১০:১৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ জুন ২০২৫, ৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নান্দাইলে সাবেক পরিকল্পনা মন্ত্রীর কন্যাসহ ৩৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা, অজ্ঞাত আরও ৪০/৫০ জন, গ্রেফতার ৭

ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলায় সাবেক পরিকল্পনা মন্ত্রী মেজর জেনারেল (অবঃ) আব্দুস সালামের কন্যা ওয়াহিদা হোসেন রূপাসহ ৩৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে নান্দাইল মডেল থানা পুলিশ। মামলায় অজ্ঞাত আরও ৪০-৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে। ইতোমধ্যে সাতজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
১৮ জুন (বুধবার) নান্দাইল মডেল থানার এসআই (নিরস্ত্র) আব্দুল হামিদ বাদী হয়ে মামলাটি (নং-১৭(৬)২৫) দায়ের করেন। মামলাটি সন্ত্রাসবিরোধী আইনে রুজু করা হয়।
মামলায় উল্লেখযোগ্য আসামিঃ-
রফিকুল ইসলাম রেণু – চেয়ারম্যান, (৯নং আচারগাঁও ইউনিয়ন)
মোয়াজ্জেম হোসেন ভূইয়া মিল্টন – চেয়ারম্যান, (১০নং শেরপুর ইউনিয়ন)
কামাল উদ্দিন মণ্ডল – চেয়ারম্যান, (১২নং জাহাঙ্গীরপুর ইউনিয়ন)
আক্তারুজ্জামান ভূইয়া অপু – যুবলীগ নেতা, সাবেক মেয়র রফিক উদ্দিন ভূইয়ার পুত্র। এবং
ওয়াহিদা হোসেন রূপা – সাবেক পরিকল্পনা মন্ত্রীর কন্যা।
এছাড়া ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও আওয়ামী লীগের একাধিক নেতাকর্মীকেও আসামি করা হয়েছে।
পুলিশের দাবি অনুযায়ী, গত ১৭ জুন রাতে চণ্ডীপাশা ইউনিয়নের ধুরুয়া ডিএস দাখিল মাদ্রাসায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা গোপনে জড়ো হয়ে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। ঐ সময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে পুলিশ সাতজনকে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃত আসামি:
১. মাহাবুব হাসান জয় – সভাপতি, উপজেলা ছাত্রলীগ
২. নজরুল ইসলাম – যুবলীগ সমর্থক
৩. মো. পাভেল – ছাত্রলীগ সমর্থক
৪. মো. রিয়াদ সরকার
৫. মো. এহসান উল হক জয়
৬. শাকিল আহমেদ
৭. মো. বরকত উল্লাহ – ওয়ার্ড ছাত্রলীগ সভাপতি।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, অভিযুক্তরা সরকারবিরোধী পরিকল্পনা এবং উসকানিমূলক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে জনমনে আতঙ্ক ছড়িয়ে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি  তৈরির চেষ্টা করছিল।
নান্দাইল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ আনোয়ার হোসেন বলেন, “সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।” সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান যে, মামলার ১৭নং আসামি ওয়াহিদা হোসেন রূপা এবং ১৯নং আসামি আক্তারুজ্জামান ভুইয়া অপু বর্তমানে বিদেশে আছেন কিনা – তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে তাদের ‘উসকানিদাতা’ হিসেবে মামলায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
গৌরীপুর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার দেবাশীষ কর্মকার ১৭ & ১৯ নং আসামিদের বিষয়ে বলেন, “মামলার আগে তারা যদি দেশত্যাগ করে থাকেন, তবে বাদীর উচিত ছিল তা যাচাই করা। বিষয়টি ইমিগ্রেশন বিভাগের মাধ্যমে তদন্ত করা হবে।”
ট্যাগঃ
প্রতিনিধির তথ্য

জনপ্রিয় পোস্ট

লালমনিরহাটে নবীজিকে কটুক্তি করায় বাবা-ছেলে আটক

নান্দাইলে সাবেক পরিকল্পনা মন্ত্রীর কন্যাসহ ৩৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা, অজ্ঞাত আরও ৪০/৫০ জন, গ্রেফতার ৭

পোস্ট হয়েছেঃ ০৬:০৯:২৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ জুন ২০২৫
ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলায় সাবেক পরিকল্পনা মন্ত্রী মেজর জেনারেল (অবঃ) আব্দুস সালামের কন্যা ওয়াহিদা হোসেন রূপাসহ ৩৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে নান্দাইল মডেল থানা পুলিশ। মামলায় অজ্ঞাত আরও ৪০-৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে। ইতোমধ্যে সাতজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
১৮ জুন (বুধবার) নান্দাইল মডেল থানার এসআই (নিরস্ত্র) আব্দুল হামিদ বাদী হয়ে মামলাটি (নং-১৭(৬)২৫) দায়ের করেন। মামলাটি সন্ত্রাসবিরোধী আইনে রুজু করা হয়।
মামলায় উল্লেখযোগ্য আসামিঃ-
রফিকুল ইসলাম রেণু – চেয়ারম্যান, (৯নং আচারগাঁও ইউনিয়ন)
মোয়াজ্জেম হোসেন ভূইয়া মিল্টন – চেয়ারম্যান, (১০নং শেরপুর ইউনিয়ন)
কামাল উদ্দিন মণ্ডল – চেয়ারম্যান, (১২নং জাহাঙ্গীরপুর ইউনিয়ন)
আক্তারুজ্জামান ভূইয়া অপু – যুবলীগ নেতা, সাবেক মেয়র রফিক উদ্দিন ভূইয়ার পুত্র। এবং
ওয়াহিদা হোসেন রূপা – সাবেক পরিকল্পনা মন্ত্রীর কন্যা।
এছাড়া ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও আওয়ামী লীগের একাধিক নেতাকর্মীকেও আসামি করা হয়েছে।
পুলিশের দাবি অনুযায়ী, গত ১৭ জুন রাতে চণ্ডীপাশা ইউনিয়নের ধুরুয়া ডিএস দাখিল মাদ্রাসায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা গোপনে জড়ো হয়ে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। ঐ সময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে পুলিশ সাতজনকে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃত আসামি:
১. মাহাবুব হাসান জয় – সভাপতি, উপজেলা ছাত্রলীগ
২. নজরুল ইসলাম – যুবলীগ সমর্থক
৩. মো. পাভেল – ছাত্রলীগ সমর্থক
৪. মো. রিয়াদ সরকার
৫. মো. এহসান উল হক জয়
৬. শাকিল আহমেদ
৭. মো. বরকত উল্লাহ – ওয়ার্ড ছাত্রলীগ সভাপতি।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, অভিযুক্তরা সরকারবিরোধী পরিকল্পনা এবং উসকানিমূলক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে জনমনে আতঙ্ক ছড়িয়ে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি  তৈরির চেষ্টা করছিল।
নান্দাইল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ আনোয়ার হোসেন বলেন, “সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।” সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান যে, মামলার ১৭নং আসামি ওয়াহিদা হোসেন রূপা এবং ১৯নং আসামি আক্তারুজ্জামান ভুইয়া অপু বর্তমানে বিদেশে আছেন কিনা – তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে তাদের ‘উসকানিদাতা’ হিসেবে মামলায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
গৌরীপুর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার দেবাশীষ কর্মকার ১৭ & ১৯ নং আসামিদের বিষয়ে বলেন, “মামলার আগে তারা যদি দেশত্যাগ করে থাকেন, তবে বাদীর উচিত ছিল তা যাচাই করা। বিষয়টি ইমিগ্রেশন বিভাগের মাধ্যমে তদন্ত করা হবে।”