
লালমনিরহাটর পৌরসভার ০১ নং ওয়ার্ডে নির্মানাধীন পলিটেকনিক বালুর মাঠসহ দুই ধাপে দুর্বৃত্তের হামলার শিকার হয়েছেন রিস্কা চালক শরীফ।দুর্বৃত্তের হামলায় গুরুতর যখম ও এলোপাতাড়ি মারধরের শিকার হবার পাশাপাশি হারিয়েছেন সারাদিনের রিস্কা চালানো অর্জিত অর্থ বলে জানা যায় অভিযোগ থেকে।
গত বুধবার (২৫ জুন) রাতে এই অতর্কিত হামলার ঘটনা ঘটেছে। দুই ধাপে হামলার শিকার হয়ে গুরুতর আহত হয় রিস্কা চালক শরীফ।
এই ঘটনায় ভুক্তভোগী শরীফ (২৬ জুন) বাদী হয়ে লালমনিরহাট সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। লিখিত অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২১ জুন রাতে যরদিশ এর ছেলে মোঃ রহমান (২২) রিস্কা চালক শরীফের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন টি কিছু সময়ের জন্য ব্যবহার করার জন্য নেয়।ফোনটি কিছু সময় পর ফেরত দেওয়ার কথা থাকলেও সেই রাতে আর ফোনটি ফেরত দেয় না রহমান। পরের দিন সন্ধ্যার পর শরীফের মা ও বড় ভাই শরীফের ব্যবহৃত ফোনটি উদ্ধার করে।
এর পর গত ২৫ জুন সন্ধার পর রহমানের সাথে দেখা হলে ফোন ফেরত দিতে বিলম্ব করায় তর্ক বিতর্ক হয় শরীফ ও অভিযুক্ত রহমানের।তর্ক বিতর্কের এক পর্যায়ে নবনির্মিত পলিটেকনিকের বালুর মাঠে মোঃ রহমান, সোহেল, মেহেদীসহ অজ্ঞাত ৪-৫ জন কথা বলার জন্য শরীফকে বালুর মাঠে নিয়ে যায়।বালুর মাঠে তর্ক বিতর্কের এক পর্যায়ে বিবাদী রহমান শরীফকে দেশীয় অস্ত্র গলায় ধরে এবং পকেটে থাকা একটি ৫০০ টাকার নোট একটি ২০০ টাকার নোট ও সারাদিনের রিক্সা চালিয়ে আয়ের খুচড়া টাকাসহ প্রায় ১০০০ টাকা ছিনিয়ে নেয় বিবাদী মেহেদী ।একপর্যায়ে রহমান তার হাতে থাকা অস্ত্র দিয়ে দিয়ে শরীফের বাম হাতের উপরে আঘাত করায় সে গুরুতর রক্তাক্ত যখন হয় এবং বাকি হামলাকারীরা এলোপাতাড়ি মারধর করে। এক পর্যায়ে হামলার শিকার শরীফ তার বড় ভাইকে দেখতে পেয়ে ডাক দিলে দ্রুত বালুর মাঠ ত্যাগ করে শেখেরদোলার উত্তর সংলগ্ন দোকানের কাছে দ্রুত চলে যায় হামলাকারীরা। শরীফের বড় ভাই ও তার বন্ধু সমাধান করার জন্য উল্লেখিত দোকানের কাছে গেলে আবার শরীফের বড় ভাইয়ের সামনে প্রধান বিবাদী রহমানের বড় ভাই রায়হানের নেতৃত্বে আবারো উল্লেখিত হামলাকারীরাসহ অজ্ঞাত কয়েকজন মিলে শরীফকে এলোপাতাড়ি মারধর করে ।
দোকানের সামনে মারধরের প্রত্যক্ষদর্শী দুই দোকানদার হলেন ১। লাভলু (৩৫) ২।রুবেল (৩৮)। শরীফ গুরুতর আহত হয়ে সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য স্বরপর্ণ হয় যার রেজিঃ নং ২৩৭৮/১২।
দোকানের সামনে মারধরের প্রত্যক্ষদর্শী গালামাল ব্যবসায়ী রুবেল বলেন,আমার দোকানের সামনের দোকানে শরীফ নামের ছেলেকে নিয়ে বিশৃঙ্খলা দেখা যায়।একসময় আমার দোকান থেকে পানির পাত্রে পানি নিয়ে আহত শরীফের মাথায় পানি দেয়।দোকান ফাঁকা রেখে হট্টগোলে যাওয়া সম্ভব না হওয়ায় আমি ঘটনা স্থানে যাইনি।
অভিযোগের তদন্তকারী কর্মকর্তা হাফিজুর রহমান বলেন, ঘটনার প্রাথমিক সত্যতা পেয়েছি পরবর্তীতে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
লালমনিরহাট সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নুরনবী ০১ জুলাই অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, অভিযোগ পেয়েছি অভিযোগের আলোকে তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।