
আমেরিকা ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনা—ফোর্ডো, নাতানজ এবং এসফাহানে—বিমান হামলা চালিয়েছে।
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম Fox News এর সূত্রে জানা যায়, যুক্তরাষ্ট্রের B-2 Spirit স্টিলথ বোমারু বিমান এই হামলায় ব্যবহৃত হয়েছে। এই বিমানগুলো মিসৌরির হোয়াইটম্যান এয়ার ফোর্স বেস থেকে ফ্লাই করে, মাঝ আকাশে KC-135 স্ট্র্যাটোট্যাঙ্কার থেকে জ্বালানি নিয়ে ইরানের গভীরে প্রবেশ করে। আমেরিকা B-57 ম্যাসিভ অর্ডন্যান্স পেনিট্রেটর (MOP) ব্যবহার করেছে— এগুলো একটি ৩০,০০০ পাউন্ডের বাঙ্কার-বাস্টার বোমা, যা ফোর্ডোর মতো ১০০-৩০০ ফুট গভীরে অবস্থিত স্থাপনা ধ্বংস করতে সক্ষম। নাতানজ ও এসফাহানেও এই বোমা ব্যবহৃত হয়েছে।
ফোর্ডো হচ্ছে ইরানের সবচেয়ে সুরক্ষিত ইউরেনিয়াম এনরিচমেন্ট সাইট। একাধিক GBU-57 বোমা ফেলা হলেও, এর গভীর ভূগর্ভস্থ কাঠামো সম্পূর্ণ ধ্বংস করা কঠিন। তবে, এর কার্যক্রম অনেক বছর পিছিয়ে গেছে।
নাতানজ ইসরায়েলের পূর্ববর্তী হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল, আর এবার এই স্থাপনায় আমেরিকার বোমা সেন্ট্রিফিউজ হল ও অবকাঠামো আরও ধ্বংস করেছে। কত দূর রেডিয়েশন লিক হয়েছে তা জানার জন্য অপেক্ষা করতে হবে। তবে ,এসফাহান পারমাণবিক গবেষণা ও ইউরেনিয়াম রূপান্তর স্থাপনায় উল্লেখযোগ্য ক্ষতি হয়েছে,
ইরান ক্ষয়ক্ষতি ও হতাহতের সুনির্দিষ্ট তথ্য প্রকাশ করেনি। তবে, এই স্থাপনাগুলো প্রত্যন্ত অঞ্চলে হওয়ায় বেসামরিক হতাহত কম হতে পারে বলে ধারণা করা যাচ্ছে।