, কোনো কোনো দোকানের মালামালের বস্তা বা খাঁচা রাস্তার ওপরেও রাখা হয়। মান্নান প্লাজার এক দোকানদার বলেন, ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক এত দ্রুত চলে যায়, যার কারণে অনেকেরই হাত-পা ভেঙে গিয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যাটারিচালিত রিকশার চালকের সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান, এখানে গাড়ি চালানোর জন্য প্রতিদিন  চাঁদা দিতে হয়। আগে  ফ্যাসিবাদী হাসিনা আমলে তখন আওয়ামী লীগের নেতারা চাঁদা তুলত এখন বিএনপির নেতারা চাঁদা তোলে। এইখানে একদম বিনা কারণে চাঁদাটা তোলা হয়। খিলক্ষেত  ছাত্র জনতা ও সরকারে কাছে আবেদন আমাদের  চাঁদা মুক্ত করেন। আর এই চাঁদা স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের নাম ভাঙিয়ে ৮ থেকে ১০ জনের একটি চক্র প্রকাশ্যেই তুলে থাকেন। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, খিলক্ষেত সিটি কর্পোরেশনের আওতায় থাকলেও এই অবৈধ ব্যাটারিচালিত রিকশা কীভাবে চলে। এ বিষয়ে খিলক্ষেত  (ট্রাফিক  পুলিশ ) সঙ্গে কথা হয়। তিনি বলেন, প্রতিদিনই  ইজিবাইক এবং ব্যাটারিচালিত রিকশা নিষেধ করি তারপরেও  চলে। ট্রাফিক  পুলিশ আরো জানায়  ইজিবাইক এবং ব্যাটারিচালিত রিকশা তৈরি মালামল সরকারি ভাবে  বন্ধ করলে তখন সম্ভব হবে  রিকশা চলাচল বন্ধ  করা। স্থানীয় বাসিন্দারা আরো জানায়  ফুটপাত রাস্তা দখল করে যে দোকানপাট গড়ে উঠেছে অবৈধ দোকানপাট ও ফুটপাত দখল এবং রাস্তা দখল মেনে নেয়া যায় না। সরকারি ভাবে ও ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের  উদ্যোগে দ্রুতই রাস্তায় এবং ফুটপাত দখলমুক্ত  করা হক।

 

ট্যাগঃ
প্রতিনিধির তথ্য

জনপ্রিয় পোস্ট

গ্যাসজনিত অগ্নি দুর্ঘটনা বা বিস্ফোরণের ঘটনা প্রতিরোধে তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষের সতর্কবার্তা

খিলক্ষেত ব্যাটারি চালিত রিক্সা ও ইজিবাইক বাইক এলোমেলো ভাবে চলাচল

পোস্ট হয়েছেঃ ০৯:৫৭:১৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ মার্চ ২০২৫

