Shimul Bagerhat 
বাগেরহাট সদর উপজেলার বেমরতা ইউনিয়ন শ্রমিকদল নেতা পিঞ্জু শেখের বিরুদ্ধে হামলা ও ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (১৮ জুন) বিকালে বেমরতা ইউনিয়নের দত্তকাঠী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
দত্তকাঠী এলাকাবাসীর আয়োজনে ঘন্টা ব্যাপী এ মানববন্ধনে বেমরতা ইউনিয়ন ৯ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি সাইদুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক মজিদ শেখ, স্থানীয় বিএনপি নেতা জাহিদুর রহমান, তারিক শেখ, লতিফ শেখ, দেলোয়ার শেখ, আজমিরা বেগম, মেহেদী শেখ, দেলোয়ার মল্লিক, আলেয়া বেগম, পারভীন বেগমসহ এলাকার প্রায় ৩ শতাধিক স্থানীয় জনতা এ মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করেন।
এ সময় শ্রমিক দল নেতা পিঞ্জু শেখের উপর সন্ত্রাসী হামলার বিচার ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি করেন তারা। স্থানীয়রা জানান, গত ১৩ জুন দত্তকাঠী এলাকার স্থানীয় কিছু সন্ত্রাসী ও বহিরাগতদের সাথে হামলা হয়। এ ঘটনায় এলাকার একটি সন্ত্রাসী মহল বিষয়টি ভিন্ন খাতে নিতে পরিকল্পিতভাবে বিএনপিসহ কিছু নিরীহ লোকের নামে মামলা দেয়। এই মামলাটি সম্পুর্ন মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক ভাবে প্রদান করা হয়েছে। এলাকার শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে বিষয়টি সঠিকভাবে তদন্ত করে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান তারা।
এলাকাবাসী আরো জানান, পিঞ্জু শেখ শ্রমিক দল নেতা হিসেবে এলাকায় সাধারণ মানুষের পাশে থেকে দীর্ঘদিন কাজ করে যাচ্ছে। তার জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে একটি মহল তাকে সামাজিকভাবে হেয় করতে এ মিথ্যা মামলা প্রদান করেছে। এ মামলা করে ষড়যন্ত্রকারীরা এলাকায় লুটপাট শুরু করেছে। তাই প্রশাসনের পাশাপাশি জেলার ঊর্ধ্বতন নেতৃবৃন্দর সহযোগিতা কামনা করেন মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীরা।
বেমরতা ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি সাইদুর রহমান বলেন, এলাকার একটি মহল পরিকল্পিতভাবে হামলা চালিয়ে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে পিঞ্জু শেখকে মিথ্যা মামলায় জড়িয়েছে। ঘটনার দিন পিঞ্জু শেখ এলাকায় উপস্থিত ছিলেন না। তাই ঘটনাটি সঠিকভাবে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি।
পিন্জু শেখের মা আজমীরা বেগম বলেন, স্থানীয় রাজীবদের সাথে পানির পট নিয়ে ঘেরের কর্মচারীর সাথে বিবাদ হয়েছে। তারা দুটি ছেলেকে বেদম মারপিট করেছে। তাদের একজন ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসা গ্রহণ করছে। মারামারির এ ঘটনার সময় পিঞ্জু ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিল না। আমাদের ক্ষতি করার জন্য পিন্জুকে ওই মারামারি মামলায় আসামি করেছে। প্রশাসনের কাছে আমার দাবি তদন্ত করে এই মিথ্যা মামলা থেকে পিঞ্জুর নাম বাদ দেওয়া হোক।
