
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি’র যুগ্ম মহাসচিব, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স বলেন
লন্ডনে অনুষ্ঠিত বৈঠকের মধ্য দিয়ে সংকটাবস্থা, অনিশ্চয়তা, অচলাবস্হা, সন্দেহ ,অবিশ্বাস, কেটে যেতে শুরু করল, জাতি আশার আলো দেখতে পেলো, সবাই সাধুবাদ জানালো। গোস্বা শুধু সেই দুই দলের, যারা বিভিন্ন মারপ্যাচে আকাশ কুসুম কল্পনায় বিভোর হয়ে অলীক সব বিষয়, যা কী না জনসম্পৃক্তও নয় এবং জটিল, কঠিন এবং তা তারা নিজেরাও বুঝে কী না সন্দেহ – সেই সব বিষয় টেনে এনে রাজনৈতিক অঙ্গনে অস্থিরতা, বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে নির্বাচন শুধু পেছানোই নয় অনিশ্চিত করে তুলেছিল প্রায়।
এতদিন তারা প্রধান উপদেষ্টার দফতর , সরকার ও সরকারের বাহিরে বলয় তৈরি করে প্রধান উপদেষ্টাকে ভুল বুঝিয়ে ও ইমোশন ব্যববহার করে এবং এক প্রকার জিম্মি করে, রাজনৈতিক দল ও রাষ্ট্রীয় শক্তি এবং জনগণের সাথে প্রধান উপদেষ্টা ও সরকারের দূরত্ব সৃষ্টি করে একটা অস্বাভাবিক পরিস্থিতি সৃষ্টি করে নতুন একটি বিপ্লবী সরকার কায়েম করে নির্বাচন ছাড়াই দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকার বা ক্ষমতার স্বাদ নেয়ার দিবাস্বপ্নে বিভোর ছিলো।
সব জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে লন্ডনে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ডক্টর মুহম্মদ ইঊনূস ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যন তারেক রহমানের শীর্ষ বৈঠক এবং সেই বৈঠক থেকে উভয় পক্ষ ছাড় দিয়ে 2026 এর ডিসেম্বর বা এপ্রিল নয়, রোজা শুরু হবার এক সপ্তাহ আগে নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে এবং একই সাথে নির্বাচনের আগেই ঐকমত্যের ভিত্তিতে সংস্কার, জুলাই সনদ ও ফ্যাসিস্টদ ও তাদের দোসরদের বিচার বিষয়ে দুই নেতা দৃঢ় মনোভাব প্রকাশ করেছেন।
দুই নেতার অবিস্মরনীয় এই বৈঠক, খোলমেলা আলোচনা ও ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত ষড়যন্ত্রকারীদের কফিনে শেষ পেড়াক গেথে দিয়েছে। তাই তাদের গোস্বা, মলিন মুখ, অভিমানী বক্তব্য জাতি আজ দেখতে পেয়েছে।
লন্ডনে গতকালকের বৈঠকে বাংলাদেশ জিতেছে, ষড়যন্ত্রকারীরা হেড়েছে, জাতি অবাধ , নিরপেক্ষ , গ্রহণযোগ্য নিরাচনের মধ্য দিয়ে এবং গণ অভুত্থানের আকাঙ্ক্ষার বাস্তব ভিত্তি দিতে বাস্তবায়নের মহাসড়কে উঠেছে,
সকলের প্রতি আহবান , আসুন ঐক্যবদ্ধ হয়ে জাতির প্রত্যাশা পূরণ করি, ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা ডক্টর মুহম্মদ ইঊনূস, তারেক রহমানকে,
বেগম খালেদা জিয়াকেও কৃতজ্ঞতা, অসুস্থ থেকেও তিনি তাঁর অভিজ্ঞতার আলোকে জাতি , সরকার এবং শুধু নিজের দল নয়, সকল রাজনৈতিক দলকে সমুহ বিপদ থেকে রক্ষা করতে নেপথ্যে যার পর নাই তাই করেছেন। ধন্যবাদ দেশপ্রেমিক সশস্ত্র বাহিনী, প্রশাসনসহ রাষ্ট্রীয় শক্তির প্রতি ,তাঁরা দ্রুত নির্বাচন প্রশ্নে ঐকমত্য পোষণ করেছেন। জনগণ আসল ভূমিকা পালন করেছে , দ্রুত নির্বাচনের প্রশ্নে জনগণ অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছিলেন ।তাদের প্রভাব সবাইকে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে নিয়ামক ভূমিকা পালন করেছে, জিয়া পরিবার জাতির আস্থার প্রতীক হয়ে দাঁড়ালো আরও একবার ।