
ময়মনসিংহের নান্দাইলে আওয়ামীলীগের সাবেক পরিকল্পনা মন্ত্রী মেজর জেনারেল অব: আব্দুস সালামের কন্যা ওয়াহিদা হোসেন রূপা সহ ৩৭ জনের নাম উল্লেখপূর্বক অজ্ঞাত আরো ৪০/৫০ জনের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস বিরোধী আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। উক্ত মামলায় নান্দাইলের তিনজন ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাাম রেণু (৯নং আচারগাঁও), মোয়াজ্জেম হোসেন ভূইয়া মিল্টন (১০নং শেরপুর) ও কামাল উদ্দিন মন্ডল (১২নং জাহাঙ্গীরপুর), সাবেক পৌর মেয়র রফিক উদ্দিন ভূইয়ার পুত্র যুবলীগ নেতা আকতারুজ্জামান ভূইয়া অপু সহ নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের নাম রয়েছে। নান্দাইল মডেল থানা পুলিশের উপ-পরির্দশক (এসআই) নিরস্ত্র আব্দুল হামিদ বাদী হয়ে গত বুধবার (১৮ জুন) ৮৮ জনকে আসামী করে মামলা নং ১৭ দায়ের করেন। এরই মধ্যে নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগ ও যুবলীগের সাত জনকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরন করেছে থানা পুলিশ। তবে জানাগেছে, মামলার ১৭ নং আসামি ওয়াহিদা হোসেন রূপা ও ১৯নং আসামি আকতারুজ্জামান ভূইয়া অপু দেশের বাহিরে রয়েছেন। মামলা সূত্রে জানাগেছে, গত ১৭ জুন রাতে নান্দাইল উপজেলার চণ্ডীপাশা ইউনিয়নের ধুরুয়া ডিএস দাখিল মাদরাসায় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের নেতাকর্মী ও সমর্থকরা জড়ো হয়ে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের প্রস্তুতি নিয়েছিল। পরে থানা পুলিশ গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে সাতজনকে গ্রেফতার দেখানো হয়। আসামীদের বিরুদ্ধে সমাবেশের প্রস্তুতিসহ সন্ত্রাসী কার্যকলাপ করত বিভিন্ন সরকার বিরোধী শলাপরামর্শ করিয়া অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি লক্ষ্যে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টির অভিযোগ আনা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছে- নান্দাইল উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মাহাবুব হাসান জয়, যুবলীগ সমর্থক নজরুল ইসলাম, ছাত্রলীগ সমর্থক মোঃ পাভেল, মোঃ রিয়াদ সরকার, মোঃ এহসান উল হক জয়, শাকিল আহম্মেদ ও ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সভাপতি মোঃ বরকত উল্লাহ। এ বিষয়ে নান্দাইল মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন জানান, সুনির্দিষ্ট অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে মামলা রুজু করা হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। আর আসামি ওয়াহিদা হোসেন রূপা দেশের বাহিরে নাকি ভিতরে আছেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন, তা নিশ্চিত নয়। কিন্তু ইন্দনদাতা হিসাবে অভিযুক্ত হওয়ায় তাকে আসামী করা হয়েছে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গৌরীপুর সার্কেল) দেবাশীষ কর্মকার বলেন, মামলা হওয়ার আগে যদি তারা দেশের বাহিরে গিয়ে থাকে, তবে মামলার বাদী এটি ভূল করেছে। এছাড়া আসামীদের বিষয়টি ইমিগ্রেশনে চেক করে দেখা হবে।
ছবি-সংযুক্ত