০৩:১০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন ২০২৫, ৫ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ভোলা-৪ আসনে তিন যোগ্যতায় এগিয়ে স্থানীয় সন্তান নয়ন: বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী হিসেবে জনতার আস্থা ও সমর্থনে শীর্ষে

  • আবিদ
  • পোস্ট হয়েছেঃ ০৫:৪৭:০১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন ২০২৫
  • 203
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থীদের তালিকা এখন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের টেবিলে, পর্যালোচনার জন্য প্রস্তুত
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থীদের তালিকা এখন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের টেবিলে, পর্যালোচনার জন্য প্রস্তুত। চুলচেরা বিশ্লেষণ এবং তৃণমূলের মতামতের ওপর ভিত্তি করে প্রার্থী চূড়ান্ত করার প্রক্রিয়ায় বিএনপি এবার তিনটি মৌলিক যোগ্যতাকে প্রধান মানদণ্ড হিসেবে নির্ধারণ করেছে। দলের লক্ষ্য, এমন প্রার্থীকে বেছে নেওয়া যিনি সাধারণ ভোটারদের কাছে গ্রহণযোগ্য এবং বিজয় ছিনিয়ে আনতে সক্ষম। এই প্রক্রিয়ায় ২০০১, ২০০৮ এবং ২০১৮ সালের নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রার্থীদের বর্তমান অবস্থানও গভীরভাবে মূল্যায়ন করা হবে। বিএনপির নীতি নির্ধারণী সূত্রে জানা গেছে, প্রার্থী মনোনয়নের ক্ষেত্রে যে তিনটি যোগ্যতাকে প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে সেগুলো হলো: ১. ত্যাগ ও পরীক্ষিত নেতৃত্ব: গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের চলমান আন্দোলন-সংগ্রামে দেশ ও দলের জন্য যে প্রার্থী সবচেয়ে বেশি ত্যাগ স্বীকার করেছেন এবং পরীক্ষিত হয়েছেন, তাকে মূল্যায়ন করা হবে। ২. সততা ও সজ্জন পরিচিতি: যিনি ব্যক্তিগত সততার পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন এবং নিজ এলাকার জনগণের কাছে একজন ভালো ও সজ্জন মানুষ হিসেবে সুপরিচিত, তার মনোনয়ন প্রাপ্তির সম্ভাবনা উজ্জ্বল। ৩. জনপ্রিয়তা ও তারুণ্যের সমন্বয়: নির্বাচনী রাজনীতিতে যিনি তার নিজ আসনে সর্বাধিক জনপ্রিয় এবং জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য, তাকেই বেছে নেওয়া হবে। এক্ষেত্রে তরুণ ও