০২:৫২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ জুন ২০২৫, ৭ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে বান্ধবীকে এনে রাত্রিযাপন, এক ছাত্রকে বহিষ্কার

  • Arafat Sani
  • পোস্ট হয়েছেঃ ১১:২৮:১৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২১ জুন ২০২৫
  • 44
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ হবিবুর রহমান হলে এক ছাত্র তার বান্ধবীকে এনে রাত্রিযাপন করেছেন, এমন ঘটনায় তোলপাড় শুরু হয়েছে আবাসিক ছাত্রদের মধ্যে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অভিযুক্ত ছাত্রকে হলে থেকে বহিষ্কার করেছে এবং তদন্তে নেমেছে শৃঙ্খলা কমিটি।ঘটনাটি ঘটে ৪ জুন রাতে, হলের ১৫৩ নম্বর কক্ষে। অভিযুক্ত ছাত্রের নাম মো. নাজমুল ইসলাম। তিনি পপুলেশন সায়েন্স অ্যান্ড হিউম্যান রিসোর্স ডেভেলপমেন্ট বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী এবং মাদারীপুর জেলার বাসিন্দা। জানা গেছে, তার সঙ্গে থাকা ছাত্রীটিও একই বিভাগের এবং একই বর্ষের।
প্রত্যক্ষদর্শী দুই ছাত্র জানান, “ভোরে বাড়ি ফেরার সময় হল গেটের সামনে দাঁড়িয়ে ছিলাম। তখন দেখি, একটি ছেলে সাইকেল চালিয়ে বের হচ্ছে, পেছনে একটি মেয়ে বসা। মেয়েটির পরনে স্কুলশার্ট ও মাথায় ক্যাপ ছিল। বিষয়টি সন্দেহজনক মনে হলে আমরা পিছু নিই, কিন্তু ধরতে পারিনি। দারোয়ানও আটকাতে পারেননি।”
এ বিষয়ে নাজমুল ইসলাম বলেন, “৩ জুন আমার জন্মদিন ছিল, কেক কাটতে কাটতে রাত হয়ে যায়। মেয়েটির মেসে থাকার সমস্যা হওয়ায় সে মানবিক সাহায্য চায়। আমি তাকে হলে নিয়ে আসি। পরদিন সকালে সে চলে যায়। প্রভোস্ট স্যারকে ঘটনাটি জানিয়েছি, তিনি আমাকে হল থেকে বহিষ্কার করেছেন এবং বলেছিলেন, বিষয়টি বাইরে জানাজানি হবে না।”
তবে ঘটনাটি জানাজানি হওয়ার পর হলে নিন্দার ঝড় ওঠে। আবাসিক শিক্ষার্থীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “এ ধরনের ঘটনা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। এটি শুধু নিয়মভঙ্গ নয়, বরং ভয়াবহ অনৈতিক কাজ। অভিযুক্তের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার চাই। একইসঙ্গে হল প্রশাসনের জবাবদিহিতাও নিশ্চিত করতে হবে।”
হলের প্রভোস্ট ড. মো. মোতাহার হোসেন বলেন, “ঘটনাটি সত্য। আমরা তাৎক্ষণিকভাবে ব্যবস্থা নিয়েছি। অভিযুক্ত শিক্ষার্থীর সিট বাতিল করা হয়েছে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা কমিটিকে অবহিত করা হয়েছে।”
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মোহাম্মদ মাঈন উদ্দিন বলেন, “এটি অত্যন্ত গুরুতর ও সাংঘাতিক ঘটনা। আমরা এর সত্যতা যাচাই করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।”
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কঠোর অবস্থান ও শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদে বিষয়টি এখন আলোচনার কেন্দ্রে। তদন্তের ফলাফল ও শৃঙ্খলা কমিটির সিদ্ধান্তের দিকে তাকিয়ে আছে বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার।
ট্যাগঃ
প্রতিনিধির তথ্য

