১১:০২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ জুন ২০২৫, ২৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

লালমনিরহাটের বড়খাতা নেসকো বিদ্যুৎ অফিসে গ্রাহক হয়রানি ও সরকারি নির্দেশনা অমান্যের অভিযোগ

নর্থ ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (নেসকো)এর লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার আওতাধীন বড়খাতা বিদ্যুৎ অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী নাজমুল হক’র বিরুদ্ধে গ্রাহক হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগীদের দাবি,ওই কর্মকর্তা বিদ্যুৎ সংযোগ, বিল সংশোধন ও মিটার পরিবর্তনের মতো নিয়মিত সেবাগুলোতে অকারণে জটিলতা তৈরি করছেন এবং অসদাচরণ করছেন।
ভুক্তভোগী আনিচ বলেন, সেবার জন্য আবেদন করলেও সেগুলো যথাসময়ে নিষ্পত্তি করেন না নির্বাহী প্রকৌশলী। অনেক ক্ষেত্রে ঘুষ বা অনৈতিক সুবিধার ইঙ্গিত দেন তিনি।এমনকি গ্রাহকের বিল বাকি থাকলে অন্য গ্রাহকের মিটার খুলে নিয়ে আসার মত গুরুতর অপরাধেও জড়িত বলে জানান খোদ বিদ্যুৎ অফিসরই একটি সুত্র।
পুরো অফিসটি তিনি স্বৈরাচারী কায়দায় পরিচালনা করছেন বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীদের ।
ছালাম নামের স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, সেবা নিতে গিয়ে কর্মকর্তার রূঢ় ভাষা ও অবহেলার শিকার হতে হয় সব সময় এজন্য সেখানে সেবা গ্রহীতারা যেতে চায় না। পুরো অফিস স্বৈরাচারের দোসর দিয়ে ভরা। তারা মিটার না দেখেই বিল তৈরি করে শুধু মাত্র গ্রাহকেদের হয়রানি করার উদ্দেশ্যে ।
এর পাশাপাশি আরও গুরুতর অভিযোগ হলো বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের লক্ষ্যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের জারি করা নির্দেশনা অনুযায়ী সরকারি অফিসগুলোতে এসি (এয়ার কন্ডিশনার) ব্যবহারে সংযম দেখানোর কথা বলা হলেও, সেই নির্দেশ অমান্য করে নেসকোর ওই নির্বাহী প্রকৌশলী নিজ কার্যালয়ে সারাদিন এসি চালু রাখেন। এতে একদিকে যেমন সরকারি নির্দেশনা লঙ্ঘিত হচ্ছে, অন্যদিকে বিদ্যুতের অপচয় হচ্ছে বলে মনে করছেন সচেতন মহল।
স্থানীয় ভুক্তভোগী মানিক আক্ষেপ করে বলেন, সাধারণ মানুষ যখন বিদ্যুৎ সংকটে ভোগে,তখন সরকারি ওই কর্মকর্তা নিজের কক্ষে ঠাণ্ডা বাতাসে বসে থাকেন এটা কেমন বিচার?
এ বিষয়ে অভিযুক্ত কর্মকর্তা নাজমুল হকের সাথে কথা বলতে গেলে তিনি গণমাধ্যম কর্মীদের সাথেও খারাপ ব্যবহার করেন এবং অভিযোগের বিষয়ে কোন বক্তব্য দিতে পারবেন না বলে তিনি পরিষ্কার জানিয়ে দেন।।
নেসকোর রংপুর বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, আমরা ওই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযোগ শুনেছি। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সচেতন মহলের দাবি, সরকারি সেবায় দায়িত্বশীলতা এবং জনসাধারণের প্রতি সম্মান বজায় রাখা একজন কর্মকর্তার নৈতিক দায়িত্ব। ভুক্তভোগীরা আশা করছেন, নেসকো বিষয়টিকে গুরুত্বের সঙ্গে দেখবেন এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।
ট্যাগঃ
প্রতিনিধির তথ্য

