১০:২৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৫ জুন ২০২৫, ১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সুনামগঞ্জে নদীর মাছ ধরতে না পেরে ঘরে আগুন দিয়েছে লুটেরা

  • তুর্য দাস
  • পোস্ট হয়েছেঃ ০৯:৩৮:০৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৭ মার্চ ২০২৫
  • 272

সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার আটগাঁও ইউনিয়নের সত্তুয়া নদীর জলমহালে দ্বিতীয় দফায় জোরপূর্বক মাছ লুন্ঠন করতে এসেছিল হাজার হাজার মানুষ। মাছ লুটপাট করতে না পেরে বিক্ষুব্ধ হয়ে জলমহালের পাহারাদার থাকার দুটি ঘরে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়েছে।

শুক্রবার (৭ মার্চ) সকালে শাল্লা উপজেলায় অবস্থিত সত্তুয়া নদীর জলমহালে এসব ঘটনা ঘটে।

বিভিন্ন সূত্রে জানাযায়, আমরা জানতে পেরেছি শুক্রবার দ্বিতীয় দফায় সত্তুয়া নদীতে আবারও জোরপূর্বক মাছ লুটপাট করবে। এই খবর আমরা প্রশাসনকে জানাই এমন সংবাদের প্রেক্ষিতে উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ ও সেনাবাহিনী উপস্থিত হয়। শাল্লা ও দিরাই দুই উপজেলার মাছ ধরতে আসা হাজার হাজার লোকজনকে প্রশাসন হ্যান্ড মাইকিং করে অনুরোধ করে নদীর মাছ ধরা থেকে বিরত থাকতে এবং নদী থেকে চলে যাওয়ার জন্য। যদিও কিছু মানুষ মাছ ধরেছেন তবে তাদের চাহিদা অনুযায়ী মাছ ধরতে না পেরে ক্ষিপ্ত হয়ে জলমহালের পাহাড়াদার থাকার দুটি ঘরে আগুন লাগিয়ে দেয়। গত তিনদিন পূর্বেও সত্তুয়া নদীর মাছ লুটপাট করা হয়েছিল।

এবিষয়ে শাল্লা থানার ওসি শফিকুল ইসলাম বলেন, আমরা গতকালই সংবাদ পেয়েছিলাম সত্তুয়া নদীতে মাছ ধরতে পারে। তাই আমরা ও সেনাবাহিনী মাছ মারার প্রস্তুতিকালে উপস্থিত হই৷ আমাদের কঠোর অবস্থানের কারনে লোকজন সত্তুয়া নদী থেকে চলে যায়। এখন পরিবেশ স্বাভাবিক রয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পিয়াস চন্দ্র দাস বলেন, খবর পেয়ে আমরা সকালেই সত্তুয়া নদীতে আসি। মাছ ধরতে আসা লোকজনের সাথে কথা বলার কোন স্কোপ ছিলনা। তারা বিক্ষুব্ধ হয়ে আামদের দিকে এগিয়ে আসে এবং কিছু ঢিলও ছুঁড়ে। পরে একটা সাইডে পাহাড়াদারের ঘরে আগুন লাগায়। তবে আমরা পুলিশ প্রশাসন ও সেনাবাহিনীর সম্মিলত প্রচেষ্টায় মাছ লুটপাট বন্ধ করতে সচেষ্ট হই এবং বর্তমানে পরিবেশ পরিস্থিতি শান্ত।

ট্যাগঃ
প্রতিনিধির তথ্য

জনপ্রিয় পোস্ট

গ্যাসজনিত অগ্নি দুর্ঘটনা বা বিস্ফোরণের ঘটনা প্রতিরোধে তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষের সতর্কবার্তা

সুনামগঞ্জে নদীর মাছ ধরতে না পেরে ঘরে আগুন দিয়েছে লুটেরা

পোস্ট হয়েছেঃ ০৯:৩৮:০৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৭ মার্চ ২০২৫

সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার আটগাঁও ইউনিয়নের সত্তুয়া নদীর জলমহালে দ্বিতীয় দফায় জোরপূর্বক মাছ লুন্ঠন করতে এসেছিল হাজার হাজার মানুষ। মাছ লুটপাট করতে না পেরে বিক্ষুব্ধ হয়ে জলমহালের পাহারাদার থাকার দুটি ঘরে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়েছে।

শুক্রবার (৭ মার্চ) সকালে শাল্লা উপজেলায় অবস্থিত সত্তুয়া নদীর জলমহালে এসব ঘটনা ঘটে।

বিভিন্ন সূত্রে জানাযায়, আমরা জানতে পেরেছি শুক্রবার দ্বিতীয় দফায় সত্তুয়া নদীতে আবারও জোরপূর্বক মাছ লুটপাট করবে। এই খবর আমরা প্রশাসনকে জানাই এমন সংবাদের প্রেক্ষিতে উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ ও সেনাবাহিনী উপস্থিত হয়। শাল্লা ও দিরাই দুই উপজেলার মাছ ধরতে আসা হাজার হাজার লোকজনকে প্রশাসন হ্যান্ড মাইকিং করে অনুরোধ করে নদীর মাছ ধরা থেকে বিরত থাকতে এবং নদী থেকে চলে যাওয়ার জন্য। যদিও কিছু মানুষ মাছ ধরেছেন তবে তাদের চাহিদা অনুযায়ী মাছ ধরতে না পেরে ক্ষিপ্ত হয়ে জলমহালের পাহাড়াদার থাকার দুটি ঘরে আগুন লাগিয়ে দেয়। গত তিনদিন পূর্বেও সত্তুয়া নদীর মাছ লুটপাট করা হয়েছিল।

এবিষয়ে শাল্লা থানার ওসি শফিকুল ইসলাম বলেন, আমরা গতকালই সংবাদ পেয়েছিলাম সত্তুয়া নদীতে মাছ ধরতে পারে। তাই আমরা ও সেনাবাহিনী মাছ মারার প্রস্তুতিকালে উপস্থিত হই৷ আমাদের কঠোর অবস্থানের কারনে লোকজন সত্তুয়া নদী থেকে চলে যায়। এখন পরিবেশ স্বাভাবিক রয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পিয়াস চন্দ্র দাস বলেন, খবর পেয়ে আমরা সকালেই সত্তুয়া নদীতে আসি। মাছ ধরতে আসা লোকজনের সাথে কথা বলার কোন স্কোপ ছিলনা। তারা বিক্ষুব্ধ হয়ে আামদের দিকে এগিয়ে আসে এবং কিছু ঢিলও ছুঁড়ে। পরে একটা সাইডে পাহাড়াদারের ঘরে আগুন লাগায়। তবে আমরা পুলিশ প্রশাসন ও সেনাবাহিনীর সম্মিলত প্রচেষ্টায় মাছ লুটপাট বন্ধ করতে সচেষ্ট হই এবং বর্তমানে পরিবেশ পরিস্থিতি শান্ত।