
গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে যৌতুকের জন্য স্বামী কর্তৃক শারীরিক নির্যাতন ও স্ত্রীর পেটে লাথি, চিকিৎসাধীন অবস্থায় , পেটের বাচ্চা ও মায়ের মৃত্যু।স্বামী ও শ্বশুরবাড়ি লোকজনের বিরুদ্ধে যৌতুকের জন্য শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটে কাশিয়ানী উপজেলার দক্ষিণ ফুকরা ( আমবাড়ি) গ্রামে ঘটনাটি ঘটে।
আজ(০২ জুলাই) বুধবার সকাল টার সময় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আইসিইউ তে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গর্ভবতী ঋতু খানম মৃত্যুবরণ করে।
অভিযোগে রয়েছে যৌতুকের দাবিতে নিহত ঋতু খানমের উপর স্বামী ও তার শ্বশুর বাড়ির লোকজন দীর্ঘদিন ধরে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে আসছিল। গত সোমবার শারীরিক নির্যাতনের একপর্যায়ে নিহতের স্বামী গর্ভবতী ঋতু খানমের পেটে লাথি দিলে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ে। তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসার জন্য প্রথমে গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়।পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে কর্তব্যরত চিকিৎসক। আজ সকাল ৮ টার আইসিউ তে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় মৃত্যুবরণ করে।স্বামী, শাশুড়ী ও ননদের নির্যাতনের শিকার হয়ে, না ফেরার দেশে পাড়ি জমালেন মা ও তার গর্ভের সন্তান।জানা যায় নিহত রিতু খানম গোপালগঞ্জ জেলার মুকসুদপুর থানার পালপাড়া গ্রামের রবিউল শেখের একমাত্র মেয়ে।কাশিয়ানী থানার দক্ষিণ ফুকরা গ্রামের টেপু খানের ছেলে সাজ্জাদ খানের সাথে পারিবারিক ভাবেই ,বিয়ে হয়।বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের টাকার জন্য শাশুড়ী, স্বামী ও দুই ননদের নির্যাতনের শিকার হয় নিহত রিতু খানম। নিহত রিতু খানমের পিতা রবিউল ইসলাম জানান গত সোমবার সন্ধ্যায় স্বামী সাজ্জাদ থান কর্তৃক শারীরিক নির্যাতনের এক পর্যায়ে পেটে লাথি দিলে সে অসুস্থ হয়ে পড়ে। প্রথমে তাকে কাশিয়ানী সরকারি হাসপাতাল, সেখান থেকে গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতাল ভর্তি করা হয়।গতকাল গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি থাকা অবস্থায় আইসিইউতে চিকিৎসায়ধীন অবস্থায় আজ সকাল ৮ টার সময় মৃত্যু বরন করে। শত চেষ্টা করে ও বাচানো গেলো না মা ও তার গর্ভের সন্তানকে।
একজন মেয়ের পিতা হিসেবে পাষন্ড সাজ্জাদ ও তার মা এবং ঘটনার সাথে জড়িতদের কঠিন শাস্তির দাবী জানাই।