জনপ্রিয় পোস্ট

জুড়ীতে নিসচা’র সড়ক সচেতনতামূলক ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত

লালমনিরহাটের বড়খাতা নেসকো বিদ্যুৎ অফিসে গ্রাহক হয়রানি ও সরকারি নির্দেশনা অমান্যের অভিযোগ

পোস্ট হয়েছেঃ ১২:১৪:১৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ জুন ২০২৫
নর্থ ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (নেসকো)এর লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার আওতাধীন বড়খাতা বিদ্যুৎ অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী নাজমুল হক’র বিরুদ্ধে গ্রাহক হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগীদের দাবি,ওই কর্মকর্তা বিদ্যুৎ সংযোগ, বিল সংশোধন ও মিটার পরিবর্তনের মতো নিয়মিত সেবাগুলোতে অকারণে জটিলতা তৈরি করছেন এবং অসদাচরণ করছেন।
ভুক্তভোগী আনিচ বলেন, সেবার জন্য আবেদন করলেও সেগুলো যথাসময়ে নিষ্পত্তি করেন না নির্বাহী প্রকৌশলী। অনেক ক্ষেত্রে ঘুষ বা অনৈতিক সুবিধার ইঙ্গিত দেন তিনি।এমনকি গ্রাহকের বিল বাকি থাকলে অন্য গ্রাহকের মিটার খুলে নিয়ে আসার মত গুরুতর অপরাধেও জড়িত বলে জানান খোদ বিদ্যুৎ অফিসরই একটি সুত্র।
পুরো অফিসটি তিনি স্বৈরাচারী কায়দায় পরিচালনা করছেন বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীদের ।
ছালাম নামের স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, সেবা নিতে গিয়ে কর্মকর্তার রূঢ় ভাষা ও অবহেলার শিকার হতে হয় সব সময় এজন্য সেখানে সেবা গ্রহীতারা যেতে চায় না। পুরো অফিস স্বৈরাচারের দোসর দিয়ে ভরা। তারা মিটার না দেখেই বিল তৈরি করে শুধু মাত্র গ্রাহকেদের হয়রানি করার উদ্দেশ্যে ।
এর পাশাপাশি আরও গুরুতর অভিযোগ হলো বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের লক্ষ্যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের জারি করা নির্দেশনা অনুযায়ী সরকারি অফিসগুলোতে এসি (এয়ার কন্ডিশনার) ব্যবহারে সংযম দেখানোর কথা বলা হলেও, সেই নির্দেশ অমান্য করে নেসকোর ওই নির্বাহী প্রকৌশলী নিজ কার্যালয়ে সারাদিন এসি চালু রাখেন। এতে একদিকে যেমন সরকারি নির্দেশনা লঙ্ঘিত হচ্ছে, অন্যদিকে বিদ্যুতের অপচয় হচ্ছে বলে মনে করছেন সচেতন মহল।
স্থানীয় ভুক্তভোগী মানিক আক্ষেপ করে বলেন, সাধারণ মানুষ যখন বিদ্যুৎ সংকটে ভোগে,তখন সরকারি ওই কর্মকর্তা নিজের কক্ষে ঠাণ্ডা বাতাসে বসে থাকেন এটা কেমন বিচার?
এ বিষয়ে অভিযুক্ত কর্মকর্তা নাজমুল হকের সাথে কথা বলতে গেলে তিনি গণমাধ্যম কর্মীদের সাথেও খারাপ ব্যবহার করেন এবং অভিযোগের বিষয়ে কোন বক্তব্য দিতে পারবেন না বলে তিনি পরিষ্কার জানিয়ে দেন।।
নেসকোর রংপুর বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, আমরা ওই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযোগ শুনেছি। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সচেতন মহলের দাবি, সরকারি সেবায় দায়িত্বশীলতা এবং জনসাধারণের প্রতি সম্মান বজায় রাখা একজন কর্মকর্তার নৈতিক দায়িত্ব। ভুক্তভোগীরা আশা করছেন, নেসকো বিষয়টিকে গুরুত্বের সঙ্গে দেখবেন এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।