
মাদারীপুর জেলার রাজৈর উপজেলার ইশিবপুর ইউনিয়নের নগর গোয়ালদি গ্রামের হালিম খানের মৃত্যু রহস্যময়। এলাকাবাসীর প্রশ্ন এটা হত্যা নাকি আত্মহত্যা।
আব্দুল হালিম খান (৪৫) পিতা, কলম খান সাং নগর গোয়ালদি পো: ইশিবপুর থানা – রাজৈর, জেলা-মাদারীপুর। সে একজন ইতালী প্রবাসী। তার প্রথম স্ত্রীর দুইটা সন্তান আছে। একটা ছেলে ও একটা মেয়ে। মেয়ে হিমু আক্তার (১৩),ছেলে হাসিবুল খান (১০)।
৫/৬ বছর আগে প্রথম স্ত্রী স্বামী ও দুই সন্তান রেখে পরকিয়া করে অণ্য এক ছেলের হাত ধরে চলে গেছে।
হালিম খান এর পরে সন্তানের মুখের দিকে তাকিয়ে সন্তানদের সুখ শান্তির কথা চিন্তা করে দ্বিতীয় বিয়ে করার সদ্ধান্ত নেন।
তাই তিনি পাশের রাজন্দী দারাদিয়া গ্রেমের সামাদ চোকদারের একাদিক স্বামী পরিত্যাক্তা মেয়ে রেশমা আক্তার এর সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। এর পরেই তার সংসারে নেমে আসে অশান্তি।
রেশমা আক্তার হালিম খানের আগের দুই সন্তানকে আদরযত্ন তো দুরের কথা ঠিক মত খেতেও দিত না। একপর্যায় রেশমা আক্তার হালিম খানের দুই সন্তানকে এতিম খানায় রেখে আসেন। অন্য দিকে হালিম খান তার ইতালীতে রোজগার করা সমস্ত টাকা রেশমা আক্তারের নামেই দেশে পাঠাতেন। এভাবেই হালিম খান এ যাবৎ রেশমা আক্তারের নামে ১৮ লক্ষ টাকা পাঠিয়েছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন এলাকাবাসী সাংবাদিককে জানান মুলত সামাদ চোকদার মেয়ে দিয়ে এধরনের ব্যাবসাই করতেন। কারন এর আগে এই মেয়ের আরো তিনটি বিয়ে হয়েছিল সেখান থেকে মোটা অংকের টাকা নিয়ে মেয়েকে ছাড়িয়ে আনেন।
হালিম খানের সাথে রেশমার চতুর্থ বিয়ে।
গত দুই মাস আগে হালিম খান ইতালী থেকে বাড়িতে আসে। বাড়িতে আসার পরে প্রতিনিয়তই টাকা পয়সা নিয়ে স্ত্রীর সাথে হালিম খানের টুকি টাকি ঝগড়া হতেই থাকে। হালিম খান অনেক শখ করে R-1 মটর বাইক কিনেছিলেন। রেশমা আক্তার হালিমের টাকা খরচ করেই বাইকের কাগজ পত্র রেশমার ছোটভাই সবুজের নামে করে দিয়েছে। আরো যানা জানাযায় ইদানিং রেশমা আক্তার নাকি পরকিয়ায় জড়িয়ে গেছে।
হালিম খানের পরিবারের পক্ষ বলা হচ্ছে এ ধরনের ছোট খাটো ব্যাপার নিয়ে হালিম ও রেশমার মধ্যে সম্পর্কের টানা পোটন চলছিল। হালিমের আত্মিয়স্বজন দৈনিক আজকের খবর প্রতিনিধি কে বলেন বেশ কয়েক যাবৎ হালিমের মুখে একটি কথাই শোনা যেত ওরা আমাকে বাচতে দেবে না।ঠিক তাই ঘটলো শশুর শাশুড়ি স্ত্রী ও শ্যালক মিলে আমাদের ছেলেকে জানে মেরে ফেললো।
২৪ জুন ভোর ৪ টা ৩০ মিনিটে হালিমের শাশুড়ি ও স্ত্রী হালিমকে রাজৈর স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন এবং ডিউটি রত ডাক্তারকে বলেন উনি নেশাগ্রস্থ। ডাক্তার হালিমকে পরিক্ষা নিরিক্ষা করে মৃত্যু বলে ঘোষনা করেন। একথা শেনে স্ত্রী এবং শাশুড়ি হালিমের হাতে থাকা আংটি ও মোবাইল নিয়ে পালিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে রাজৈর থানায় যোগাযোগ করা হলে, রাজৈর থানা ভারপ্রাপ্ত অফিসার ইনচার্জ জনাব মাসুদ খান বলেন এখনও মামলা হয়নি তবে মামলা প্রক্রিয়াধীন অবস্থায় আছে।