০৩:৪৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১১ জুন ২০২৫, ২৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ঝিনাইগাতীতে ঘর ভেঙ্গে কৃষকের গোলার ধান খেয়ে গেল বন্যহাতি

  • আনিছ আহমেদ  
  • পোস্ট হয়েছেঃ ১১:৫৮:৫৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ জুন ২০২৫
  • 139
 শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে মোবারক হোসেন নামে আরোএক কৃষকের গোলার ধান খেয়ে গেছে বন্যহাতিরদল। সোমবার ২ জুন রাতে অর্ধশতাধিক বন্যহাতি উপজেলার নলকুড়া ইউনিয়নের সন্ধ্যাকুড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। মোবারক হোসেন ওই গ্রামের মোতালেব হোসেনের ছেলে। স্থানীয়রা জানান,সোমবার রাত ১২ টার দিকে অর্ধশতাধিক বন্যহাতির একটিদল গোমড়া ও সন্ধ্যাকুড়া এলাকায় তান্ডব লিলা চালায়। এসময় হাতিরদল কৃষক মোবারক হোসেনের ঘরের বেড়া ভেঙে ঘরে থাকা ৩৫ মন ভোট্টা ২০মন ধানও ১০ মন চাল খেয়েও পায়ে মারিয়া সাবাড় করে দেয়। ঘরের আসবাবপত্র গুলো গুড়িয়ে দেয়। এ নিয়ে গত এক সপ্তাহে উপজেলার সীমান্তের গারো পাহাড়ে ১০ টি বাড়ি গুড়িয়ে দেয়ার পাশাপাশি কৃষকদের গোলার ধান খেয়ে গেছে বন্যহাতির দল। এসব ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের বাড়িঘর বনবিভাগের জমির উপর হওয়ায় ক্ষতিপূরনের টাকাও পাচ্ছেন না কৃষকরা। ফলে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা রয়েছেন চরম বিপাকে। বর্তমানে উপজেলার পাহাড়ি গ্রামগুলোতে বন্যহাতির তান্ডব অব্যাহত রয়েছে। ফলে আতঙ্কে বিনাতিপাত করছেন পাহাড়ি গ্রামবাসীরা। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে মধুটিলা রেঞ্জ কর্মকর্তা দেয়ান আলী বলেন বনের জমিতে ঘর-বাড়ী নির্মাণ যেসব পরিবার রয়েছে তারা ক্ষতিপূরনের টাকা পাবেন না।
ট্যাগঃ
প্রতিনিধির তথ্য

জনপ্রিয় পোস্ট

জুড়ীতে নিসচা’র সড়ক সচেতনতামূলক ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত

ঝিনাইগাতীতে ঘর ভেঙ্গে কৃষকের গোলার ধান খেয়ে গেল বন্যহাতি

পোস্ট হয়েছেঃ ১১:৫৮:৫৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ জুন ২০২৫
 শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে মোবারক হোসেন নামে আরোএক কৃষকের গোলার ধান খেয়ে গেছে বন্যহাতিরদল। সোমবার ২ জুন রাতে অর্ধশতাধিক বন্যহাতি উপজেলার নলকুড়া ইউনিয়নের সন্ধ্যাকুড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। মোবারক হোসেন ওই গ্রামের মোতালেব হোসেনের ছেলে। স্থানীয়রা জানান,সোমবার রাত ১২ টার দিকে অর্ধশতাধিক বন্যহাতির একটিদল গোমড়া ও সন্ধ্যাকুড়া এলাকায় তান্ডব লিলা চালায়। এসময় হাতিরদল কৃষক মোবারক হোসেনের ঘরের বেড়া ভেঙে ঘরে থাকা ৩৫ মন ভোট্টা ২০মন ধানও ১০ মন চাল খেয়েও পায়ে মারিয়া সাবাড় করে দেয়। ঘরের আসবাবপত্র গুলো গুড়িয়ে দেয়। এ নিয়ে গত এক সপ্তাহে উপজেলার সীমান্তের গারো পাহাড়ে ১০ টি বাড়ি গুড়িয়ে দেয়ার পাশাপাশি কৃষকদের গোলার ধান খেয়ে গেছে বন্যহাতির দল। এসব ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের বাড়িঘর বনবিভাগের জমির উপর হওয়ায় ক্ষতিপূরনের টাকাও পাচ্ছেন না কৃষকরা। ফলে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা রয়েছেন চরম বিপাকে। বর্তমানে উপজেলার পাহাড়ি গ্রামগুলোতে বন্যহাতির তান্ডব অব্যাহত রয়েছে। ফলে আতঙ্কে বিনাতিপাত করছেন পাহাড়ি গ্রামবাসীরা। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে মধুটিলা রেঞ্জ কর্মকর্তা দেয়ান আলী বলেন বনের জমিতে ঘর-বাড়ী নির্মাণ যেসব পরিবার রয়েছে তারা ক্ষতিপূরনের টাকা পাবেন না।