রাস্তার দুই পাশে ফল, সবজি আর মাছের বাজার। আছে রিকশা, ইজিবাইকের এলোমেলো চলাচল। খিলক্ষেত থেকে লেকসিটি সড়কের দু’পাশে অবৈধভাবে দখল করে গড়ে উঠেছে কাঁচাবাজার আর রিকশার ও বাইক স্ট্যান্ড। ফলে এ সড়কে যানজট লেগে থাকছে। সরজমিনে দেখা যায়, সড়কের দুই পাশের ফুটপাতসহ রাস্তার ওপর ফলের দোকান, রাস্তায় এলোমেলো রিকশা দাঁড়ানো। এরপর কাঁচা সবজি আর মাছের বাজার। ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক যাত্রীর অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে আছে রাস্তায়। রাস্তার ওপর দাঁড়িয়ে বাজার করছেন অনেকে। দুই লেনের রাস্তা শুরু হয়ে এখন এক লেনেরও কম হয়ে গেছে। একটু সময় পরপর সৃষ্টি হচ্ছে যানজট। মূল সড়কে নেমে হাঁটতে গিয়ে গা ঘেঁষে চলে আসে রিকশা কিংবা ব্যাটারিচালিত ইজিবাইকেরা এতে  দুর্ঘটনা হয়ে উঠছেন অনেকে। এভাবে ঝুঁকি নিয়ে হেঁটে চলাচল করছেন খিলক্ষেত বাসীরা । ওই সড়ক দিয়ে চলাচল করেন খিলক্ষেত লেকসিটি এলাকাসহ আরো আশেপাশে এলাকার মানুষ চলাচল করে ওই পথে চলাচলকারী একাধিক ব্যক্তির সঙ্গে কথা হলে তারা বলেন, সড়কের দুই পাশের ফুটপাতসহ রাস্তার ওপর ফলের দোকান, রাস্তায় এলোমেলো রিক্সা দাঁড়ানো থাকায় চলাচলে অনেক সমস্যা হচ্ছে। আর এসব কারণে সারাদিনই যানজট লেগে থাকে। তখন অনেক সময় আটকে থাকতে হয়।  স্থানীয় এক জন্য  লোক  বলেন, ফুটপাতসহ রাস্তার ওপর হালিম, ডাবসহ ভেন রাস্তার ওপর থাকার কারণে ফুটপাতসহ রাস্তার অনেকটা দখল হয়ে আছে। অন্যদিকে কাঁচাবাজার, ফলের দোকানের কারণে চলাচলে অনেক সমস্যা হচ্ছে। কারণ রাস্তার ওপর দাঁড়িয়ে লোকজন এখানে বাজার করে। তিনি আরও বলেন, অনেক সময় দেখা যায়, কোনো কোনো দোকানের মালামালের বস্তা বা খাঁচা রাস্তার ওপরেও রাখা হয়। মান্নান প্লাজার এক দোকানদার বলেন, ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক এত দ্রুত চলে যায়, যার কারণে অনেকেরই হাত-পা ভেঙে গিয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যাটারিচালিত রিকশার চালকের সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান, এখানে গাড়ি চালানোর জন্য প্রতিদিন  চাঁদা দিতে হয়। আগে  ফ্যাসিবাদী হাসিনা আমলে তখন আওয়ামী লীগের নেতারা চাঁদা তুলত এখন বিএনপির নেতারা চাঁদা তোলে। এইখানে একদম বিনা কারণে চাঁদাটা তোলা হয়। খিলক্ষেত  ছাত্র জনতা ও সরকারে কাছে আবেদন আমাদের  চাঁদা মুক্ত করেন। আর এই চাঁদা স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের নাম ভাঙিয়ে ৮ থেকে ১০ জনের একটি চক্র প্রকাশ্যেই তুলে থাকেন। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, খিলক্ষেত সিটি কর্পোরেশনের আওতায় থাকলেও এই অবৈধ ব্যাটারিচালিত রিকশা কীভাবে চলে। এ বিষয়ে খিলক্ষেত  (ট্রাফিক  পুলিশ ) সঙ্গে কথা হয়। তিনি বলেন, প্রতিদিনই  ইজিবাইক এবং ব্যাটারিচালিত রিকশা নিষেধ করি তারপরেও  চলে। ট্রাফিক  পুলিশ আরো জানায়  ইজিবাইক এবং ব্যাটারিচালিত রিকশা তৈরি মালামল সরকারি ভাবে  বন্ধ করলে তখন সম্ভব হবে  রিকশা চলাচল বন্ধ  করা। স্থানীয় বাসিন্দারা আরো জানায়  ফুটপাত রাস্তা দখল করে যে দোকানপাট গড়ে উঠেছে অবৈধ দোকানপাট ও ফুটপাত দখল এবং রাস্তা দখল মেনে নেয়া যায় না। সরকারি ভাবে ও ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের  উদ্যোগে দ্রুতই রাস্তায় এবং ফুটপাত দখলমুক্ত  করা হক।