১০:৫৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৫ জুন ২০২৫, ১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আট বছরের একটি না বালিকা মেয়ে ধর্ষণ হলো দুলাভাই এর হাতে মাগুরা

বুকভরা অভিমান আর কষ্ট নিয়ে মৃত্যুর সাথে লড়াই  মৃত্যুর কাছে হার মেনে নিষ্ঠুর এই পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে চলে গেলো মাগুরার ছোট বাচ্চা মেয়েটি বড় বোনের বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিল বাচ্চা মেয়েটা।  ফিরতে রাত হয়ে যাবে বিধায় বড় বোন বলেছিল এর পরদিন বাড়িতে যেতে।  বড় বোন কিছুক্ষণের জন্যে বাইরে গিয়েছিল।  মেয়েটা বোনের রুমে গুটিসুটি হয়ে শুয়ে ছিল এককোনায়।  দুলাভাইও ছিল রুমে।  বড়বোন ভেবেছিল তার হাসবেন্ড যেহেতু আছে তাহলে আর কোন সমস্যা হবে না।  তারপর দুপুরের দিকে বড় বোন বাসায় এসে দেখে রুমে লাইট নিভানো, খুটখুটে অন্ধকার।  তারাতারি করে লাইট জ্বালিয়ে দেখে তার আদরের ছোট বোনটা এলোমেলোভাবে পড়ে আছে, চেহারাটা ফ্যাকাশে।  বড় বোন বুঝতে পারেনা কি হয়েছে তার আদরের বোনটার সাথে।  অনেকক্ষণ পর যখন বুঝতে পারে তখন অনেকটাই দেরি হয়ে গিয়েছে।  বড় বোন শাশুড়িকে হাতজোড় করে তার বোনটাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্যে।  কিন্তু শাশুড়ি নিষেধ করছিল ঘটনাটা যাতে জানাজানি না হয়,হলে না-কি মানসম্মানে কমতি পড়বে তাদের।  তারপর বহু কষ্টে শাশুড়িকে রাজি করিয়ে বড় বোন তার ছোট বোনটাকে নিয়ে আসে মাগুড়া হাসপাতালে।  কোনরকম দায়সারা ভাবে হাসপাতালে দিয়েই শাশুড়ি পালিয়ে যায় সেখান থেকে। হাসপাতালে আনার পর বাচ্চা মেয়েটার অবস্থা আরও বেশি গুরুতর হয়ে পড়ে।  ব্যথায় কাতরাচ্ছিল শুধু।  বাচ্চা মেয়ে বয়স আর কত হবে?  সাত কিংবা আট।
যৈবন নিয়ে কিছুই বুঝে না, পুতুল নিয়ে খেলার বয়স তার। মেয়ের মা এবং বোনের সন্দেহ দুলাভাই সজীব এবং শ্বশুর হিটুর প্রতি।  জোরালো সন্দেহ দুলাভাই সজীবের প্রতি যেহেতু তার রুমেই ছিল বাচ্চা মেয়েটা। নাম দারি তৌহিদী জনতা এখন এই বাচ্চা মেয়েটার কি দোষ দিবে?  তার তো ওড়না পড়ার বয়সও হয়নি। ওড়না পড়ার বয়স হলে নাহয় ওড়নার দোহাই দিয়ে দায়সারা যেত।  তারা কি এবারেও ধ* র্ষ কের পক্ষ নিয়ে ফুলের মালা দিয়ে বরন করে আনবে? মেয়ের মা এবং বোন মিলেই এখনও অসহায়ের মত পড়ে আছে হাসপাতালে।  তাদেরকে সাহায্য করতে কোন তৌহিদী জনতা আসেনি, আসেনি কোন নারীবাদী সংগঠন।
 বাচ্চা মেয়েটার মুখে অক্সিজেন মাস্ক লাগানো।  ব্যথায় একটু পর পর কাপিয়ে উঠতেছে শুধু।  বড় বোন একপাশে হাতে ধরে দাড়িয়ে আছে। মেয়েটার মা মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছে আর অক্সিজেন  দিচ্ছে – সব ঠিক হয়ে যাবে মা, কিন্তু কিছুই ঠিক হয়নি।  মেয়েটি মৃত্যুর সাথে লড়াই করতে করতে অবশেষে মৃত্যুর কাছে হার মেনে নিলো বাচ্চাটি।  এই নিষ্ঠুর পৃথিবী ইন্নালিল্লাহি  ওয়া ইন্নালিল্লাহি রাজিউন  তার বাবা-মা এটার বিচার চায়  জনতা ও বিচার চায়  আমরা এর যথাযথ বিচার চাই। যে এই কাজটি করেছে তাকে  অতি দ্রুত আইনের আওতায় আনা হোক ।
ট্যাগঃ
প্রতিনিধির তথ্য