প্রতিশ্রুতিশীল প্রার্থীদের বিশেষভাবে অগ্রাধিকার দেওয়ার নীতি গ্রহণ করা হয়েছে। এই প্রেক্ষাপটে, উপকূলীয় জেলা ভোলার গুরুত্বপূর্ণ আসন ভোলা-৪ (চরফ্যাশন-মনপুরা) তে স্থানীয় নেতৃত্বের দাবি উঠেছে জোরেশোরে। এলাকার সাধারণ জনগণ ও বিএনপির তৃণমূল নেতাকর্মীরা মনে করছেন, এবারের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্থানীয় কোনো ত্যাগী, সৎ ও জনপ্রিয় নেতাকেই মনোনয়ন দেওয়া হোক। এই আলোচনায় সবচেয়ে বেশি উচ্চারিত হচ্ছে যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সফল সাধারণ সম্পাদক, চরফ্যাশন-মনপুরার মাটি ও মানুষের সন্তান জনাব মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম নয়নের নাম। সম্প্রতি বিভিন্ন শীর্ষস্থানীয় পত্রিকায় বিএনপির মনোনয়ন পেতে এই ‘তিন যোগ্যতা’র বিষয়টি প্রকাশিত হওয়ার পর থেকে চরফ্যাশন-মনপুরার সাধারণ মানুষের মধ্যে আশার সঞ্চার হয়েছে। তারা বলছেন, নুরুল ইসলাম নয়ন বিএনপির ঘোষিত তিনটি মানদণ্ডেই উত্তীর্ণ। দলের দুঃসময়ে আন্দোলন-সংগ্রামে তার সক্রিয় অংশগ্রহণ, রাজপথের সাহসী ভূমিকা, ব্যক্তিগত সততা এবং চরফ্যাশন-মনপুরার মানুষের কাছে তার ক্লিন ইমেজ ও ব্যাপক জনপ্রিয়তা তাকে অন্যদের চেয়ে এগিয়ে রেখেছে। বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মের কাছে তিনি একজন আইকন হিসেবে পরিচিত। স্থানীয় বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা জানান, মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম নয়ন দীর্ঘদিন ধরে এলাকার মানুষের সুখে-দুঃখে পাশে আছেন। যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে তিনি যেমন জাতীয় রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন, তেমনি নিজ এলাকার প্রতিও তার দায়বদ্ধতা অনস্বীকার্য। তারা বিশ্বাস করেন, নয়নকে মনোনয়ন দেওয়া হলে তা কেবল স্থানীয় জনতার দীর্ঘদিনের প্রত্যাশারই প্রতিফলন ঘটাবে না, বরং বিএনপির কেন্দ্রীয় নীতিমালারও সঠিক বাস্তবায়ন হবে। চরফ্যাশন ও মনপুরার সাধারণ জনগণ এখন বলছে, “আমরা চাই স্থানীয় নেতা, যিনি আমাদের ভালোবাসেন, আমাদের কথা বোঝেন এবং যিনি এই এলাকার উন্নয়ন ও অধিকার আদায়ে সার্বক্ষণিক পাশে থাকবেন। নয়নই সেই যোগ্য মানুষ।”
ট্যাগঃ
প্রতিনিধির তথ্য

