০৩:০৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ জুন ২০২৫, ৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নেছারাবাদে সরকারি খাল ভরাট করে বাইপাস সড়ক

পিরোজপুরের নেছারাবাদে সরকারি খাল ভরাট করে বাইপাস সড়ক নির্মাণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করলেও অদৃশ্য কারণে কর্ণপাত করছে না সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষরা।
রোববার (২২ জুন) বিকেলে এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসক বরাবর আবেদন করেছেন মো. আনিসুল ইসলাম তুহিন।
জানা যায়, গত ২০১৯ সালের ৩০ ডিসেম্বর নেছারাবাদ উপজেলা নির্বাহী অফিসার কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়। লিখিত অভিযোগের স্মারকের প্রেক্ষিতে শর্ত ছিল যে, সেতুর পূর্ব পাশের খালটি ভরাট না করা এবং পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করা। সেই লিখিত শর্তকে উপেক্ষা করে একটি রাজনৈতিক স্বার্থন্বেষী মহল আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে সরকারি রেকর্ডিও খাল ভরাট করে বাইপাস সড়ক নির্মাণ করছেন।
ফলে অতি প্রয়োজনীয় খালটি দুই-তৃতীয়াংশ ভরাট হয়ে গেছে। এখন বাইপাস সড়ক নির্মাণ করার কারণে খালটির পুরোপুরি অংশই ভরে ফেলা হচ্ছে। যার ফলে নিত্যপ্রয়োজনীয় ব্যাবহত পানির অভাব দেখা দিচ্ছে। এমনকি বৃষ্টি ও বন্যার পানি অপসারণের পথ বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। এমতাবস্থায় সড়কও যেমন জরুরি এবং খালের পানিও ব্যবহার করাটা জরুরি। তাই খালটি যেন ভরাট না করা হয় এবং কালভার্ট নির্মাণ করে বাইপাস সড়ক সংযোগ দেওয়া হয়, সে ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট কর্তৃপক্ষকে সুদৃষ্টি দেওয়ার জন্য জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
স্বরূপকাঠি ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড ইউপি মেম্বার মো. রুবেল হোসেন জানান, খালটি রেকর্ডিও তাই আমি জনস্বার্থে ভরাট করতে নিষেধ করেছিলাম। বিকল্প পথ হিসেবে কালভার্ট নির্মাণ করে বাইপাস সড়ক বের করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বলেছিলাম। কিন্তু রাজনৈতিক কিছু স্বার্থান্বেষী মহলের কারণে সেটা সম্ভব হয়নি।
স্বরূপকাঠি সদর ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা বরুণ কুমার কর বলেন, অফিসিয়াল ডকুমেন্টস অনুযায়ী ওখানে সরকারি রেকর্ডিও খাল আছে। পার্শ্ববর্তী ব্রিজ নির্মাণের ফলে খাল অনেকটা ভরে গেছে। যেহেতু ওটা রেকর্ডিও খাল সেহেতু পরিবেশের কথা চিন্তা করে এটি পুনরুদ্ধার করা জরুরি।
নেছারাবাদ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জাহিদুল ইসলাম বলেন, সরকারি খাল ভরাটের কোনো সুযোগ নেই। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।
পিরোজপুর জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. মোহাম্মদ আশরাফুল আলম খান বলেন, এ বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে জানিয়ে দিয়েছি। তিনি বিষয়টি দেখবেন।
ট্যাগঃ
প্রতিনিধির তথ্য

জনপ্রিয় পোস্ট

পঙ্কিল রাজনীতি বিশ্ববিদ্যালয় চত্ত্বরে আনবেন না: শিক্ষা উপদেষ্টা

নেছারাবাদে সরকারি খাল ভরাট করে বাইপাস সড়ক

পোস্ট হয়েছেঃ ১১:৪৫:৫৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫
পিরোজপুরের নেছারাবাদে সরকারি খাল ভরাট করে বাইপাস সড়ক নির্মাণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করলেও অদৃশ্য কারণে কর্ণপাত করছে না সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষরা।
রোববার (২২ জুন) বিকেলে এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসক বরাবর আবেদন করেছেন মো. আনিসুল ইসলাম তুহিন।
জানা যায়, গত ২০১৯ সালের ৩০ ডিসেম্বর নেছারাবাদ উপজেলা নির্বাহী অফিসার কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়। লিখিত অভিযোগের স্মারকের প্রেক্ষিতে শর্ত ছিল যে, সেতুর পূর্ব পাশের খালটি ভরাট না করা এবং পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করা। সেই লিখিত শর্তকে উপেক্ষা করে একটি রাজনৈতিক স্বার্থন্বেষী মহল আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে সরকারি রেকর্ডিও খাল ভরাট করে বাইপাস সড়ক নির্মাণ করছেন।
ফলে অতি প্রয়োজনীয় খালটি দুই-তৃতীয়াংশ ভরাট হয়ে গেছে। এখন বাইপাস সড়ক নির্মাণ করার কারণে খালটির পুরোপুরি অংশই ভরে ফেলা হচ্ছে। যার ফলে নিত্যপ্রয়োজনীয় ব্যাবহত পানির অভাব দেখা দিচ্ছে। এমনকি বৃষ্টি ও বন্যার পানি অপসারণের পথ বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। এমতাবস্থায় সড়কও যেমন জরুরি এবং খালের পানিও ব্যবহার করাটা জরুরি। তাই খালটি যেন ভরাট না করা হয় এবং কালভার্ট নির্মাণ করে বাইপাস সড়ক সংযোগ দেওয়া হয়, সে ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট কর্তৃপক্ষকে সুদৃষ্টি দেওয়ার জন্য জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
স্বরূপকাঠি ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড ইউপি মেম্বার মো. রুবেল হোসেন জানান, খালটি রেকর্ডিও তাই আমি জনস্বার্থে ভরাট করতে নিষেধ করেছিলাম। বিকল্প পথ হিসেবে কালভার্ট নির্মাণ করে বাইপাস সড়ক বের করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বলেছিলাম। কিন্তু রাজনৈতিক কিছু স্বার্থান্বেষী মহলের কারণে সেটা সম্ভব হয়নি।
স্বরূপকাঠি সদর ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা বরুণ কুমার কর বলেন, অফিসিয়াল ডকুমেন্টস অনুযায়ী ওখানে সরকারি রেকর্ডিও খাল আছে। পার্শ্ববর্তী ব্রিজ নির্মাণের ফলে খাল অনেকটা ভরে গেছে। যেহেতু ওটা রেকর্ডিও খাল সেহেতু পরিবেশের কথা চিন্তা করে এটি পুনরুদ্ধার করা জরুরি।
নেছারাবাদ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জাহিদুল ইসলাম বলেন, সরকারি খাল ভরাটের কোনো সুযোগ নেই। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।
পিরোজপুর জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. মোহাম্মদ আশরাফুল আলম খান বলেন, এ বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে জানিয়ে দিয়েছি। তিনি বিষয়টি দেখবেন।