
যশোরের চৌগাছায় পারিবারিক দ্বন্দের জেরে রিমম (২২) নামে ছেলের এলোপাতাড়ি কোপের আঘাতে শরিফুল ইসলাম (৪০) নামের ঘুমন্ত অবস্থায় নিহত হয়েছেন এক পিতা। শনিবার (৮ মার্চ) ভোরে সেহরির সময় উপজেলার পাতিবিলা উত্তরপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত শরিফুল ইসলামের বিরদ্ধে তিন বছর আগে তার নিজ মেয়েকে ধ’র্ষণের অভিযোগ রয়েছে। পুলিশ হাসপাতাল থেকে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে যশোরের মর্গে পাঠিয়েছে। ঘাতক রিমম পলাতক রয়েছে। পুলিশ, স্থানীয়রা ও নিহতের ভাই মোস্তফা জানান, শরিফুল ইসলাম চাষাবাদের কাজ করতেন। তিনি ৩/৪ মাস আগে তার ছেলে রিমম (২২) কে উপজেলার রামকৃষ্ণপুর গ্রামে বিয়ে দেন। কিন্তু বিয়ের তিন মাস না যেতেই রিমমের সাথে ছাড়াছাড়ি (তালাক) হয়ে যায়। রিমম হচ্ছে নিহত শরিফুলের প্রথম স্ত্রীর সন্তান। পরবর্তীতে রিমমের পিতা দ্বিতীয় বিয়ে করেন। রিমমের স্ত্রীর সাথে তালাক হবার পর তার সৎমা দেখে শুনে নিজের বোনের মেয়ে সাদিয়ার সাথে সৎ ছেলের বিয়ে দেন। কিন্তু বিয়ের পরপরই পারিবারিক দ্বন্দ শুরু হয়। স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার রিমমের নবাগত স্ত্রী নিয়ে পিতা ও সৎ মায়ের সাথে ঝগড়া হয়। বিভিন্ন বিষয় নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ছেলে রিমমের সঙ্গে ঝগড়া চলে আসছিল। ১৫ দিন আগে তারা পৃথক হয়ে যায়। ছেলেকে জমিজমাও বুঝিয়ে দেন। শনিবার ভোরে সেহেরির সময় রিমম বাবার রুমে ঢুকে ঘুমন্ত অবস্থায় তার মাথা ও ঘাড়সহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে হত্যা করে পালিয়ে যায়। তার আর্তচিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা ছুটে এসে গুরুতর জখম অবস্থায় শরিফুলকে উদ্ধার করে চৌগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। এসময় সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। প্রতিবেশীরা থানা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। চৌগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন জানান, পারিবারিক কলহের জেরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। শরিফুলের মরদেহের ময়নাতদন্তের প্রক্রিয়া চলছে। ঘাতক ছেলে পলাতক। তাকে আটক করতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।