০৯:৫৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ জুন ২০২৫, ১৫ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

তাস খেলা থেকে খুন, ইয়ার আলীর ছুরিকাঘাতে প্রাণ গেল ব্যবসায়ীর

নড়াইল সদর উপজেলার নতুন কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে তাস খেলাকে কেন্দ্র করে ঘটে যাওয়া চাঞ্চল্যকর হত্যাকাণ্ডের মূল হোতা মোঃ ইয়ার আলী বিশ্বাস অবশেষে পুলিশের জালে ধরা পড়েছে। জেলা গোয়েন্দা শাখা ও সদর থানার যৌথ অভিযানে ২৮ জুন তাকে সহযোগী কমরুল বিশ্বাসসহ গ্রেফতার করা হয়।
ঘটনার সূত্রপাত গত ১২ এপ্রিল সকালে। প্রতিদিনের মতোই চলছিল তাস খেলা। হঠাৎ করে খেলাকে ঘিরে তর্কাতর্কিতে জড়ান স্থানীয় ব্যবসায়ী আশরাফুল ইসলাম মুসা (৪৩) ও অভিযুক্তরা। একপর্যায়ে উত্তেজিত ইয়ার আলী বলেন, “সালারে ধর, ওকে খুন করে আমাদের সাথে তর্ক করার মজা দেখিয়ে দেই।” তার এই নির্দেশেই শুরু হয় নির্মম হামলা।
প্রত্যক্ষদর্শীদের তথ্যমতে, মুসাকে আটকে ধরে তার বুকে ধারালো ছুরি দিয়ে আঘাত করেন ইয়ার আলী, যা সরাসরি বুকের ভিতর ঢুকে যায়। এরপর লোহার রড ও ঘুষি-থাপ্পড়ের মাধ্যমে আরও আঘাত করা হয়। গুরুতর অবস্থায় স্থানীয়রা মুসাকে উদ্ধার করে নড়াইল সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন সকাল ৮টা ৪৫ মিনিটে।
নিহতের স্ত্রী বাদী হয়ে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করলে পুলিশ সুপার কাজী এহসানুল কবীরের তত্ত্বাবধানে দ্রুত তদন্ত ও অভিযান শুরু হয়। অভিযানে নেতৃত্ব দেওয়া গোয়েন্দা পুলিশ ও সদর থানা অবশেষে মামলার ১ নম্বর আসামি ইয়ার আলী এবং তার সহযোগীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
গ্রেফতারের পর আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন ইয়ার আলী। বর্তমানে এলাকা জুড়ে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছে সাধারণ মানুষ। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি রয়েছে পুলিশের নিয়ন্ত্রণে, এবং পলাতক অন্যান্য আসামিদের ধরতে অভিযান চলছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

ট্যাগঃ
প্রতিনিধির তথ্য

জনপ্রিয় পোস্ট

সুন্দরগঞ্জে বিভিন্ন প্রজাতির পোনা মাছ অবমুক্ত

তাস খেলা থেকে খুন, ইয়ার আলীর ছুরিকাঘাতে প্রাণ গেল ব্যবসায়ীর

পোস্ট হয়েছেঃ ০৬:২০:৩২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৯ জুন ২০২৫

নড়াইল সদর উপজেলার নতুন কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে তাস খেলাকে কেন্দ্র করে ঘটে যাওয়া চাঞ্চল্যকর হত্যাকাণ্ডের মূল হোতা মোঃ ইয়ার আলী বিশ্বাস অবশেষে পুলিশের জালে ধরা পড়েছে। জেলা গোয়েন্দা শাখা ও সদর থানার যৌথ অভিযানে ২৮ জুন তাকে সহযোগী কমরুল বিশ্বাসসহ গ্রেফতার করা হয়।
ঘটনার সূত্রপাত গত ১২ এপ্রিল সকালে। প্রতিদিনের মতোই চলছিল তাস খেলা। হঠাৎ করে খেলাকে ঘিরে তর্কাতর্কিতে জড়ান স্থানীয় ব্যবসায়ী আশরাফুল ইসলাম মুসা (৪৩) ও অভিযুক্তরা। একপর্যায়ে উত্তেজিত ইয়ার আলী বলেন, “সালারে ধর, ওকে খুন করে আমাদের সাথে তর্ক করার মজা দেখিয়ে দেই।” তার এই নির্দেশেই শুরু হয় নির্মম হামলা।
প্রত্যক্ষদর্শীদের তথ্যমতে, মুসাকে আটকে ধরে তার বুকে ধারালো ছুরি দিয়ে আঘাত করেন ইয়ার আলী, যা সরাসরি বুকের ভিতর ঢুকে যায়। এরপর লোহার রড ও ঘুষি-থাপ্পড়ের মাধ্যমে আরও আঘাত করা হয়। গুরুতর অবস্থায় স্থানীয়রা মুসাকে উদ্ধার করে নড়াইল সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন সকাল ৮টা ৪৫ মিনিটে।
নিহতের স্ত্রী বাদী হয়ে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করলে পুলিশ সুপার কাজী এহসানুল কবীরের তত্ত্বাবধানে দ্রুত তদন্ত ও অভিযান শুরু হয়। অভিযানে নেতৃত্ব দেওয়া গোয়েন্দা পুলিশ ও সদর থানা অবশেষে মামলার ১ নম্বর আসামি ইয়ার আলী এবং তার সহযোগীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
গ্রেফতারের পর আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন ইয়ার আলী। বর্তমানে এলাকা জুড়ে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছে সাধারণ মানুষ। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি রয়েছে পুলিশের নিয়ন্ত্রণে, এবং পলাতক অন্যান্য আসামিদের ধরতে অভিযান চলছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।