১০:২৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ জুন ২০২৫, ১৫ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মুচলেকার আড়ালে জালিয়াতি

  • Sh Jhon
  • পোস্ট হয়েছেঃ ০৭:৩৭:১৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৯ জুন ২০২৫
  • 10

সম্প্রতি এমন একটি ঘটনার শিকার হয়েছে তাহিরপুর উপজেলা যুবদল নেতা, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী তাহিয়া এন্টারপ্রাইজ ক্রাশার মিল মালিক নাসির মিয়া। শনিবার বিকাল তিনটার সময় এক সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি এসব কথা জানান।এ সময় তিনি বলেন আমি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির একজন একনিষ্ঠ কর্মী। তাহিরপুর উপজেলা যুবদল নেতা নাসির মিয়া জানান, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ আমলে জুলুম নির্যাতনের মুখে, আমি দেশমাতা বেগম খালেদা জিয়া ও দেশনায়ক জনাব, তারেক রহমানের নির্দেশে। আমি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির প্রত্যেকটা প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করেছি। ৫ই আগস্ট ছাত্রজনতার আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকার পতনের পরে-ও । কতিপয় নামধারী কিছু বিএনপি ও ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের ধূসর  বিভিন্নভাবে আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। আমি জাদুকাটা ইজারায় অংশগ্রহণ করলে ১ ও ২ সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে ইজারা পাই। ইজারা বঞ্চিত আওয়ামী লীগ ধূসররা। গত ২৫ জুন রোজ বুধবার ইজারা সংক্রান্ত বিষয় জানার জন্য ঢাকা হাইকোর্টে শরণাপন্ন হই। আমাকে তারা প্রাণ নাসের হুমকি দেয়, জাদুকাটা নদীর সাবেক ইজারাদার ফ্যাসিষ্ট আওয়ামী লীগের ধূসর মো: রতন মিয়াকে  সহযোগিতা করে ফেরদৌস মিয়া ও খুরশেদ মিয়া। আমাকে ফ্যাসিষ্ট আওয়ামী লীগ নেতা বানিয়ে রিক্সা থেকে টেনে হিচড়ে নামিয়ে মারধর করে। পরে আমাকে মিন্টু রোড থেকে  ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে যায়। এবং জাদু কাটা  নদীর ইজারা নেওয়ায় মারধর শুরু করে, এবং আমাকে জিজ্ঞেস করে কোন গ্রুপ করি।  আমি বললাম আমি কামরুল গ্রুপ কামরুল  করি  খোঁজ নিয়ে দেখেন ।  কামরুল গ্রুপ বলার কারণে অসহনীয় নির্যাতন চালায়। প্রসঙ্গত ফেরদৌস ও রতন তাদের লোক দিয়ে ইজারা নিতে চেয়েছিল কিন্তু আমি সর্বোচ্চ দরদাতা হওয়ায় বঞ্চিত হয় তারা। এরপর থেকে আমার ক্ষতি সাধনের চেষ্টায় আছে তারা। তাদেরকে সর্বাধিক সহযোগিতা করে যাচ্ছে   বিএনপির এক নেতা, কেন্দ্রীয় যুবদলের সাবেক সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান।আমাকে নির্যাতন করে থামিয়ে দিতে ডিবিকে দিয়ে নির্যাতন করার পরিকল্পনা করে। নির্যাতনের সময় ডিবি কার্যালয়ে ছুটে আসে মাহবুবর রহমান। ডিবি কার্যালয় থেকে ছাড়িয়ে নিতে ১০লক্ষ টাকা চায় মাহবুবুর রহমান। ক্ষতিপয় অসৎ সদস্যকে প্রভাবিত করে আমার  কাছ থেকে ৫লক্ষ ৭৪০০০ টাকা হাতিয়ে নেয় মাহবুবর রহমান। মারধর করে তাদের সাজানো মুচলেখায় জোরপূর্বক স্বাক্ষর রেখে আমাকে ছেড়ে দেয়। তাদের কবোল থেকে বেরিয়ে সর্বপ্রথম আমি আমার চিকিৎসা করি, এবং আমি আমার এলাকার দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে যোগাযোগ করি। আমার উপর মিথ্যা অভিযোগ এনে অন্যায় ভাবে নির্যাতন করে। আমি আমার দলের সকল নেতাকর্মী সমর্থকদের নিয়ে, ফ্যাসিষ্ট হসিনার ধূসরদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ও মিথ্যা মুচলেখা ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।

