
হাইওয়ে পুলিশ কুমিল্লা রিজিয়নের এডিশনাল ডিআইজি মো: খাইরুল আলম এর নির্দেশনা মোতাবেক মহাসড়কে দায়িত্ব পালন কালে মিয়াবাজার হাইওয়ে থানার মোবাইল -১ এর ডিউটি ইনচার্জ সার্জেন্ট মো: হাসান উদ্দিন ও তার টিম কর্তৃক সন্ধ্যা ৭টা ৪৫ মিনিটে কুমিল্লা জেলার ১৪ গ্রাম থানাধীন ডলি রিসোর্ট ইকোপার্ক এলাকা হতে ১টি নতুন সিএনজি সহ মো: আল মাহফুজ (৩০), পিতা- আবু তাহের, সাং- কৃষ্ণ নগর, থানা- সদর দক্ষিণ নামক ১ ডাকাত আটক করা হয়।
ডাকাত মোঃ আল মাহফুজ (৩০) গত ১৭ জুন ২০২৫ তারিখে ভিকটিম সিএনজি চালক মনির হোসেন, পিতা- বাচ্চু মিয়া, সাং- তেলিপাড়া, থানা- লালমাই, জেলা- কুমিল্লা এর সিএনজি যোগে পদুয়ার বাজার হতে জাঙ্গালিয়া বাসস্ট্যান্ড এলাকায় যাওয়ার সময় নিজেকে র্যাব ১১ সাকতলা কুমিল্লার গোয়েন্দা অফিসার পরিচয় দেয়।ডাকাত মো: আল মাহফুজ সিএনজি চালককে জিজ্ঞেস করে সে সরকারি ডিউটি করে কিনা এবং ড্রাইভার নিকট হতে মোবাইল নম্বর নেয়।
পরবর্তীতে ডাকাত মো: আল মাহফুজ ১৭ জুন তারিখে ভিকটিম সিএনজি চালক মনির হোসেন এর নিকট ফোন করে বলে আজ মিয়াবাজার এলাকায় র্যাব ১১ এর অভিযান আছে এবং এই জন্য র্যাব সিএনজিটি ২ ঘন্টার জন্য ব্যবহার করতে চাই এবং এই জন্য দুই হাজার টাকা দেওয়া হবে বলে ডাকাত মাহফুজ আশ্বাস দেয়। এই প্রস্তাবে সিএনজি চালক রাজি হয় এবং ডাকাত মো: আল মাহফুজকে নিয়ে মিয়াবাজার এলাকায় রওনা হয়। পথিমধ্যে আরো ২জন ডাকাত সিএনজিতে উঠে। পরবর্তীতে ৩০-৪০ মিনিট গ্রাম এলাকার বিভিন্ন রাস্তায় ঘুরিয়ে সদর দক্ষিণ থানাধীন রাজেশপুর ইকোপার্ক এলাকায় পৌঁছলে সন্ধ্যা ৭ঃ৪৫ মিনিটে ঘটনাস্থলে থাকা আরো ২জন ডাকাত এবং সিএনজিতে থাকা ৩জন ডাকাত একত্রিত হয়ে সিএনজি চালক মো: মনির হোসেন (২৮)কে ধরে জঙ্গলের ভিতর নিয়ে যায়। সেখানে সিএনজি চালককে ধারালো অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে ১টি গামছা দিয়ে মুখ বরাবর গাছের সাথে শক্ত করে বেঁধে ফেলে এবং আরও ১টি গামছা দিয়ে তার ২হাত ও শরীরসহ গাছের সাথে শক্ত করে বেঁধে রেখে সিএনজিটি নিয়ে মহাসড়কের দিকে ধাবিত হয়।
সিএনজি চালক মো: মনির হোসেন (২৮) আধাঘন্টা পর্যন্ত জঙ্গলে ১টি গাছের সাথে বাধা অবস্থায় ছিল। তখন সেখানে অনেক অন্ধকার ছিল এবং বৃষ্টি হচ্ছিল। এই অবস্থায় সিএনজি ড্রাইভার ৩০ মিনিট ধরে অনেক চেষ্টার পর প্রথমে তার ২হাত ও বডিতে বাঁধা গামছাটি খুলতে সক্ষম হয় এবং পরবর্তীতে মুখ বরাবর গাছের সাথে বাধা গামছাটি নিজে খুলে পায়ে হেটে আধা কিলোমিটার যাওয়ার পর একটি বাড়িতে গিয়ে সাহায্য চাই ; যেন সে মোবাইলে বাড়ির লোকজনদের সাথে যোগাযোগ করতে পারে কিন্তু সেখানে ভিকটিম ড্রাইভার মো: মনির হোসেন (২৮) কোন সহায়তা পায় না। এরপর আরো দেড় কিলোমিটার পায়ে হেটে যাওয়ার পর একটি বাজার পায় এবং সেখান থেকে তার বড় ভাই মোঃ আব্দুল কাদের (৩৫) এর নিকট মোবাইল ফোন করে ঘটনার বিষয়ে বিস্তারিত জানায়। পরবর্তীতে সিএনজি চালকের বড় ভাই মোঃ আব্দুল কাদের এ সময় মিয়াবাজার হাইওয়ে থানার মোবাইল -১ ডিউটি ইনচার্জ সার্জেন্ট মো: হাসান উদ্দিনের সরকারি মোবাইল ০১৩২০১৮৩৪২৭ নম্বরে ফোন করে বিস্তারিত জানালে মিয়াবাজার হাইওয়ে থানা পুলিশ তাদের সকল মোবাইল পেট্রোল পার্টিকে মহাসড়কের অবস্থানরত সকল সিএনজি চেক করা নির্দেশ দেয়। ফলশ্রুতিতে একপর্যায়ে চৌদ্দগ্রাম থানাধীন ডলি রিসোর্ট এলাকা থেকে উক্ত সিএনজি সহ ডাকাত মো: আল মাহফুজকে মিয়াবাজার হাইওয়ে থানাপুলিশ গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
পুলিশের ক্রাইম ডেটা ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম যাচাই করে দেখা যায় যে ডাকাত মো: আল মাহফুজ (৩০) এর বিরুদ্ধে রংপুর জেলার পীরগঞ্জ থানায় ১টি চাঁদাবাজি মামলা ও কুমিল্লা জেলার লালমাই থানায় ১টি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন মামলার চার্জশিট ভুক্ত আসামি।