জনপ্রিয় পোস্ট

সোনারগাঁয়ে গলাকাটা যুবকের লাশ

ভোলা-৪ আসনে তিন যোগ্যতায় এগিয়ে স্থানীয় সন্তান নয়ন: বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী হিসেবে জনতার আস্থা ও সমর্থনে শীর্ষে

পোস্ট হয়েছেঃ ০৫:৪৭:০১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন ২০২৫
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থীদের তালিকা এখন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের টেবিলে, পর্যালোচনার জন্য প্রস্তুত
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থীদের তালিকা এখন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের টেবিলে, পর্যালোচনার জন্য প্রস্তুত। চুলচেরা বিশ্লেষণ এবং তৃণমূলের মতামতের ওপর ভিত্তি করে প্রার্থী চূড়ান্ত করার প্রক্রিয়ায় বিএনপি এবার তিনটি মৌলিক যোগ্যতাকে প্রধান মানদণ্ড হিসেবে নির্ধারণ করেছে। দলের লক্ষ্য, এমন প্রার্থীকে বেছে নেওয়া যিনি সাধারণ ভোটারদের কাছে গ্রহণযোগ্য এবং বিজয় ছিনিয়ে আনতে সক্ষম। এই প্রক্রিয়ায় ২০০১, ২০০৮ এবং ২০১৮ সালের নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রার্থীদের বর্তমান অবস্থানও গভীরভাবে মূল্যায়ন করা হবে। বিএনপির নীতি নির্ধারণী সূত্রে জানা গেছে, প্রার্থী মনোনয়নের ক্ষেত্রে যে তিনটি যোগ্যতাকে প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে সেগুলো হলো: ১. ত্যাগ ও পরীক্ষিত নেতৃত্ব: গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের চলমান আন্দোলন-সংগ্রামে দেশ ও দলের জন্য যে প্রার্থী সবচেয়ে বেশি ত্যাগ স্বীকার করেছেন এবং পরীক্ষিত হয়েছেন, তাকে মূল্যায়ন করা হবে। ২. সততা ও সজ্জন পরিচিতি: যিনি ব্যক্তিগত সততার পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন এবং নিজ এলাকার জনগণের কাছে একজন ভালো ও সজ্জন মানুষ হিসেবে সুপরিচিত, তার মনোনয়ন প্রাপ্তির সম্ভাবনা উজ্জ্বল। ৩. জনপ্রিয়তা ও তারুণ্যের সমন্বয়: নির্বাচনী রাজনীতিতে যিনি তার নিজ আসনে সর্বাধিক জনপ্রিয় এবং জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য, তাকেই বেছে নেওয়া হবে। এক্ষেত্রে তরুণ ও প্রতিশ্রুতিশীল প্রার্থীদের বিশেষভাবে অগ্রাধিকার দেওয়ার নীতি গ্রহণ করা হয়েছে। এই প্রেক্ষাপটে, উপকূলীয় জেলা ভোলার গুরুত্বপূর্ণ আসন ভোলা-৪ (চরফ্যাশন-মনপুরা) তে স্থানীয় নেতৃত্বের দাবি উঠেছে জোরেশোরে। এলাকার সাধারণ জনগণ ও বিএনপির তৃণমূল নেতাকর্মীরা মনে করছেন, এবারের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্থানীয় কোনো ত্যাগী, সৎ ও জনপ্রিয় নেতাকেই মনোনয়ন দেওয়া হোক। এই আলোচনায় সবচেয়ে বেশি উচ্চারিত হচ্ছে যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সফল সাধারণ সম্পাদক, চরফ্যাশন-মনপুরার মাটি ও মানুষের সন্তান জনাব মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম নয়নের নাম। সম্প্রতি বিভিন্ন শীর্ষস্থানীয় পত্রিকায় বিএনপির মনোনয়ন পেতে এই ‘তিন যোগ্যতা’র বিষয়টি প্রকাশিত হওয়ার পর থেকে চরফ্যাশন-মনপুরার সাধারণ মানুষের মধ্যে আশার সঞ্চার হয়েছে। তারা বলছেন, নুরুল ইসলাম নয়ন বিএনপির ঘোষিত তিনটি মানদণ্ডেই উত্তীর্ণ। দলের দুঃসময়ে আন্দোলন-সংগ্রামে তার সক্রিয় অংশগ্রহণ, রাজপথের সাহসী ভূমিকা, ব্যক্তিগত সততা এবং চরফ্যাশন-মনপুরার মানুষের কাছে তার ক্লিন ইমেজ ও ব্যাপক জনপ্রিয়তা তাকে অন্যদের চেয়ে এগিয়ে রেখেছে। বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মের কাছে তিনি একজন আইকন হিসেবে পরিচিত। স্থানীয় বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা জানান, মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম নয়ন দীর্ঘদিন ধরে এলাকার মানুষের সুখে-দুঃখে পাশে আছেন। যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে তিনি যেমন জাতীয় রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন, তেমনি নিজ এলাকার প্রতিও তার দায়বদ্ধতা অনস্বীকার্য। তারা বিশ্বাস করেন, নয়নকে মনোনয়ন দেওয়া হলে তা কেবল স্থানীয় জনতার দীর্ঘদিনের প্রত্যাশারই প্রতিফলন ঘটাবে না, বরং বিএনপির কেন্দ্রীয় নীতিমালারও সঠিক বাস্তবায়ন হবে। চরফ্যাশন ও মনপুরার সাধারণ জনগণ এখন বলছে, “আমরা চাই স্থানীয় নেতা, যিনি আমাদের ভালোবাসেন, আমাদের কথা বোঝেন এবং যিনি এই এলাকার উন্নয়ন ও অধিকার আদায়ে সার্বক্ষণিক পাশে থাকবেন। নয়নই সেই যোগ্য মানুষ।”