১০:১৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ জুন ২০২৫, ১৫ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বাঘারপাড়ায় প্রকৌশলীকে লাঞ্চিত করার অভিযোগ তদন্তের দায়িত্ব থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার

 যশোরের বাঘারপাড়ায় এক নির্বাহী প্রকৌশলীকে লাঞ্চিত করার অভিযোগ উঠেছে কতিপয় ব্যক্তির বিরুদ্ধে  । এঘটনায়  উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ করেছেন , কয়েকজন ঠিকাদার ।  গত মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) উপজেলার নয় জন ঠিকাদারের স্বক্ষরিত  ওই অভিযোগে উল্লেখ্য করা হয়েছে,  উপজেলার খলশী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে।  বিদ্যালয়ের ভবন নিমার্ণে জানালার কার্নিসের তলায় ঠিকাদারের অনুপস্থিতিতে মিস্ত্রি সহযোগীরা কতিপয় স্থানে বাঁশের চটা দ্বারা ঢালাই সম্পাদনা করেছে বলে স্থানীয় কতিপয় ব্যক্তির অভিযোগ করেন । তাদের এমন অভিযোগের ভিত্তিতে গত ২৮ এপ্রিল এলজিইডির উচ্চ পযার্রের একটি টিম সরেজমিন পরিদর্শনে উপস্থিত হলে খলশি গ্রামের ইসমাইল হোসেনের ছেলে আক্তার হোসেন ও আহম্মদ সরদারের ছেলে কাশেম আলী পরিকল্পিতভাবে উপজেলা প্রকৌশলী আবু সুফিয়ান ও পরিদর্শন টিমের সাথে তাদের কথা কাটাকাটি হয় । এসময় ভবনের  নিমার্ণ কাজ বন্ধ রাখার জন্য তারা চেঁচামেচি শুরু করে। এই ঘটনায়  ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জানিয়েছে , কাজের মান খারাপ হলে অফিসের ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ আছে। তাই বলে কারোর সন্ত্রাসী কর্মকান্ড ও অশালীন আচরণ   কাম্য নয় । ত্রুটি ভেবে সরকারি কাজে  বাঁধা দেওয়ার একতিয়ার কারো  নেই। উপজেলা প্রকৌশলী  বলেন , নানা প্রতিকূলতায় (জায়গা নির্বাচনে জটিলতা, পুরাতন ভবন অপসারণ,গাছ কাটা, ঠিকাদার পরিবর্তন) ২০২৫ সালের জানুয়ারি মাসে ৯৪ লক্ষ ৯১ হাজার টাকা ব্যায়ে খলশী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় নির্মাণ কাজটি শুরু করা হয়। যেহেতু পিডিপি ৪ প্রকল্পটি জুন মাসে শেষ হবে। এত কম সময়ে  এই নির্মাণ কাজ শেষ করা ছিল কঠিন চ্যালেঞ্জ। মাত্র তিন মাসে ঠিকাদারকে দিয়ে তিন তলা বিল্ডিং এর মূল স্ট্রাকচারের কাজটি শেষ করা হয়েছে। কাজের কোয়ান্টিটি ও কোয়ালিটির ব্যাপারে কখনো আপোষ করা হয়নি । কাজে যে স্থানে ত্রুটি মনে হয়েছে সেগুলো রেড মার্কিং করে দেয়া এবং ভেঙে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু একশ্রেণির স্বার্থন্বেষী লোকের জন্য বিদ্যালয় ভবন নিমার্ণ কাজ টি থেমে যাচ্ছে।  এবিষয়ে  উপজেলা নিবার্হী অফিসারের দপ্তর থেকে জানা গেছে , খুলশী  সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণাধীন  অভিযোগের বিষয়টি তদন্তের জন্য থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকতার্কে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে । অন্যদিকে  মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে যশোর জেলা সমন্বিত কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আল আমিন এর নেতৃত্বে সাত সদস্যের একটি দল খলশী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নির্মাণ কাজ পরিদর্শন করেছেন।
ট্যাগঃ
প্রতিনিধির তথ্য

