০৪:১৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩০ জুন ২০২৫, ১৫ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

চকরিয়ায় স্বামীর বন্ধুকে বাসায় দাওয়াত দিয়ে ডেকে নিয়ে হত্যা চেষ্টার ঘটনাকে ভিন্নভাবে উপস্থাপন,

  • কফিল উদ্দিন
  • পোস্ট হয়েছেঃ ১১:১৭:৩৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৯ জুন ২০২৫
  • 132
চকরিয়া পৌরসভার ভরামুহুরী উকিল পাড়ায় বাসায় একটি ভাড়া বাসায় আমেনা বেগম ও জন্নাতুল ফেরদৌস নামে দুই নারী দাওয়াতের কথা বলে শাহারিয়া রুস্তম মানিক নামে এক যুবককে ডেকে নিয়ে হত্যার চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। ওই সময় উভয় পক্ষের মধ্যে দস্তাদস্তির ঘটনাও ঘটে। ভাগ্যক্রমে যুবক মানিক প্রাণে বেঁচে যায়।
রবিবার ৮ জুন রাত ৮টার দিকে চকরিয়া পৌরসভার ভরামুহুরী উকিল পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।
যুবক মানিক পৌরসভার মাস্টার পাড়া ৫ নং ওয়ার্ড কাহারিয়াঘোনা এলাকার নুর মোহাম্মদ বাবুর ছেলে।
এ ঘটনা নিয়ে চকরিয়া সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিট্রেট আদালতে জন্নাতুল ফেরদৌস বাদী হয়ে তার শরীরে নানা জখমের কথা উল্লেখ করে যুবক শাহারিয়া রুস্তম মানিককে আসামী করে একটি সিআর মামলা দায়ের করেন। আদালত বিষয়টি ডিবি পুলিশকে তদন্তের নির্দেশ দেন।
 ভুক্তভোগী যুবক শাহারিয়া রুস্তম মানিক হত্যা চেষ্টা ও নানা অভিযোগ এনে চকরিয়া থানায় অভিযুক্ত জন্নাতুল ফেরদৌস ও আমেনা বেগমকে বিবাদী করে অভিযোগ জমা দেয়। অভিযোগটি তদন্ত পূর্বক মামলা হিসাবে রুজু করেন।
পরবর্তীতে চকরিয়া থানায় ও কোর্টে পৃথক মামলা হওয়ার পর উভয় পক্ষের সস্মতিতে মারামারির মামলা দুটি’র আইনজীবীর মাধ্যামে আপোষ মীমাংসা  করেন।
বিষয়টি উভয়পক্ষ চকরিয়া থানার ওসিকে অবগত করেন। কিন্তু তৃতীয় পক্ষ উক্ত ঘটনাকে ধর্ষণ ঘটনা উল্লেখ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপপ্রচার চালাচ্ছে বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী যুবক শাহারিয়া রুস্তম মানিক।
প্রাণে বেঁচে যাওয়া যুবক শাহারিয়ার রুস্তম মানিক জানায়-পৌরসভা ৬ নং ওয়ার্ড এডভোকেট ওমর আলীর বাড়িতে ভাড়া বাসায় থাকতেন বন্ধু সাদ্দামের স্ত্রী আমেনা বেগম ও তার চাচাতো ভাই পাভেলের ডিভোর্সী স্ত্রী জন্নাতুল ফেরদৌস। কোরবানের ঈদের পরদিন বন্ধু সাদ্দামের স্ত্রীর অনুরোধে দাওয়াতে তার বাসায় যায় তিনি।
কিন্তু পরিকল্পিতভাবে পূর্ব শত্রুতার জেরে হত্যার চেষ্টা চালায় দুই নারী।
তিনি আরো জানান- তার চাচাতো ভাই জুনাইদুল ইসলাম পাভেলের সাথে ৫/৬ বছর পূর্বে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয় ফেনী জেলার ছাগলনাইয়া থানার শুভপুর ইউনিয়নের রুহুল আমিনের কন্যা জন্নাতুল ফেরদৌসের সাথে। পরবর্তীতে পরকীয়ার জেরে পাভেলের সাথে বিবাহ বিচ্ছেদ হয়।বিচ্ছেদের জেরে তাকে জন্নাতুল ফেরদৌস হত্যার চেষ্টা চালায় বলে জানায়।
অন্যদিকে, দুবাই প্রবাসী বন্ধু সাদ্দামের সংসারের যাবতীয় খরচ এবং সমস্ত কিছু বিশ্বাস করে মানিককে দিয়ে করার জেরে নারী আমেনা বেগম তাকে হত্যার চেষ্টা চালায়।
উক্ত ঘটনা নিয়ে কাউকে বিভ্রান্ত না হওয়ারও অনুরোধ জানান তিনি।
ট্যাগঃ
প্রতিনিধির তথ্য

