০৫:৩৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০১ জুলাই ২০২৫, ১৬ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ডোমার উপজেলা বিএনপির সভাপতির বাড়িতে চুরি, ৩০ লাখ টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার লুট

নীলফামারীর ডোমার উপজেলার ভোগডাবুড়ী ইউনিয়নের থানাপাড়া এলাকায় ডোমার উপজেলা বিএনপির সভাপতি রেয়াজুল ইসলাম কালুর বাড়িতে গত ২৯ জুন মধ্যরাতে দুঃসাহসিক চুরির ঘটনা ঘটেছে।

পরিবার সূত্রে জানা গেছে, চোরেরা প্রায় ৩০ লক্ষ টাকা নগদ অর্থ ও চার ভরি স্বর্ণালঙ্কার লুট করে নিয়ে গেছে।

রেয়াজুল ইসলাম কালুর পুত্র সাজি জানান, “মধ্যরাতে কে বা কারা রান্নাঘরের জানালার শিক কেটে ঘরে প্রবেশ করে। এরপর তারা আমাদের শয়নকক্ষের দরজা খুলে সম্ভবত চেতনানাশক স্প্রে ব্যবহার করে আমাদের আরও অচেতন করে ফেলে। পরে ঘরের আলমারি এবং লকার বাইরে নিয়ে গিয়ে বাবার ও আমার লকারে রক্ষিত টাকা এবং আমার স্ত্রীর স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে পালিয়ে যায়।”

তিনি আরও জানান, “সকাল ৯টার দিকে আমার স্ত্রী ঘুম থেকে উঠে ঘরের অগোছালো অবস্থা দেখে চিৎকার করলে আমরা সবাই জেগে উঠি। পরে এলাকাবাসী ছুটে এসে ঘটনা জানতে পারে।”

খবরটি দ্রুত এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তারা ভুক্তভোগী পরিবারকে প্রাথমিক চিকিৎসা ও ডাক্তারি পরীক্ষা শেষে দ্রুত ডোমার থানায় গিয়ে মামলা দায়েরের পরামর্শ দেন।

এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মামলার প্রস্তুতি চলছিল। চুরির ঘটনাটি এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে।

ট্যাগঃ
প্রতিনিধির তথ্য

জনপ্রিয় পোস্ট

সুন্দরগঞ্জে জুলাইয়ের আগেই মুছে ফেলা হলো জুলাই-আগষ্টের গ্রাফিতি

ডোমার উপজেলা বিএনপির সভাপতির বাড়িতে চুরি, ৩০ লাখ টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার লুট

পোস্ট হয়েছেঃ ০৭:৩০:৪০ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ জুন ২০২৫

নীলফামারীর ডোমার উপজেলার ভোগডাবুড়ী ইউনিয়নের থানাপাড়া এলাকায় ডোমার উপজেলা বিএনপির সভাপতি রেয়াজুল ইসলাম কালুর বাড়িতে গত ২৯ জুন মধ্যরাতে দুঃসাহসিক চুরির ঘটনা ঘটেছে।

পরিবার সূত্রে জানা গেছে, চোরেরা প্রায় ৩০ লক্ষ টাকা নগদ অর্থ ও চার ভরি স্বর্ণালঙ্কার লুট করে নিয়ে গেছে।

রেয়াজুল ইসলাম কালুর পুত্র সাজি জানান, “মধ্যরাতে কে বা কারা রান্নাঘরের জানালার শিক কেটে ঘরে প্রবেশ করে। এরপর তারা আমাদের শয়নকক্ষের দরজা খুলে সম্ভবত চেতনানাশক স্প্রে ব্যবহার করে আমাদের আরও অচেতন করে ফেলে। পরে ঘরের আলমারি এবং লকার বাইরে নিয়ে গিয়ে বাবার ও আমার লকারে রক্ষিত টাকা এবং আমার স্ত্রীর স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে পালিয়ে যায়।”

তিনি আরও জানান, “সকাল ৯টার দিকে আমার স্ত্রী ঘুম থেকে উঠে ঘরের অগোছালো অবস্থা দেখে চিৎকার করলে আমরা সবাই জেগে উঠি। পরে এলাকাবাসী ছুটে এসে ঘটনা জানতে পারে।”

খবরটি দ্রুত এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তারা ভুক্তভোগী পরিবারকে প্রাথমিক চিকিৎসা ও ডাক্তারি পরীক্ষা শেষে দ্রুত ডোমার থানায় গিয়ে মামলা দায়েরের পরামর্শ দেন।

এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মামলার প্রস্তুতি চলছিল। চুরির ঘটনাটি এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে।