
সুন্দরবন তিন মাসের জন্য বন্ধ থাকায় মংলা উপজেলার জেলেরা অভাব-অনটনের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন।
প্রতি বছরের ন্যায় ১ জুন থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত টানা তিন মাস সুন্দর মনে প্রবেশ নিষেধাজ্ঞা এই সময়ে তাদের মাছ ধরার অনুমতি না থাকায় জীবিকা নির্বাহ করা কঠিন হয়ে পড়েছে।
সুন্দরবন বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ মৎস্য ক্ষেত্র, যেখানে বহু জেলে তাদের জীবিকার জন্য মাছ ধরার উপর নির্ভরশীল। প্রতি বছর নির্দিষ্ট সময়ের জন্য সুন্দরবন বন্ধ ঘোষণা করা হয়, যাতে মাছ এবং অন্যান্য বন্যপ্রাণীর প্রজনন ও বৃদ্ধি স্বাভাবিক থাকে। কিন্তু এই সময়ে সুন্দরবন নির্ভর জেলেদের আয় বন্ধ হয়ে যায়, যার কারণে তাদের অভাব-অনটনে পড়তে হয়।
মংলা উপজেলার জেলেরা সাধারণত মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করেন, কিন্তু সুন্দরবন বন্ধ থাকায় তারা অন্য কোনো কাজের সুযোগ পাচ্ছেন না।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বন্ধের সময় জেলেদের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে কোনো সহায়তা না পাওয়ায় তাদের কষ্ট আরও বাড়ে। অনেক জেলে ধার দেনা করে সংসার চালাচ্ছেন এবং তাদের জীবনযাত্রার মান অনেক কমে গেছে।
জয়মনির জেলেদের সাথে কথা বলে জানা যায় সুন্দরবন সংলগ্ন এলাকার জেলেদের জন্য সরকারি সহায়তা প্রদান করা হয়, যেমন খাদ্য সহায়তা। কিন্তু এই সহায়তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল, জেলেদের দাবি প্রত্যেক জেল কে এই তিন মাস বিকল্প ব্যবস্থা ও পরিপূর্ণ ত্রাণ সহযোগিতা করার জন্য। পরিপূর্ণ ত্রাণ ও সঠিক বিকল্প ব্যবস্থা না থাকার কারণে অনেক জেলেকে অভাবের সাথে লড়াই করতে হচ্ছে।
সুন্দরবন বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ এবং এর সংরক্ষণ ও টেকসই ব্যবস্থাপনা অত্যন্ত জরুরি। একই সাথে, সুন্দরবন নির্ভর জেলেদের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা প্রয়োজন।