জনপ্রিয় পোস্ট

বাউফলে খেলাফত,মজলিসের২০২৫-এ পটুয়াখালী-২ (বাউফল) আসনে প্রার্থী ঘোষণা

চকরিয়ায় স্বামীর বন্ধুকে বাসায় দাওয়াত দিয়ে ডেকে নিয়ে হত্যা চেষ্টার ঘটনাকে ভিন্নভাবে উপস্থাপন,

পোস্ট হয়েছেঃ ১১:১৭:৩৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৯ জুন ২০২৫
চকরিয়া পৌরসভার ভরামুহুরী উকিল পাড়ায় বাসায় একটি ভাড়া বাসায় আমেনা বেগম ও জন্নাতুল ফেরদৌস নামে দুই নারী দাওয়াতের কথা বলে শাহারিয়া রুস্তম মানিক নামে এক যুবককে ডেকে নিয়ে হত্যার চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। ওই সময় উভয় পক্ষের মধ্যে দস্তাদস্তির ঘটনাও ঘটে। ভাগ্যক্রমে যুবক মানিক প্রাণে বেঁচে যায়।
রবিবার ৮ জুন রাত ৮টার দিকে চকরিয়া পৌরসভার ভরামুহুরী উকিল পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।
যুবক মানিক পৌরসভার মাস্টার পাড়া ৫ নং ওয়ার্ড কাহারিয়াঘোনা এলাকার নুর মোহাম্মদ বাবুর ছেলে।
এ ঘটনা নিয়ে চকরিয়া সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিট্রেট আদালতে জন্নাতুল ফেরদৌস বাদী হয়ে তার শরীরে নানা জখমের কথা উল্লেখ করে যুবক শাহারিয়া রুস্তম মানিককে আসামী করে একটি সিআর মামলা দায়ের করেন। আদালত বিষয়টি ডিবি পুলিশকে তদন্তের নির্দেশ দেন।
 ভুক্তভোগী যুবক শাহারিয়া রুস্তম মানিক হত্যা চেষ্টা ও নানা অভিযোগ এনে চকরিয়া থানায় অভিযুক্ত জন্নাতুল ফেরদৌস ও আমেনা বেগমকে বিবাদী করে অভিযোগ জমা দেয়। অভিযোগটি তদন্ত পূর্বক মামলা হিসাবে রুজু করেন।
পরবর্তীতে চকরিয়া থানায় ও কোর্টে পৃথক মামলা হওয়ার পর উভয় পক্ষের সস্মতিতে মারামারির মামলা দুটি’র আইনজীবীর মাধ্যামে আপোষ মীমাংসা  করেন।
বিষয়টি উভয়পক্ষ চকরিয়া থানার ওসিকে অবগত করেন। কিন্তু তৃতীয় পক্ষ উক্ত ঘটনাকে ধর্ষণ ঘটনা উল্লেখ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপপ্রচার চালাচ্ছে বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী যুবক শাহারিয়া রুস্তম মানিক।
প্রাণে বেঁচে যাওয়া যুবক শাহারিয়ার রুস্তম মানিক জানায়-পৌরসভা ৬ নং ওয়ার্ড এডভোকেট ওমর আলীর বাড়িতে ভাড়া বাসায় থাকতেন বন্ধু সাদ্দামের স্ত্রী আমেনা বেগম ও তার চাচাতো ভাই পাভেলের ডিভোর্সী স্ত্রী জন্নাতুল ফেরদৌস। কোরবানের ঈদের পরদিন বন্ধু সাদ্দামের স্ত্রীর অনুরোধে দাওয়াতে তার বাসায় যায় তিনি।
কিন্তু পরিকল্পিতভাবে পূর্ব শত্রুতার জেরে হত্যার চেষ্টা চালায় দুই নারী।
তিনি আরো জানান- তার চাচাতো ভাই জুনাইদুল ইসলাম পাভেলের সাথে ৫/৬ বছর পূর্বে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয় ফেনী জেলার ছাগলনাইয়া থানার শুভপুর ইউনিয়নের রুহুল আমিনের কন্যা জন্নাতুল ফেরদৌসের সাথে। পরবর্তীতে পরকীয়ার জেরে পাভেলের সাথে বিবাহ বিচ্ছেদ হয়।বিচ্ছেদের জেরে তাকে জন্নাতুল ফেরদৌস হত্যার চেষ্টা চালায় বলে জানায়।
অন্যদিকে, দুবাই প্রবাসী বন্ধু সাদ্দামের সংসারের যাবতীয় খরচ এবং সমস্ত কিছু বিশ্বাস করে মানিককে দিয়ে করার জেরে নারী আমেনা বেগম তাকে হত্যার চেষ্টা চালায়।
উক্ত ঘটনা নিয়ে কাউকে বিভ্রান্ত না হওয়ারও অনুরোধ জানান তিনি।