
বন্ধুত্বের বন্ধন অটুট থাকুক আজীবন এই শ্লোগান নিয়ে কালিয়াকৈরে বড়ইবাড়ী এ. কে. ইউ ইনস্টিটিউশন এন্ড কলেজের এস এস সি ১৯৮৮ ব্যাচের পুর্নমিলনী বৃহস্পতিবার বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হয়েছে । এস এস সি পাশের ৩৭ বছর পর আবার বন্ধুরা এক সাথে মিলিত হলো । বিদ্যালয়ের সাবেক ও বর্তমান শিক্ষক, বন্ধু, স্ত্রী, সন্তান, পরিবার পরিজন সবাই এক সাথে দেখা হয়েছে। বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে বিরাজ করছে উৎসবমুখর এক পরিবেশ।
পুরনো বন্ধুর সাথে হাতে হাত,বুকে বুক মিলিয়ে কুশল বিনিময় করেছেন। অনেকেআবার প্রিয় সহপাঠীকে পেয়ে সেলফি তুলতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। শৈশবের দিনগুলোকে আরেক বার ফিরে পেতে চায় সবাই। পুরানো দিনের গল্প, স্কুল কলেজের ক্লাসের ফাঁকে করা দুষ্টুৃমি,শিক্ষকের বকা সবই যেন ফিরে আসে পুনমিলনীতে।স্কুল জীবনের হারিয়ে যাওয়া বন্ধুদের এক সাথে পেয়ে সবাই আনন্দিত।স্কুল জীবনের বন্ধুদের কখনো ভোলা যায় না। নিজ নিজ ব্যস্ততার কারণে অনেকেই হারিয়ে যায়। বন্ধুত্বের যে বাধনে জড়িয়েছি বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে।
বন্ধু শুধু বন্ধুই হয়। বন্ধুত্বের মধ্যে থাকে আন্তরিকতা ও নির্মল ভালোবাসা।
বন্ধু কখনো হারিয়ে যায় না। ব্যস্ততার কারনে হয়তো বন্ধুর সাথে যোগাযোগ হয় না। স্কুল জীবনের বন্ধুকে কখনো ভোলা যায় না। বন্ধুত্ব এক অদৃশ্য বন্ধন। বন্ধুত্বকে কখনো ছিন্ন করা যায় না। জীবনে চলার পথে বন্ধুর প্রয়োজন। বন্ধু ছাড়া জীবন অসম্পূর্ণ। যার কোন বন্ধু নেই, সে সবচেয়ে দুর্ভাগ্যবান মানুষ।
বড়ইবাড়ী এ. কে. ইউ. ইনস্টিটিউশন স্কুল এন্ড কলেজের সাবেক শিক্ষক ও কবি অমূল্য সরকার অমল জানান, আমাদের ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের গ্রীষ্মের করোজ্জ্বল মুহূর্তে এস এস সি ৮৮ ব্যাচের পুর্নমিলনীতে উপস্হিত থাকতে পেরে আমি আনন্দিত। ভবিষ্যত প্রজন্মের মুক্তবুদ্ধির শুদ্ধাচারের ফসল হিসেবে এ মিলন মেলা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে আমি মনে করি। এস এস সি ৮৮ ব্যাচের সকল শিক্ষার্থীদের জন্য রইল শুভ কামনা।
বড়ইবাড়ী এ. কে. ইউ. ইনস্টিটিউশন এন্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সুশীল চন্দ্র সরকার জানান, এস এস সি ৮৮ ব্যাচের সকল শিক্ষার্থীরা একএে পদচারনায় বিদ্যালয় প্রাঙ্গন হয়ে উঠবে উৎসবমুখুর।
৮৮ ব্যাচের সাবেক শিক্ষক আমারও শিক্ষক। আমার শিক্ষক আমার প্রতিষ্ঠানে আসবে এতে আমি ও গর্বিত যে সকল শিক্ষক পরলোক গমন করেছেন তাদের আত্মার শান্তি কামনা করছি। এস এস সি ৮৮ ব্যাচের পুর্নমিলনী দেখে অন্যান্য ব্যাচের
শিক্ষার্থীরাও আনন্দিত হবে । আমিও এই প্রতিষ্টানের শিক্ষার্থী হিসেবে গর্বিত। ৮৮ ব্যাচের সকল শিক্ষার্থীদের জন্য অভিনন্দন ও শুভ কামনা রইল।
শ্রাবনী পান্ডে জানান , এস এস সি ৮৮ ব্যাচের মিলন মেলায় যুক্ত হতে পেরে আমি খুবই পুলকিত বোধ করছি। ৩৭ বছর পর বন্ধুদের আবেগ, অনুভুতি, খুনসুটি ও ভালোবাসার বহি:প্রকাশ। এক অসাধারণ সন্ধিক্ষণে উপস্হিতি হতে পেরে আনন্দিত।
প্রতিভা রানী বাড়ৈ জানান, এস এস সি ৮৮ ব্যাচের পূর্নমিলনী অনুষ্ঠানে উপস্হিতি হতে পেরে ভালো লাগছে। সকালের জন্য শুভ কামনা রইল।
এস এস সি ৮৮ ব্যাচের শিক্ষার্থীরা জানান, স্কুল প্রাঙ্গন সাজানো হচ্ছে নতুন সাজে। শিশুদের জন্য চিত্তবিনোদনের ব্যবস্হা রাখা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দিন ব্যাপী চলবে আড্ডা, আলোচনা, নাচ, গান, আবৃত্তি ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। আবার ও পুরনো সব বন্ধুর সাথে দেখা হবে। এ অন্য রকম এক অনুভূতি।
বেলা বাড়ার সাথে সাথে বন্ধুদের বাধভাঙ্গা উল্লাসে মেতে ওঠে বিদ্যালয় প্রাঙ্গন।দীর্ঘ আড্ডায় হাসি-ঠাট্টায় ঘোরাঘুরির ইতি টেনে ফিরে যায় সবাই যার যার ঠিকানায়।সব বাধা-বিপত্তি পার হয়ে সকল বন্ধু এক ছাতার নিচে সব বন্ধু জড়ো হয়ে যায়।
জীবনে চলার পথে কেউ দীর্ঘস্থায়ী নই। বাস্তবতাকে মেনে নিয়ে আমরা দূরের বাসিন্দা হয়ে যাব একদিন। দূর সীমানার বাইরের চলে গেলেও অন্তরে অটুট থেকে যায় বন্ধুত্বের আন্তরিকতার টান। সুখ-দুঃখে সহানুভূতির হাত বাড়িয়ে পাশে থাকুক বিশ্বস্ত বন্ধুত্বের হাত।
স্মৃতিচারণ,হৈ-হুল্লোড়, আপ্যায়ন,
কনসার্টসহ, দিনব্যাপী নানা আয়োজন মুখরিত ছিল পুনমিলনী অনুষ্ঠান এতে অএ বিদ্যালয়ের এস এস সি ৮৮ ব্যাচের প্রায় শতাধিক শিক্ষাথী অংশ নেয়।
বন্ধুত্ব মানেই জীবনের সবুজতম সম্পর্ক। বন্ধুত্বের বসবাস আত্মার কাছাকাছি। কিশোর থেকে বৃদ্ধ সবাই বন্ধুত্বের কদর করেন।যদি বন্ধু হও,তবে হাতটা বাড়াও।হৃদয়ের আহবানে সব বন্ধুর হাত আজ মিলেছে বন্ধুত্বের সাথে রক্তের কোন সম্পর্ক থাকে না। তবুও বন্ধুত্বের আবেগের হয়ে ওঠে। বাস্তব জীবনে বন্ধুত্ব বা স্কুলের বন্ধুত্ব হয়ে থাকে নিঃস্বার্থ বন্ধুত্বের ৩৭ বছর পর এক হলেন ঐতিহ্যবাহী বড়ইবাড়ী এ.কে. ইউ.ইনস্টিটিউশন ও কলেজ।
বন্ধু মানে সুখ-দুঃখের ভরসা, বন্ধু হলো সামনে পথে এগিয়ে চলার অনুপ্রেরণা। মানুষের জীবনে প্রায় ধাপে ধাপে বন্ধুর বন্ধুর দেখা মেলে। কেউ স্কুল জীবনের, কেউ কলেজ জীবনের, কেউ বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের,কেউ আবার কর্ম জীবনের বন্ধু। জীবনে চলার পথে স্কুল জীবনের বন্ধুর গুরুত্ব বহন করে বেশি। স্কুল জীবনের বন্ধুকে কখনো ভোলা যায় না। ব্যস্ততার কারণে নিয়মিত খোঁজ খবর অনেক সময় হয়ে উঠে না। কিন্তু স্কুল জীবনের বন্ধুর কথা গেথে থাকে অন্তরে।স্কুল জীবনের বন্ধুর সাথে দেখা না হলেও স্মৃতির পাতায় আজীবন থেকে যায়। আবার দেখা হবে বন্ধু, ভালো থেকো।