ট্যাগঃ
প্রতিনিধির তথ্য

জনপ্রিয় পোস্ট

কালীগঞ্জে পিতাকে কুপিয়ে আহত করায় পুত্র রুবেলকে আটক করেছে র‌্যাবে-১

মুচলেকার আড়ালে জালিয়াতি

পোস্ট হয়েছেঃ ০৭:৩৭:১৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৯ জুন ২০২৫

সম্প্রতি এমন একটি ঘটনার শিকার হয়েছে তাহিরপুর উপজেলা যুবদল নেতা, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী তাহিয়া এন্টারপ্রাইজ ক্রাশার মিল মালিক নাসির মিয়া। শনিবার বিকাল তিনটার সময় এক সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি এসব কথা জানান।এ সময় তিনি বলেন আমি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির একজন একনিষ্ঠ কর্মী। তাহিরপুর উপজেলা যুবদল নেতা নাসির মিয়া জানান, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ আমলে জুলুম নির্যাতনের মুখে, আমি দেশমাতা বেগম খালেদা জিয়া ও দেশনায়ক জনাব, তারেক রহমানের নির্দেশে। আমি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির প্রত্যেকটা প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করেছি। ৫ই আগস্ট ছাত্রজনতার আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকার পতনের পরে-ও । কতিপয় নামধারী কিছু বিএনপি ও ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের ধূসর  বিভিন্নভাবে আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। আমি জাদুকাটা ইজারায় অংশগ্রহণ করলে ১ ও ২ সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে ইজারা পাই। ইজারা বঞ্চিত আওয়ামী লীগ ধূসররা। গত ২৫ জুন রোজ বুধবার ইজারা সংক্রান্ত বিষয় জানার জন্য ঢাকা হাইকোর্টে শরণাপন্ন হই। আমাকে তারা প্রাণ নাসের হুমকি দেয়, জাদুকাটা নদীর সাবেক ইজারাদার ফ্যাসিষ্ট আওয়ামী লীগের ধূসর মো: রতন মিয়াকে  সহযোগিতা করে ফেরদৌস মিয়া ও খুরশেদ মিয়া। আমাকে ফ্যাসিষ্ট আওয়ামী লীগ নেতা বানিয়ে রিক্সা থেকে টেনে হিচড়ে নামিয়ে মারধর করে। পরে আমাকে মিন্টু রোড থেকে  ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে যায়। এবং জাদু কাটা  নদীর ইজারা নেওয়ায় মারধর শুরু করে, এবং আমাকে জিজ্ঞেস করে কোন গ্রুপ করি।  আমি বললাম আমি কামরুল গ্রুপ কামরুল  করি  খোঁজ নিয়ে দেখেন ।  কামরুল গ্রুপ বলার কারণে অসহনীয় নির্যাতন চালায়। প্রসঙ্গত ফেরদৌস ও রতন তাদের লোক দিয়ে ইজারা নিতে চেয়েছিল কিন্তু আমি সর্বোচ্চ দরদাতা হওয়ায় বঞ্চিত হয় তারা। এরপর থেকে আমার ক্ষতি সাধনের চেষ্টায় আছে তারা। তাদেরকে সর্বাধিক সহযোগিতা করে যাচ্ছে   বিএনপির এক নেতা, কেন্দ্রীয় যুবদলের সাবেক সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান।আমাকে নির্যাতন করে থামিয়ে দিতে ডিবিকে দিয়ে নির্যাতন করার পরিকল্পনা করে। নির্যাতনের সময় ডিবি কার্যালয়ে ছুটে আসে মাহবুবর রহমান। ডিবি কার্যালয় থেকে ছাড়িয়ে নিতে ১০লক্ষ টাকা চায় মাহবুবুর রহমান। ক্ষতিপয় অসৎ সদস্যকে প্রভাবিত করে আমার  কাছ থেকে ৫লক্ষ ৭৪০০০ টাকা হাতিয়ে নেয় মাহবুবর রহমান। মারধর করে তাদের সাজানো মুচলেখায় জোরপূর্বক স্বাক্ষর রেখে আমাকে ছেড়ে দেয়। তাদের কবোল থেকে বেরিয়ে সর্বপ্রথম আমি আমার চিকিৎসা করি, এবং আমি আমার এলাকার দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে যোগাযোগ করি। আমার উপর মিথ্যা অভিযোগ এনে অন্যায় ভাবে নির্যাতন করে। আমি আমার দলের সকল নেতাকর্মী সমর্থকদের নিয়ে, ফ্যাসিষ্ট হসিনার ধূসরদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ও মিথ্যা মুচলেখা ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।