
টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার ধলাপাড়া ইউনিয়নের মহিষেরচালা থেকে চৌরার বাড়ি পর্যন্ত প্রায় আধা কিলোমিটার পায়ে হাঁটার কর্দমা যুক্ত রাস্তাটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে উঠেছিল। গ্রামের মানুষের যেন দুর্ভোগের শেষ ছিল না। রাস্তা করে দেওয়ার কথা বললেও কথা রাখেননি কোন জনপ্রতিনিধি।
অবশেষে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি এবং এলাকাবাসীর সম্মিলিত চেষ্টায় চলাচলের উপযোগী করা হয় আধা কিলোমিটার এই রাস্তাটি।
পরবর্তীতে ভারী বৃষ্টির কারণে রাস্তার বিভিন্ন জায়গায় আংশিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় রাস্তাটি।
পরে বিষয়টি স্থানীয়দের নজরে আসার পর ৭ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য শহিদুল ইসলাম “টিআর প্রকল্প”-এর মাধ্যমে সরকারি উদ্যোগে নতুন করে মাটি ফেলে পুরো রাস্তা সংস্কারের ব্যবস্থা করেন।
স্থানীয়রা জানান,আমরা এই রাস্তায় ৭ মাস আগে এলাকার মানুষের সহযোগিতায় প্রথমে মাটি ফেলার পর রাস্তাটি চাপা হয়েছিল এবং ভারী বৃষ্টিতে ক্ষতির মুখে পরে রাস্তাটি, পরবর্তীতে ৬/৭ মাস পর শহিদুল মেম্বার রাস্তাটি পুনরায় সংস্কার করেন, এখন রাস্তাটি প্রশস্ত প্রশস্ত ও শক্তিশালী হয়েছে।
জনপ্রতিনিধি শহিদুল ইসলাম বলেন,
মহিষেরচালা থেকে চৌরার বাড়ি পর্যন্ত রাস্তাটি দীর্ঘদিন ধরে মাটি ফেলা হয়না এই বছর এলাকাবাসী উদ্যোগে ৫/৬ মাস আগে তারা অর্থ যোগায় এবং আমার সহযোগিতায় এখানে কিছু মাটি ফেলানো হয়, রাস্তাটি তখন প্রশস্ত ছিলোনা পরবর্তীতে আমি উপজেলা থেকে ১লক্ষ ৩০ হাজার টাকার টিআর বরাদ্দ পাই, ঈদের আগের সপ্তাহে অর্ধেক টাকা উত্তোলন করে ঈদের পরে রাস্তাটি পুনরায় সংস্কার করা হয়েছে।
ধলাপাড়া ইউপি প্রশাসক বাহাউদ্দিন সারোয়ার রিজভী আজকের খবরকে জানান, আমি ইতিমধ্যে রাস্তাটি পর্যবেক্ষণ করে দেখা হয়েছে, মহিষের চালা হতে চৌরার বাড়ি পর্যন্ত আধা কিলোমিটার এই রাস্তাটি সম্পূর্ণভাবে সংস্কার করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন এটি একটি ইতিবাচক উদাহরণ যেখানে জনগণের প্রয়াস ও জনপ্রতিনিধির দায়িত্ববোধ মিলেই বাস্তব উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে। এতে কৃষক, শিক্ষার্থী এবং কর্মজীবী মানুষদের চলাচলে ব্যাপক স্বস্তি এনে দিয়েছে