
দীর্ঘ দিনে ও পাকাকরণ হয়নি সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার রতনকান্দি ইউনিয়নের চিলগাছা – বাহুকা
সড়ক। সামান্য বৃষ্টি হলেই বড় বড় গর্তে জমে যায় পানি। কাদায় যানবাহনতো দূরের কথা হেঁটেও চলাচল করতে পারে না এলাকাবাসী।
সরে জমিনে গিয়ে দেখা যায়, সদর উপজেলার চিলগাছা বটতলা হতে রতনকান্দি ইউনিয়ন পরিষদে পাচটি গ্রামের মানুষের চলাচলের এক মাত্র রাস্তা। এ রাস্তায় ৭.৮ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও ইউনিয়ন পরিষদে চলা চল করে প্রতিদিন ৪.৫ হাজা পথচারী ও কমল মতী শিক্ষার্থী সহ চলাচল করে অটোরিকশা, রিকশা, বাইসাইকেল, মোটরসাইকেলসহ বিভিন্ন যানবাহন। কিন্তু দীর্ঘদিনেও পাকাকরণ হয়নি দুই টা স্থানে। অটোরিকশাচালক বলেন, ‘নিজেদের বাড়িঘর থাকা সত্ত্বেও
সামান্য বৃষ্টি হলেই রাস্তায় অনেক কাদা হয়। বড় বড় গর্ত থাকায় অটোরিকশা বাড়িতে নিতে পারি না। শুধু আমি না, এলাকার সব অটোরিকশাচালকের একই অবস্থা। স্থানীয় সরকার থাকা সত্ত্বেও আমাদের এ অবস্থা। আমাদের কী অপরাধ? রাসেদুল হাসান মামুন বলেন,
চিলগাছা বটতলা থেকে রতনকান্দি ইউনিয়ন পরিষদ ও কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের যাবার একমাত্র রাস্তা এটা কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো রাস্তা টি দুই সাইটে পাকা থাকলেও মাঝ খানে কাঁচা থাকায় পাকা রাস্তা কাজে আসছে না ভোগান্তিতে পরতে হয় প্রতিনিয়ত। তাই ইউনিয়ন পরিষদ বা এলজিডি যদি একটু সু নজর দেয় তাহলে আর আমাদের ভোগান্তি পোহাতে হয় না।
এসময় এক পথচারী বলেন, মাঝে মাঝেই মামুন ভাই নিজ উদ্যোগে রাবিশ ফেলে দেয়। সে আর কত দিন এভাবে দিবে? আমাদের একটাই আবেদন এই অল্প রাস্তার জন্য পুরো রাস্তা টা অকেজো যেন না হয়।
চর চিলগাছা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকিকা মোছাঃ উম্মেহাবিবা বলেন,
ছোট শিশুরা লেখাপড়া করতে গিয়ে অনেক সময় পা পিছলে কাদায় পড়ে গিয়ে বইখাতা, কাপড়চোপড় নষ্ট করে ফেলে। সময়মতো বিদ্যালয়ে যেতে পারে না। বৃষ্টি হলে বিদ্যালয়ে যাওয়া বন্ধ থাকে। শুধু শিশু না এই রাস্তায় আমাদের ও চলাচল করতে খুবই কষ্ট হয়। আমাদের জোর দাবি এর উর্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে রাস্তাটি পাকাকরণ করার।
বিষয়টি নিয়ে কথা হয় রতনকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা ডা.মো. মেরাজ হোসেন মিসবাহ এর সাথে তিনি বলেন, আমি তো রাস্তাটি চিনি না তবে আপনার মাধ্যমে জানতে পারলাম আমি দেখে যতটুকু সম্ভব জনগণের ভোগান্তির নির শোষনের চেষ্টা করবো।