
কালিগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) অমিত কুমার বিশ্বাস চিংড়ি ঘেরে পাউবোর বেড়িবাঁধ ছিদ্র করে ঘের মালিকদের বসানো অবৈধ পাইপ লাইন অপসারণে মোবাইল কোর্ট পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন। গতকালকে ১০ টি পাইপ অপসারণ করার পাশাপাশি আজ আরও ৮ টি অপসারণ হবে বলে সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানাগেছে।
মাত্র ২ কিলোমিটারের মধ্যে ১৮টি অবৈধ পাইপ থাকার তথ্য থাকলেও পক্ষান্তরে পাইপের সংখ্যা অর্ধশতাধিক হবে। অধিকাংশ পাইপ চোরাই ভাবে বাঁধের নীচে বসানো। দীর্ঘদিন ধরে (পাউব) কালিগঞ্জের কিছু অসাধু কর্মকর্তা ঘের ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে অবৈধ লেনদেন করার কারনে ঝুকিপূর্ণ পাইপ বসানোর সুযোগ পেয়েছে। বিঘাপ্রতি দুইহাজার টাকা নেওয়ার এমন গুরুতর অভিযোগ আছে তাদের বিরুদ্ধে। আবার স্লুইজ গেট ও খালে পানি উঠানামার হিসেব আলাদা জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।
স্থানীয় আব্দুর রহিম জানান বাঁধ দীর্ঘদিন ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছে। মাছের ঘেরে পানি তোলার জন্য পাউবো’র বেড়িবাঁধ ছিদ্র করে পাইপ বসানোর ফলে বাঁধ হুমকীর মুখে।
স্থানীয় রাইসুল ইসলাম জানান, মাছের ঘেরে নদীর পানি তোলার জন্য বাঁধ ছিদ্র করে পাইপ বসানোর কারণে নিচের মাটি দুর্বল হয়ে গেছে। সে কারণে আস্তে অস্তে তলার মাটি ক্ষয়ে যাওয়ায় হঠাৎ করে বেড়িবাঁধ ধসে যাওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। একারনে এই এলাকার মানুষ হুমকীর মধ্যে আছে।
মথুরেশপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল হাকিম বলেন কালিগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় পাউবো’র বেড়িবাঁধ ছিদ্র করে অবৈধভাবে পাইপ ঢুকিয়ে নদীর লবন পানি উঠিয়ে চলছে অপরিকল্পিত চিংড়ি চাষ। সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক বেড়িবাঁধের ১০০ মিটার দূরে ঘের করার নিয়ম থাকলেও অধিকাংশ চিংড়ি চাষীরা তা মানছে না। ফলে প্রতিবছর ছোটখাটো প্রাকৃতিক দুর্যোগেও ভেঙে যাচ্ছে এসব বাঁধ। প্লাবিত হচ্ছে বিস্তীর্ণ এলাকা।
এদিকে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী (কালিগঞ্জ পওর উপ-বিভাগ) শুভেন্দু বিশ্বাস সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয়ের নির্দেশে বাঁধে ছিদ্র করে বসানো অবৈধ পাইপ লাইন অপসারণ কালে বলেন, বাঁধ ছিদ্র করে পানি উত্তোলন করা যাবেনা। প্রয়োজনে নাইনটি লাগাতে হবে। খাল খনন করে স্লুইজ গেটের মাধ্যমে পানি ওঠানামা করতে হবে।
তিনি আরও বলেন যতদিন পর্যন্ত অবৈধ পাইপ অপসারণ না হবে ততদিন অভিযান অব্যাহত থাকবে। ৫ নং পোল্ডারে ১২৯ কিলোমিটারে ৫৫২ টি পাইপ অপসারণ করতে পারলে বাঁধ ঝুকিমুক্ত হবে।