১০:৩৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩০ জুন ২০২৫, ১৬ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সেপটিক ট্যাংকের বিষাক্ত গ্যাস কেঁড়ে নিল নির্মাণ শ্রমিকের প্রাণ

মোঃ শাহজাহান সাজু, লালমনিরহাট: লালমনিরহাট সদর উপজেলার মহেন্দ্রনগর ইউনিয়নের নিজপাড়া গ্রামে সেপটিক ট্যাংকে কাজ করতে নেমে মারুফ হোসেন (১৮) নামের এক নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। তিনি সদর উপজেলার হারাটি ইউনিয়নের হিরামানিক এলাকার আব্দুল খালেকের ছেলে।
শনিবার (৩ মে) সকালে নিজপাড়া এলাকায় জহুরুল ইসলামের নির্মাণাধীন বাড়িতে রাজমিস্ত্রীর সহকারী হিসেবে কাজ করছিলেন মারুফ। সেপটিক ট্যাংকের মুখ খুলে ভেতরে কাজ করতে নামার পরপরই সে অচেতন হয়ে পড়ে। তাকে উদ্ধারের চেষ্টা করতে গিয়ে রাজমিস্ত্রী নিজেও অজ্ঞান হয়ে পড়েন। তবে তার কোমরে রশি বাঁধা থাকায় তাকে জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হয়।
খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার কাজ শুরু করে।পানি ব্যবহার করে প্রায় এক ঘণ্টার প্রচেষ্টায় মারুফের মৃতদেহ উদ্ধার করে।
মহেন্দ্রনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মজিদ মন্ডল বলেন, “সচেতনতার অভাব এবং যথাযথ নিরাপত্তা ব্যবস্থা না থাকায় এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনাটি ঘটেছে।”
ফায়ার সার্ভিসের উপ-পরিচালক ওয়াদুদ হোসেন জানান, “আমরা খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার তৎপরতা চালাই। প্রায় এক ঘণ্টার প্রচেষ্টায় ঐ নির্মাণ শ্রমিকের মৃতদেহ সেপটিক ট্যাংকের ভিতর থেকে উদ্ধার করতে সক্ষম হই। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, সেপটিক ট্যাংকের বিষাক্ত গ্যাসের কারণেই তার মৃত্যু হয়েছে।”
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুর নবী ঘটনাটির সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, “সেপটিক ট্যাংকে বিষাক্ত গ্যাসের কারণে ঐ নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তরের পূর্বে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও তিনি জানান।
ট্যাগঃ
প্রতিনিধির তথ্য

জনপ্রিয় পোস্ট

বাউফলে খেলাফত,মজলিসের২০২৫-এ পটুয়াখালী-২ (বাউফল) আসনে প্রার্থী ঘোষণা

সেপটিক ট্যাংকের বিষাক্ত গ্যাস কেঁড়ে নিল নির্মাণ শ্রমিকের প্রাণ

পোস্ট হয়েছেঃ ১২:২৩:২৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩ মে ২০২৫
মোঃ শাহজাহান সাজু, লালমনিরহাট: লালমনিরহাট সদর উপজেলার মহেন্দ্রনগর ইউনিয়নের নিজপাড়া গ্রামে সেপটিক ট্যাংকে কাজ করতে নেমে মারুফ হোসেন (১৮) নামের এক নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। তিনি সদর উপজেলার হারাটি ইউনিয়নের হিরামানিক এলাকার আব্দুল খালেকের ছেলে।
শনিবার (৩ মে) সকালে নিজপাড়া এলাকায় জহুরুল ইসলামের নির্মাণাধীন বাড়িতে রাজমিস্ত্রীর সহকারী হিসেবে কাজ করছিলেন মারুফ। সেপটিক ট্যাংকের মুখ খুলে ভেতরে কাজ করতে নামার পরপরই সে অচেতন হয়ে পড়ে। তাকে উদ্ধারের চেষ্টা করতে গিয়ে রাজমিস্ত্রী নিজেও অজ্ঞান হয়ে পড়েন। তবে তার কোমরে রশি বাঁধা থাকায় তাকে জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হয়।
খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার কাজ শুরু করে।পানি ব্যবহার করে প্রায় এক ঘণ্টার প্রচেষ্টায় মারুফের মৃতদেহ উদ্ধার করে।
মহেন্দ্রনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মজিদ মন্ডল বলেন, “সচেতনতার অভাব এবং যথাযথ নিরাপত্তা ব্যবস্থা না থাকায় এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনাটি ঘটেছে।”
ফায়ার সার্ভিসের উপ-পরিচালক ওয়াদুদ হোসেন জানান, “আমরা খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার তৎপরতা চালাই। প্রায় এক ঘণ্টার প্রচেষ্টায় ঐ নির্মাণ শ্রমিকের মৃতদেহ সেপটিক ট্যাংকের ভিতর থেকে উদ্ধার করতে সক্ষম হই। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, সেপটিক ট্যাংকের বিষাক্ত গ্যাসের কারণেই তার মৃত্যু হয়েছে।”
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুর নবী ঘটনাটির সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, “সেপটিক ট্যাংকে বিষাক্ত গ্যাসের কারণে ঐ নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তরের পূর্বে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও তিনি জানান।