জনপ্রিয় পোস্ট

গ্যাসজনিত অগ্নি দুর্ঘটনা বা বিস্ফোরণের ঘটনা প্রতিরোধে তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষের সতর্কবার্তা

আট বছরের একটি না বালিকা মেয়ে ধর্ষণ হলো দুলাভাই এর হাতে মাগুরা

পোস্ট হয়েছেঃ ০৬:৪৩:১৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৮ মার্চ ২০২৫
বুকভরা অভিমান আর কষ্ট নিয়ে মৃত্যুর সাথে লড়াই  মৃত্যুর কাছে হার মেনে নিষ্ঠুর এই পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে চলে গেলো মাগুরার ছোট বাচ্চা মেয়েটি বড় বোনের বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিল বাচ্চা মেয়েটা।  ফিরতে রাত হয়ে যাবে বিধায় বড় বোন বলেছিল এর পরদিন বাড়িতে যেতে।  বড় বোন কিছুক্ষণের জন্যে বাইরে গিয়েছিল।  মেয়েটা বোনের রুমে গুটিসুটি হয়ে শুয়ে ছিল এককোনায়।  দুলাভাইও ছিল রুমে।  বড়বোন ভেবেছিল তার হাসবেন্ড যেহেতু আছে তাহলে আর কোন সমস্যা হবে না।  তারপর দুপুরের দিকে বড় বোন বাসায় এসে দেখে রুমে লাইট নিভানো, খুটখুটে অন্ধকার।  তারাতারি করে লাইট জ্বালিয়ে দেখে তার আদরের ছোট বোনটা এলোমেলোভাবে পড়ে আছে, চেহারাটা ফ্যাকাশে।  বড় বোন বুঝতে পারেনা কি হয়েছে তার আদরের বোনটার সাথে।  অনেকক্ষণ পর যখন বুঝতে পারে তখন অনেকটাই দেরি হয়ে গিয়েছে।  বড় বোন শাশুড়িকে হাতজোড় করে তার বোনটাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্যে।  কিন্তু শাশুড়ি নিষেধ করছিল ঘটনাটা যাতে জানাজানি না হয়,হলে না-কি মানসম্মানে কমতি পড়বে তাদের।  তারপর বহু কষ্টে শাশুড়িকে রাজি করিয়ে বড় বোন তার ছোট বোনটাকে নিয়ে আসে মাগুড়া হাসপাতালে।  কোনরকম দায়সারা ভাবে হাসপাতালে দিয়েই শাশুড়ি পালিয়ে যায় সেখান থেকে। হাসপাতালে আনার পর বাচ্চা মেয়েটার অবস্থা আরও বেশি গুরুতর হয়ে পড়ে।  ব্যথায় কাতরাচ্ছিল শুধু।  বাচ্চা মেয়ে বয়স আর কত হবে?  সাত কিংবা আট।
যৈবন নিয়ে কিছুই বুঝে না, পুতুল নিয়ে খেলার বয়স তার। মেয়ের মা এবং বোনের সন্দেহ দুলাভাই সজীব এবং শ্বশুর হিটুর প্রতি।  জোরালো সন্দেহ দুলাভাই সজীবের প্রতি যেহেতু তার রুমেই ছিল বাচ্চা মেয়েটা। নাম দারি তৌহিদী জনতা এখন এই বাচ্চা মেয়েটার কি দোষ দিবে?  তার তো ওড়না পড়ার বয়সও হয়নি। ওড়না পড়ার বয়স হলে নাহয় ওড়নার দোহাই দিয়ে দায়সারা যেত।  তারা কি এবারেও ধ* র্ষ কের পক্ষ নিয়ে ফুলের মালা দিয়ে বরন করে আনবে? মেয়ের মা এবং বোন মিলেই এখনও অসহায়ের মত পড়ে আছে হাসপাতালে।  তাদেরকে সাহায্য করতে কোন তৌহিদী জনতা আসেনি, আসেনি কোন নারীবাদী সংগঠন।
 বাচ্চা মেয়েটার মুখে অক্সিজেন মাস্ক লাগানো।  ব্যথায় একটু পর পর কাপিয়ে উঠতেছে শুধু।  বড় বোন একপাশে হাতে ধরে দাড়িয়ে আছে। মেয়েটার মা মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছে আর অক্সিজেন  দিচ্ছে – সব ঠিক হয়ে যাবে মা, কিন্তু কিছুই ঠিক হয়নি।  মেয়েটি মৃত্যুর সাথে লড়াই করতে করতে অবশেষে মৃত্যুর কাছে হার মেনে নিলো বাচ্চাটি।  এই নিষ্ঠুর পৃথিবী ইন্নালিল্লাহি  ওয়া ইন্নালিল্লাহি রাজিউন  তার বাবা-মা এটার বিচার চায়  জনতা ও বিচার চায়  আমরা এর যথাযথ বিচার চাই। যে এই কাজটি করেছে তাকে  অতি দ্রুত আইনের আওতায় আনা হোক ।