জনপ্রিয় পোস্ট

নড়াইল ডিবি কর্তৃক ২৬(ছাব্বিশ) পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ গ্রেফতার ০২

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে বান্ধবীকে এনে রাত্রিযাপন, এক ছাত্রকে বহিষ্কার

পোস্ট হয়েছেঃ ১১:২৮:১৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২১ জুন ২০২৫
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ হবিবুর রহমান হলে এক ছাত্র তার বান্ধবীকে এনে রাত্রিযাপন করেছেন, এমন ঘটনায় তোলপাড় শুরু হয়েছে আবাসিক ছাত্রদের মধ্যে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অভিযুক্ত ছাত্রকে হলে থেকে বহিষ্কার করেছে এবং তদন্তে নেমেছে শৃঙ্খলা কমিটি।ঘটনাটি ঘটে ৪ জুন রাতে, হলের ১৫৩ নম্বর কক্ষে। অভিযুক্ত ছাত্রের নাম মো. নাজমুল ইসলাম। তিনি পপুলেশন সায়েন্স অ্যান্ড হিউম্যান রিসোর্স ডেভেলপমেন্ট বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী এবং মাদারীপুর জেলার বাসিন্দা। জানা গেছে, তার সঙ্গে থাকা ছাত্রীটিও একই বিভাগের এবং একই বর্ষের।
প্রত্যক্ষদর্শী দুই ছাত্র জানান, “ভোরে বাড়ি ফেরার সময় হল গেটের সামনে দাঁড়িয়ে ছিলাম। তখন দেখি, একটি ছেলে সাইকেল চালিয়ে বের হচ্ছে, পেছনে একটি মেয়ে বসা। মেয়েটির পরনে স্কুলশার্ট ও মাথায় ক্যাপ ছিল। বিষয়টি সন্দেহজনক মনে হলে আমরা পিছু নিই, কিন্তু ধরতে পারিনি। দারোয়ানও আটকাতে পারেননি।”
এ বিষয়ে নাজমুল ইসলাম বলেন, “৩ জুন আমার জন্মদিন ছিল, কেক কাটতে কাটতে রাত হয়ে যায়। মেয়েটির মেসে থাকার সমস্যা হওয়ায় সে মানবিক সাহায্য চায়। আমি তাকে হলে নিয়ে আসি। পরদিন সকালে সে চলে যায়। প্রভোস্ট স্যারকে ঘটনাটি জানিয়েছি, তিনি আমাকে হল থেকে বহিষ্কার করেছেন এবং বলেছিলেন, বিষয়টি বাইরে জানাজানি হবে না।”
তবে ঘটনাটি জানাজানি হওয়ার পর হলে নিন্দার ঝড় ওঠে। আবাসিক শিক্ষার্থীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “এ ধরনের ঘটনা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। এটি শুধু নিয়মভঙ্গ নয়, বরং ভয়াবহ অনৈতিক কাজ। অভিযুক্তের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার চাই। একইসঙ্গে হল প্রশাসনের জবাবদিহিতাও নিশ্চিত করতে হবে।”
হলের প্রভোস্ট ড. মো. মোতাহার হোসেন বলেন, “ঘটনাটি সত্য। আমরা তাৎক্ষণিকভাবে ব্যবস্থা নিয়েছি। অভিযুক্ত শিক্ষার্থীর সিট বাতিল করা হয়েছে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা কমিটিকে অবহিত করা হয়েছে।”
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মোহাম্মদ মাঈন উদ্দিন বলেন, “এটি অত্যন্ত গুরুতর ও সাংঘাতিক ঘটনা। আমরা এর সত্যতা যাচাই করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।”
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কঠোর অবস্থান ও শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদে বিষয়টি এখন আলোচনার কেন্দ্রে। তদন্তের ফলাফল ও শৃঙ্খলা কমিটির সিদ্ধান্তের দিকে তাকিয়ে আছে বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার।