
পদ্মা সেতুর ওপরে ট্রাকের পেছনে ইমাদ পরিবহন নামের একটি যাত্রীবাহী বাসের ধাক্কায় দুজন নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় অন্তত দশ জন গুরুতর আহত হয়েছেন।
শুক্রবার রাত ১১টার দিকে এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত একজনের নাম রাকিব সমাদ্দার, তাঁর বাড়ি খুলনায়। আরেক নিহতের পরিচয় প্রাথমিকভাবে জানা যায়নি।
আহতেরা হচ্ছেন মিল্টন (২৫), আয়েশা সিদ্দিক (১০), শেখ খালিদুর, আছাদ গাজী, মো. মামুন, মো. হাবিব শেখ, আরিফুল শেখ, হাবিব মৃধা, কামরুন্নাহার ও ফরিয়াদ ইসলাম। মিল্টনের বাড়ি গোপালগঞ্জে। বাকিদের বাড়ি খুলনায়।
ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা গেছে, ঢাকাগামী ইমাদ পরিবহনের একটি বাস পেছন থেকে একটি ট্রাকের সঙ্গে সজোরে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটায়। সংঘর্ষে বাসের সামনের অংশ দুমড়ে-মুচড়ে যায়। এতে চালক ঘটনাস্থলেই নিহত হন।
ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা আহত অন্তত ১০ জন যাত্রীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হলে সেখানে আরো একজনের মৃত্যু হয়।প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাতের বেলায় ট্রাকটির গতি ছিল ধীর। বাসটি পেছন থেকে সজোরে ধাক্কা দিলে ট্রাকের পেছনের অংশ ছিন্নবিচ্ছিন্ন হয়ে যায় এবং বাসের সামনের অংশ চূর্ণ-বিচূর্ণ হয়। ঘটনাটি এতটাই ভয়াবহ ছিল যে, চালকের আসনের ধাতব কাঠামো সম্পূর্ণভাবে ভেঙে যায়। এ সময় দুর্ঘটনাকবলিত ট্রাক থেকে বিপুল পরিমাণ তেল সড়কে ছড়িয়ে পড়ে, ফলে যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটে এবং দুর্ঘটনার স্থানে পিচ্ছিল পরিস্থিতি তৈরি হয়।
রাত ১১টার পর থেকে পদ্মা সেতুর ঢাকামুখী লেনে যান চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায়। দুর্ঘটনার পর রাত ১২টার দিকে সড়কে ছড়িয়ে পড়া তেল অপসারণ এবং দুর্ঘটনাকবলিত যান সরানোর কাজ শুরু হয়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে যানবাহন নিয়ন্ত্রণে আনে। এরপরে ফায়ার সার্ভিস রাস্তা পরিষ্কার করে দিলে রাত পৌনে ১টার দিকে ফের যান চলাচল শুরু হয়।