জনপ্রিয় পোস্ট

গোপালগঞ্জে ভ্যানচুরীকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে অর্ধশতাধিক আহত

বাঘারপাড়ায় প্রকৌশলীকে লাঞ্চিত করার অভিযোগ তদন্তের দায়িত্ব থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার

পোস্ট হয়েছেঃ ১১:১৪:৪১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫
 যশোরের বাঘারপাড়ায় এক নির্বাহী প্রকৌশলীকে লাঞ্চিত করার অভিযোগ উঠেছে কতিপয় ব্যক্তির বিরুদ্ধে  । এঘটনায়  উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ করেছেন , কয়েকজন ঠিকাদার ।  গত মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) উপজেলার নয় জন ঠিকাদারের স্বক্ষরিত  ওই অভিযোগে উল্লেখ্য করা হয়েছে,  উপজেলার খলশী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে।  বিদ্যালয়ের ভবন নিমার্ণে জানালার কার্নিসের তলায় ঠিকাদারের অনুপস্থিতিতে মিস্ত্রি সহযোগীরা কতিপয় স্থানে বাঁশের চটা দ্বারা ঢালাই সম্পাদনা করেছে বলে স্থানীয় কতিপয় ব্যক্তির অভিযোগ করেন । তাদের এমন অভিযোগের ভিত্তিতে গত ২৮ এপ্রিল এলজিইডির উচ্চ পযার্রের একটি টিম সরেজমিন পরিদর্শনে উপস্থিত হলে খলশি গ্রামের ইসমাইল হোসেনের ছেলে আক্তার হোসেন ও আহম্মদ সরদারের ছেলে কাশেম আলী পরিকল্পিতভাবে উপজেলা প্রকৌশলী আবু সুফিয়ান ও পরিদর্শন টিমের সাথে তাদের কথা কাটাকাটি হয় । এসময় ভবনের  নিমার্ণ কাজ বন্ধ রাখার জন্য তারা চেঁচামেচি শুরু করে। এই ঘটনায়  ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জানিয়েছে , কাজের মান খারাপ হলে অফিসের ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ আছে। তাই বলে কারোর সন্ত্রাসী কর্মকান্ড ও অশালীন আচরণ   কাম্য নয় । ত্রুটি ভেবে সরকারি কাজে  বাঁধা দেওয়ার একতিয়ার কারো  নেই। উপজেলা প্রকৌশলী  বলেন , নানা প্রতিকূলতায় (জায়গা নির্বাচনে জটিলতা, পুরাতন ভবন অপসারণ,গাছ কাটা, ঠিকাদার পরিবর্তন) ২০২৫ সালের জানুয়ারি মাসে ৯৪ লক্ষ ৯১ হাজার টাকা ব্যায়ে খলশী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় নির্মাণ কাজটি শুরু করা হয়। যেহেতু পিডিপি ৪ প্রকল্পটি জুন মাসে শেষ হবে। এত কম সময়ে  এই নির্মাণ কাজ শেষ করা ছিল কঠিন চ্যালেঞ্জ। মাত্র তিন মাসে ঠিকাদারকে দিয়ে তিন তলা বিল্ডিং এর মূল স্ট্রাকচারের কাজটি শেষ করা হয়েছে। কাজের কোয়ান্টিটি ও কোয়ালিটির ব্যাপারে কখনো আপোষ করা হয়নি । কাজে যে স্থানে ত্রুটি মনে হয়েছে সেগুলো রেড মার্কিং করে দেয়া এবং ভেঙে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু একশ্রেণির স্বার্থন্বেষী লোকের জন্য বিদ্যালয় ভবন নিমার্ণ কাজ টি থেমে যাচ্ছে।  এবিষয়ে  উপজেলা নিবার্হী অফিসারের দপ্তর থেকে জানা গেছে , খুলশী  সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণাধীন  অভিযোগের বিষয়টি তদন্তের জন্য থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকতার্কে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে । অন্যদিকে  মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে যশোর জেলা সমন্বিত কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আল আমিন এর নেতৃত্বে সাত সদস্যের একটি দল খলশী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নির্মাণ কাজ পরিদর্শন করেছেন।