
উজানের ঢলের পানি ও ভারী বৃষ্টিপাতে চলনবিলের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত এই অঞ্চলে সরিষার আবাদ-পরবর্তী নাবি জাতের ব্রি-২৯ ধান নিয়ে বিপাকে পড়েছেন কৃষকেরা। সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার সীমানাবর্তী এলাকায় অনেক জমি পানিতে তলিয়ে গেছে। যদিও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে বলা হচ্ছে, এই অঞ্চলে শতকরা ৯৩ ভাগ বোরো ধান কৃষক ইতিমধ্যে ঘরে তুলতে সক্ষম হয়েছেন।
এসব এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, বিলে পানি বাড়ায় ব্রি-২৯ ধান কেটে ঘরে তুলতে ব্যস্ত রয়েছেন কৃষক। কেউ হাঁটুপানি, কেউ কোমরপানিতে নেমে ধান কাটছেন। এদিকে বৈরী আবহাওয়ার কারণে কৃষক ধান কাটলেও শুকাতে না পারায় পাকা রাস্তায় স্তূপাকার করে রেখেছেন। প্রতিকূল পরিবেশে ধান কাটতে কৃষিশ্রমিক সংকটসহ শ্রমিকের মজুরি বেড়ে গেছে , নাবি জাতের ধান নিয়ে নাকাল অবস্থা। উৎপাদন খরচ বাড়ায় এ বছর তাঁদের লোকসান গুনতে হবে। তাড়াশ কৃষি আবহাওয়া অফিস পূর্বাভাস দিয়ে জানাচ্ছে, এ বছর স্বাভাবিক সময়ের ১০ দিন আগে মৌসুমি বায়ু দেশে প্রবেশ করেছে। আগামীকাল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত আকাশ মেঘলাসহ কোথাও কোথাও বৃষ্টি হতে পারে। তবে পরদিন শুক্রবার থেকে আবহাওয়া কিছুটা ভালো হতে পারে।